Samakal:
2025-06-16@11:15:13 GMT

‘একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা’

Published: 1st, February 2025 GMT

‘একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা’

সিলভিয়া প্লাথ। পুলিৎসারজয়ী আমেরিকান ঔপন্যাসিক, কবি ও গল্পকার। কিংবদন্তি এই সাহিত্যিকের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণার কথা তুলে এনেছেন জসিম উদ্দিন আকাশ 

৯ বছর বয়সে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত জীবনটা আমার কাছে নির্মল আনন্দের ছিল; ছিল অবাধ। তখন আমি জাদু বিশ্বাস করতাম। সেটি ব্যাপক প্রভাবিত করেছিল আমাকে। এরপর, ৯ বছর বয়সে পৌঁছানোর পর আমার যেন স্বপ্নভঙ্গ ঘটল। রূপকথার জগতের ওপর থেকে বিশ্বাস কমে যেতে থাকল আমার। হয়ে ওঠতে থাকলাম বাস্তববাদী এবং অনেকটা বিষণ্নও। আমার ধারণা, ষোলো-সতেরো বছর বয়স পর্যন্ত এ রকম একটি রূপান্তরের ভেতর দিয়ে গিয়েছিলাম আমি। কৈশোরটা আমার মোটেও আনন্দের ছিল না। সম্ভবত এ কারণে ডায়েরি, গল্প এবং আরও নানাবিধ বিষয়ে লেখালেখি করতে থাকি। বলাবাহুল্য, জীবনের প্রথম পর্যায়ে খুব অন্তর্মুখী মানুষ ছিলাম আমি।
ট্যাবুর আলো.

..
আস্তে আস্তে দেখলাম, আমেরিকান বিষয়বস্তু আমাকে টানে। নতুন নতুন ব্রেকথ্রু আমাকে দুর্দান্ত রোমাঞ্চিত করে। যেমন ধরুন, রবার্ট লয়েলের ‘লাইফ স্টাডিজ’। এই সিরিয়াস,  ব্যক্তিগত, আবেগাত্মক অভিজ্ঞতা– যা কিনা আমার কাছে খানিকটা ট্যাবু বলে মনে হয়। সেটি একটি ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছে কবিতায়। এই উদ্ভট, একান্ত ও ট্যাবু বিষয়বস্তুগুলো সমকালীন আমেরিকান কবিতায় আলো ছড়িয়েছে বলে বিশ্বাস করি আমি।
লেখককে এগিয়ে নেয় ভাষা 
আমার লেখার ভাষা, আমার মুখের ভাষা আমেরিকান। আমি মনে করি, ভাষাই এগিয়ে নিয়ে যায় লেখককে। এ ক্ষেত্রে নিজেকে একজন সেকেলে আমেরিকান বলে বিশ্বাস করি আমি। এর একটি বড় কারণ সম্ভবত আমার ইংল্যান্ডে বসবাস করা। যদি অতীতে, পঞ্চাশ বছর পেছনে তাকাই, টের পাই, আমাকে উদ্বেলিত করা কবির অধিকাংশই আমেরিকান। অন্যদিকে খুব অল্পসংখ্যক ব্রিটিশ কবি আমাকে দোলা দেয়। এ যেন খানিকটা স্ট্রেট-জ্যাকেটের মতো ব্যাপার। ব্রিটিশ সমালোচক অ্যালভারেজ, ইংল্যান্ডের ভদ্রতার বিপদ সম্পর্কে তাঁর বিতর্ককে আমি সত্য বলে মনে করি। নিশ্চিত করে বলতে চাই, খুব একটা ‘সুশীল’ আমি নই। অনুভব করি, ‘ভদ্রতার’ একটি ভয়ংকর অবদমন রয়েছে। মনে পড়ে, একবার কেমব্রিজে এক তরুণী এসে আমাকে বলেন, ‘লেখালেখি করার, কবিতা ছাপানোর সাহস কী করে পান আপনি; যেখানে একটি লেখা ছাপা হওয়ার পর মুখোমুখি হতে হয় হাজারো ভয়ংকর সমালোচনার?’ 
ইতিহাসের পাঠ 
আমি ইতিহাসবেত্তা নই। তবুও ইতিহাস আমাকে প্রবলভাবে টানে। ফলে প্রতিনিয়ত, যতটুকু সম্ভব, ইতিহাসের পাঠ নিই। নেপোলিয়নের ব্যাপারে আমার আগ্রহ খুব। লড়াই, সংগ্রাম, যুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ–ইত্যাদি বিষয় আমাকে কৌতূহলী করে তোলে। অথচ জীবনের প্রথম বিশ বছরে এসব বিষয় সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানা ছিল না। নিজের সংবেদনশীল ও আবেগাত্মক অভিজ্ঞতা থেকেই আমার কবিতার আবির্ভাব ঘটে। আমি বলতে চাই, কোনো সুই কিংবা ছুরি কিংবা এ রকমই হন্তারক কিছু ছাড়া ক্রন্দনমাখা হৃদয়ের আর কোনো বিষয়ের প্রতি কোনো সহানুভূতি নেই আমার। আমি বিশ্বাস করি, সবারই উচিত নিজের অভিজ্ঞতাকে নিয়ন্ত্রণ ও সুনিপুণভাবে ব্যবহার করা। 
একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা
নার্সারিতে পড়ার সময় ছড়া খুব ভালো লাগত আমার। তখনই মনে হতো, আমিও এমন লিখতে পারি। এভাবেই প্রথম কবিতা লেখা। আমার লেখা প্রথম কবিতা যখন প্রকাশিত হয়, তখন আমার সাড়ে আট বছর বয়স। ‘দ্য বুস্টন ট্রাভেলার’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল সেটি। তারপর মনে হলো, আমি বোধহয় খানিকটা পেশাদার কবি হয়ে গেছি! শুরুর দিকে প্রকৃতি নিয়ে লিখতাম। এই যেমন পাখি, মৌমাছি, বসন্ত, হেমন্ত– জীবনের গভীরতর অভিজ্ঞতার সঙ্গে তখনও আলাপ না ঘটা ব্যক্তিমানুষের কাছে প্রকৃতি থেকে আসা এসব নিখাদ উপহারই হয়ে উঠেছিল আমার বিষয়বস্তু। আমার ধারণা, বসন্তের আগমনী, মাথার ওপরে নক্ষত্রপুঞ্জ, প্রথম দেখা তুষারপাত আর এ রকম নানা প্রাকৃতিক বিষয়ই একজন শিশুর জন্য, একজন অল্পবয়সী কবির জন্য অনন্য উপহার। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ ব স কর বছর বয়স প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’

এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস
  • হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, স্পষ্ট বার্তা দিলেন অপু
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই: অপু বিশ্বাস
  • শালবনে ছেচরা কই ও পাটখই
  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
  • আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
  • প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
  • খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
  • এ সপ্তাহের রাশিফল (১৪-২০ জুন)