চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠকরা। সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্টেডিয়ামটি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস)। এই স্টেডিয়াম স্থানীয়দের খেলাধুলার স্বার্থে চট্টগ্রামের বিত্তবান লোকজন নির্মাণ করেছিলেন। গত ২ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম হিসেবে তৈরির জন্য ১২ শর্তে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে লিজ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক ক্রিকেটার শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এমএ আজিজ স্টেডিয়ামটি প্রথমে ১০ বছরের জন্য এবং পরবর্তী সময়ে ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন স্থানীয় ক্রীড়ামোদীরা। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একটা সংশোধনী চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে স্থানীয় খেলাধুলার জন্য বাফুফের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। 

এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের নয়, চট্টগ্রামবাসীর স্টেডিয়াম উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাফুফেকে ইজারা দেওয়ার ফলে স্থানীয় ফুটবলও এখানে হতে পারবে না। কারণ এখানে তিনটা লিগ হয়। আন্তর্জাতিক মানের যখন স্টেডিয়াম করা হবে, তখন চাইলেই এই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। তাই এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। 

স্টেডিয়াম ফুটবলের জন্য বরাদ্দ দিয়ে অন্য খেলাধুলো ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে দাবি করে তারা বলেন, এই মাঠকে কেন্দ্র করে ৩০টির বেশি খেলাধুলা হয়। এ ছাড়া সকাল থেকে মাঠ এবং সামনের প্রশিক্ষণ মাঠে কিশোর-তরুণেরা অনুশীলন করে থাকে। চট্টগ্রামের সব খেলাধুলা এই মাঠ ঘিরেই চলে। এই মাঠ শুধু ফুটবলের জন্য বরাদ্দ দিয়ে অন্য খেলাগুলোর ক্ষতি করা হয়েছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নতুন চিঠি ক্রীড়া সংগঠকদের মনে মারাত্মক আঘাত করেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘তারা বলেছে বাফুফের সঙ্গে সমন্বয় করে খেলার আয়োজন করার জন্য। আমাদের মাঠ আমাদের থাকবে। আমরা কেন মাঠ ব্যবহারে তাদের জিজ্ঞেস করব? তারা কিছু আয়োজন করলে আমাদের সঙ্গে কথা বলবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে ৮৫টি ক্লাব আছে। ক্লাব প্রতিনিধিরাই কমিটিতে থাকবে। তাদের সিদ্ধান্ত বাফুফে এবং বিসিবিকে মানতে হবে। কিন্তু তারা যে সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে সেটাতো আমরা মানতে পারব না।’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে চট্টগ্রামে আগামীতে কোনো খেলাধুলায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব অংশ নেবে না জানিয়ে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডস ক্লাবের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বশর, সিজেকেএসের সাবেক সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, ক্রীড়া সংগঠক আমিনুল ইসলাম, শাহজাদা আলম, শাহাবুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও নিয়াজ মোহাম্মদ খান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল এ আজ জ স ট ড য় ম র জন য ব র র জন য এই ম ঠ ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের কাউন্সিল কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান তফসিল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। 

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ ১ থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ১ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীগণ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই।

মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হবে ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জুলাই। ১৬ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই।

১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জাকসু নির্বাচন।

ঢাকা/আহসান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ