‘জেরিনের বড় ভাই দায়ী’ পোস্ট দিয়ে বাঙলা কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
Published: 3rd, February 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় একটি মেস থেকে বাঙলা কলেজের ছাত্র মো. সাব্বির ইসলাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকার একটি ছাত্রবাসে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বাঙলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
সাব্বির ইসলাম নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের আগপাড়া এলাকার কৃষক মো.
আত্মহত্যার আগে বিকেল ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সাব্বির ইসলাম। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করতে যাবেন না, শুধু জেরিনের বড় ভাই শামীম ছাড়া। আমার এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী শামীম। আমার জেরিনকে ব্ল্যাকমেইল করে আমার থেকে দূরে সরিয়েছে। আমি চাই আমার লক্ষ্মীটা সব সময় ভালো থাকুক। আম্মু-আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দিও, তোমাদের কথা রাখতে পারলাম না।’
মেসের বন্ধুরা জানায়, সাব্বির ইসলাম জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজের এক ছাত্রীকে ভালোবসত। কিন্তু তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি মেয়েটির বড় ভাই শামীম। এটা নিয়ে সাব্বির হতাশাগ্রস্ত ছিল।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ স ব ব র ইসল ম কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।