Samakal:
2025-05-01@05:38:02 GMT

‘একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা’

Published: 1st, February 2025 GMT

‘একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা’

সিলভিয়া প্লাথ। পুলিৎসারজয়ী আমেরিকান ঔপন্যাসিক, কবি ও গল্পকার। কিংবদন্তি এই সাহিত্যিকের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণার কথা তুলে এনেছেন জসিম উদ্দিন আকাশ 

৯ বছর বয়সে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত জীবনটা আমার কাছে নির্মল আনন্দের ছিল; ছিল অবাধ। তখন আমি জাদু বিশ্বাস করতাম। সেটি ব্যাপক প্রভাবিত করেছিল আমাকে। এরপর, ৯ বছর বয়সে পৌঁছানোর পর আমার যেন স্বপ্নভঙ্গ ঘটল। রূপকথার জগতের ওপর থেকে বিশ্বাস কমে যেতে থাকল আমার। হয়ে ওঠতে থাকলাম বাস্তববাদী এবং অনেকটা বিষণ্নও। আমার ধারণা, ষোলো-সতেরো বছর বয়স পর্যন্ত এ রকম একটি রূপান্তরের ভেতর দিয়ে গিয়েছিলাম আমি। কৈশোরটা আমার মোটেও আনন্দের ছিল না। সম্ভবত এ কারণে ডায়েরি, গল্প এবং আরও নানাবিধ বিষয়ে লেখালেখি করতে থাকি। বলাবাহুল্য, জীবনের প্রথম পর্যায়ে খুব অন্তর্মুখী মানুষ ছিলাম আমি।
ট্যাবুর আলো.

..
আস্তে আস্তে দেখলাম, আমেরিকান বিষয়বস্তু আমাকে টানে। নতুন নতুন ব্রেকথ্রু আমাকে দুর্দান্ত রোমাঞ্চিত করে। যেমন ধরুন, রবার্ট লয়েলের ‘লাইফ স্টাডিজ’। এই সিরিয়াস,  ব্যক্তিগত, আবেগাত্মক অভিজ্ঞতা– যা কিনা আমার কাছে খানিকটা ট্যাবু বলে মনে হয়। সেটি একটি ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছে কবিতায়। এই উদ্ভট, একান্ত ও ট্যাবু বিষয়বস্তুগুলো সমকালীন আমেরিকান কবিতায় আলো ছড়িয়েছে বলে বিশ্বাস করি আমি।
লেখককে এগিয়ে নেয় ভাষা 
আমার লেখার ভাষা, আমার মুখের ভাষা আমেরিকান। আমি মনে করি, ভাষাই এগিয়ে নিয়ে যায় লেখককে। এ ক্ষেত্রে নিজেকে একজন সেকেলে আমেরিকান বলে বিশ্বাস করি আমি। এর একটি বড় কারণ সম্ভবত আমার ইংল্যান্ডে বসবাস করা। যদি অতীতে, পঞ্চাশ বছর পেছনে তাকাই, টের পাই, আমাকে উদ্বেলিত করা কবির অধিকাংশই আমেরিকান। অন্যদিকে খুব অল্পসংখ্যক ব্রিটিশ কবি আমাকে দোলা দেয়। এ যেন খানিকটা স্ট্রেট-জ্যাকেটের মতো ব্যাপার। ব্রিটিশ সমালোচক অ্যালভারেজ, ইংল্যান্ডের ভদ্রতার বিপদ সম্পর্কে তাঁর বিতর্ককে আমি সত্য বলে মনে করি। নিশ্চিত করে বলতে চাই, খুব একটা ‘সুশীল’ আমি নই। অনুভব করি, ‘ভদ্রতার’ একটি ভয়ংকর অবদমন রয়েছে। মনে পড়ে, একবার কেমব্রিজে এক তরুণী এসে আমাকে বলেন, ‘লেখালেখি করার, কবিতা ছাপানোর সাহস কী করে পান আপনি; যেখানে একটি লেখা ছাপা হওয়ার পর মুখোমুখি হতে হয় হাজারো ভয়ংকর সমালোচনার?’ 
ইতিহাসের পাঠ 
আমি ইতিহাসবেত্তা নই। তবুও ইতিহাস আমাকে প্রবলভাবে টানে। ফলে প্রতিনিয়ত, যতটুকু সম্ভব, ইতিহাসের পাঠ নিই। নেপোলিয়নের ব্যাপারে আমার আগ্রহ খুব। লড়াই, সংগ্রাম, যুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ–ইত্যাদি বিষয় আমাকে কৌতূহলী করে তোলে। অথচ জীবনের প্রথম বিশ বছরে এসব বিষয় সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানা ছিল না। নিজের সংবেদনশীল ও আবেগাত্মক অভিজ্ঞতা থেকেই আমার কবিতার আবির্ভাব ঘটে। আমি বলতে চাই, কোনো সুই কিংবা ছুরি কিংবা এ রকমই হন্তারক কিছু ছাড়া ক্রন্দনমাখা হৃদয়ের আর কোনো বিষয়ের প্রতি কোনো সহানুভূতি নেই আমার। আমি বিশ্বাস করি, সবারই উচিত নিজের অভিজ্ঞতাকে নিয়ন্ত্রণ ও সুনিপুণভাবে ব্যবহার করা। 
একাগ্রতাই নিয়ে আসে সফলতা
নার্সারিতে পড়ার সময় ছড়া খুব ভালো লাগত আমার। তখনই মনে হতো, আমিও এমন লিখতে পারি। এভাবেই প্রথম কবিতা লেখা। আমার লেখা প্রথম কবিতা যখন প্রকাশিত হয়, তখন আমার সাড়ে আট বছর বয়স। ‘দ্য বুস্টন ট্রাভেলার’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল সেটি। তারপর মনে হলো, আমি বোধহয় খানিকটা পেশাদার কবি হয়ে গেছি! শুরুর দিকে প্রকৃতি নিয়ে লিখতাম। এই যেমন পাখি, মৌমাছি, বসন্ত, হেমন্ত– জীবনের গভীরতর অভিজ্ঞতার সঙ্গে তখনও আলাপ না ঘটা ব্যক্তিমানুষের কাছে প্রকৃতি থেকে আসা এসব নিখাদ উপহারই হয়ে উঠেছিল আমার বিষয়বস্তু। আমার ধারণা, বসন্তের আগমনী, মাথার ওপরে নক্ষত্রপুঞ্জ, প্রথম দেখা তুষারপাত আর এ রকম নানা প্রাকৃতিক বিষয়ই একজন শিশুর জন্য, একজন অল্পবয়সী কবির জন্য অনন্য উপহার। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ ব স কর বছর বয়স প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের


ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর মুসলিমদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় ও তাঁদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পেহেলগামের হামলাকে ব্যবহার করে দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর দমন–পীড়ন আরও বৃদ্ধি করছে।

কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকি প্রায় সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পর্যটক হিসেবে তাঁরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেহেলগামে গিয়েছিলেন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে।

পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার জবাবে ভারত সামরিকভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন ভারত শিগগিরই সামরিক হামলা চালাতে পারে।

এই মুহূর্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মূলত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন আন্তসীমান্ত নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপি সরকার ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের হয়রানি করছে। তারা এটিকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান’ বলে দাবি করছে।

মোদির বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ এবং ‘রোহিঙ্গাদের’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। রোহিঙ্গারা মূলত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। ‘পাকিস্তানি’ বা ‘বাংলাদেশি’ তকমা অনেক সময়েই হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে থাকে।

উত্তর প্রদেশ ও কর্ণাটক—এই দুই রাজ্যে মুসলিমদের হত্যার খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের খবরে সেগুলোকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক সরকারি কর্মকর্তার মতে, প্রায় দুই হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে, যা অনেকটা সমষ্টিগত শাস্তির মতো।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • নিজেদের সফলতার গল্প শোনালেন তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা