Samakal:
2025-09-18@01:05:20 GMT

‘একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা’

Published: 1st, February 2025 GMT

‘একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা’

সিলভিয়া প্লাথ। পুলিৎসারজয়ী আমেরিকান ঔপন্যাসিক, কবি ও গল্পকার। কিংবদন্তি এই সাহিত্যিকের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণার কথা তুলে এনেছেন জসিম উদ্দিন আকাশ 

৯ বছর বয়সে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত জীবনটা আমার কাছে নির্মল আনন্দের ছিল; ছিল অবাধ। তখন আমি জাদু বিশ্বাস করতাম। সেটি ব্যাপক প্রভাবিত করেছিল আমাকে। এরপর, ৯ বছর বয়সে পৌঁছানোর পর আমার যেন স্বপ্নভঙ্গ ঘটল। রূপকথার জগতের ওপর থেকে বিশ্বাস কমে যেতে থাকল আমার। হয়ে ওঠতে থাকলাম বাস্তববাদী এবং অনেকটা বিষণ্নও। আমার ধারণা, ষোলো-সতেরো বছর বয়স পর্যন্ত এ রকম একটি রূপান্তরের ভেতর দিয়ে গিয়েছিলাম আমি। কৈশোরটা আমার মোটেও আনন্দের ছিল না। সম্ভবত এ কারণে ডায়েরি, গল্প এবং আরও নানাবিধ বিষয়ে লেখালেখি করতে থাকি। বলাবাহুল্য, জীবনের প্রথম পর্যায়ে খুব অন্তর্মুখী মানুষ ছিলাম আমি।
ট্যাবুর আলো.

..
আস্তে আস্তে দেখলাম, আমেরিকান বিষয়বস্তু আমাকে টানে। নতুন নতুন ব্রেকথ্রু আমাকে দুর্দান্ত রোমাঞ্চিত করে। যেমন ধরুন, রবার্ট লয়েলের ‘লাইফ স্টাডিজ’। এই সিরিয়াস,  ব্যক্তিগত, আবেগাত্মক অভিজ্ঞতা– যা কিনা আমার কাছে খানিকটা ট্যাবু বলে মনে হয়। সেটি একটি ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছে কবিতায়। এই উদ্ভট, একান্ত ও ট্যাবু বিষয়বস্তুগুলো সমকালীন আমেরিকান কবিতায় আলো ছড়িয়েছে বলে বিশ্বাস করি আমি।
লেখককে এগিয়ে নেয় ভাষা 
আমার লেখার ভাষা, আমার মুখের ভাষা আমেরিকান। আমি মনে করি, ভাষাই এগিয়ে নিয়ে যায় লেখককে। এ ক্ষেত্রে নিজেকে একজন সেকেলে আমেরিকান বলে বিশ্বাস করি আমি। এর একটি বড় কারণ সম্ভবত আমার ইংল্যান্ডে বসবাস করা। যদি অতীতে, পঞ্চাশ বছর পেছনে তাকাই, টের পাই, আমাকে উদ্বেলিত করা কবির অধিকাংশই আমেরিকান। অন্যদিকে খুব অল্পসংখ্যক ব্রিটিশ কবি আমাকে দোলা দেয়। এ যেন খানিকটা স্ট্রেট-জ্যাকেটের মতো ব্যাপার। ব্রিটিশ সমালোচক অ্যালভারেজ, ইংল্যান্ডের ভদ্রতার বিপদ সম্পর্কে তাঁর বিতর্ককে আমি সত্য বলে মনে করি। নিশ্চিত করে বলতে চাই, খুব একটা ‘সুশীল’ আমি নই। অনুভব করি, ‘ভদ্রতার’ একটি ভয়ংকর অবদমন রয়েছে। মনে পড়ে, একবার কেমব্রিজে এক তরুণী এসে আমাকে বলেন, ‘লেখালেখি করার, কবিতা ছাপানোর সাহস কী করে পান আপনি; যেখানে একটি লেখা ছাপা হওয়ার পর মুখোমুখি হতে হয় হাজারো ভয়ংকর সমালোচনার?’ 
ইতিহাসের পাঠ 
আমি ইতিহাসবেত্তা নই। তবুও ইতিহাস আমাকে প্রবলভাবে টানে। ফলে প্রতিনিয়ত, যতটুকু সম্ভব, ইতিহাসের পাঠ নিই। নেপোলিয়নের ব্যাপারে আমার আগ্রহ খুব। লড়াই, সংগ্রাম, যুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ–ইত্যাদি বিষয় আমাকে কৌতূহলী করে তোলে। অথচ জীবনের প্রথম বিশ বছরে এসব বিষয় সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানা ছিল না। নিজের সংবেদনশীল ও আবেগাত্মক অভিজ্ঞতা থেকেই আমার কবিতার আবির্ভাব ঘটে। আমি বলতে চাই, কোনো সুই কিংবা ছুরি কিংবা এ রকমই হন্তারক কিছু ছাড়া ক্রন্দনমাখা হৃদয়ের আর কোনো বিষয়ের প্রতি কোনো সহানুভূতি নেই আমার। আমি বিশ্বাস করি, সবারই উচিত নিজের অভিজ্ঞতাকে নিয়ন্ত্রণ ও সুনিপুণভাবে ব্যবহার করা। 
একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা
নার্সারিতে পড়ার সময় ছড়া খুব ভালো লাগত আমার। তখনই মনে হতো, আমিও এমন লিখতে পারি। এভাবেই প্রথম কবিতা লেখা। আমার লেখা প্রথম কবিতা যখন প্রকাশিত হয়, তখন আমার সাড়ে আট বছর বয়স। ‘দ্য বুস্টন ট্রাভেলার’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল সেটি। তারপর মনে হলো, আমি বোধহয় খানিকটা পেশাদার কবি হয়ে গেছি! শুরুর দিকে প্রকৃতি নিয়ে লিখতাম। এই যেমন পাখি, মৌমাছি, বসন্ত, হেমন্ত– জীবনের গভীরতর অভিজ্ঞতার সঙ্গে তখনও আলাপ না ঘটা ব্যক্তিমানুষের কাছে প্রকৃতি থেকে আসা এসব নিখাদ উপহারই হয়ে উঠেছিল আমার বিষয়বস্তু। আমার ধারণা, বসন্তের আগমনী, মাথার ওপরে নক্ষত্রপুঞ্জ, প্রথম দেখা তুষারপাত আর এ রকম নানা প্রাকৃতিক বিষয়ই একজন শিশুর জন্য, একজন অল্পবয়সী কবির জন্য অনন্য উপহার। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ ব স কর বছর বয়স প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন

র‍াস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। 

আরো পড়ুন:

৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে

সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা

রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।” 

দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।” 

তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।” 

পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে ক্যারিয়ার–বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন