Risingbd:
2025-08-01@20:36:17 GMT

শেষের লড়াইয়ে ছড়াচ্ছে উন্মাদনা

Published: 1st, February 2025 GMT

শেষের লড়াইয়ে ছড়াচ্ছে উন্মাদনা

একপেশে লড়াইয়ে রংপুর রাইডার্স ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। টানা আট জয়ে রংপুরের মুখের হাসি ছিল চওড়া। সবার আগে নিশ্চিত করে প্লে’ অফ। অথচ সেই দলটাই পরের চার ম‌্যাচে এমন ভরাডুবি!

বিপিএলে এখন পর্যন্ত যে উন্মাদনা তা টিকে আছে রংপুর রাইডার্সের টানা চার হারের কারণে। আজ বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ দিনের খেলা। রংপুরের ম‌্যাচ নেই। তবুও তারা পাখির চোখে পরখ করবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের ম‌্যাচ। এই দুই দল রংপুরের পর প্লে’ অফ নিশ্চিত করে।

বরিশাল এখন টেবিল টপার। ১৮ পয়েন্ট তাদের। আজকের জয়-পরাজয়ে তাদের শীর্ষস্থান নড়াচড়া হবে না। চিটাগং কিংসের জন‌্য ম‌্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আজ তারা জিতলে চলে দুই নম্বরে। খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে বরিশালকে। আর যদি চিটাগং হেরে যায় তাহলে রংপুর ও বরিশাল খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। চিটাগংকে খেলতে হবে এলিমিনেটর ম‌্যাচ।

খুলনা টাইগার্স আজ অলিখিত ফাইনাল খেলবে ঢাকা ক‌্যাপিটালসের বিপক্ষে। ঢাকা টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ দল। তারা আজ কেবল নিয়মরক্ষার ম‌্যাচে মাঠে নামবে। খুলনা টাইগার্স আজ জিতলে যাবে সেরা চারে। আর হেরে গেলে দুর্বার রাজশাহী যাবে প্লে’ অফে। রান রেটের হিসেবে তাদের কপাল আবার পুড়তেও পারে।

১১ ম‌্যাচে ৫ জয়ে খুলনার পয়েন্ট ১০। আজকের ম‌্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১২। সমান পয়েন্ট রাজশাহীর। তারা ১২ ম‌্যাচে ৬টি জিতেছে, ৬টি হেরেছে। খুলনার হারে তাদের সেরা চারে যাওয়ার সুযোগ হতে পারে। আর খুলনা জিতলে মিরাজ-আফিফ-নাঈমদের দেখা যাবে সেরা চারে।

পয়েন্ট তালিকার তিন ও চার নম্বর দল খেলবে এলিমিনেটর ম‌্যাচ। সেই ম‌্যাচে যারা জিতবে তারা যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। পরাজিত দল বাদ পড়বে। আর প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল খেলবে এলিমিনেটর ম‌্যাচ। বিজয়ী দল যাবে ফাইনালে।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিপিএলের পর্দা নামবে ফাইনাল ম‌্যাচ দিয়ে। কার মুখে হাসি ফোটে সেটা দেখার জন‌্য আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ