সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় একটি মেস থেকে বাঙলা কলেজের ছাত্র মো. সাব্বির ইসলাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকার একটি ছাত্রবাসে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বাঙলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

সাব্বির ইসলাম নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের আগপাড়া এলাকার কৃষক মো.

রফিক মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকায় থেকে লেখাপড়া করত। তবে গত এক মাস ময়মনসিংহ এসে কলেজ রোড এলাকার ছাত্রবাসে এক বন্ধুর কাছে থাকত।  

আত্মহত্যার আগে বিকেল ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সাব্বির ইসলাম। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করতে যাবেন না, শুধু জেরিনের বড় ভাই শামীম ছাড়া। আমার এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী শামীম। আমার জেরিনকে ব্ল্যাকমেইল করে আমার থেকে দূরে সরিয়েছে। আমি চাই আমার লক্ষ্মীটা সব সময় ভালো থাকুক। আম্মু-আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দিও, তোমাদের কথা রাখতে পারলাম না।’     

মেসের বন্ধুরা জানায়, সাব্বির ইসলাম জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজের এক ছাত্রীকে ভালোবসত। কিন্তু তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি মেয়েটির বড় ভাই শামীম। এটা নিয়ে সাব্বির হতাশাগ্রস্ত ছিল।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ স ব ব র ইসল ম কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশজুড়ে বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
  • দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • জুলাই সনদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে: মামুনুল হক
  • এনসিএল: তিন সেঞ্চুরি ও মিরপুরে উইকেটের মিছিল
  • রংপুরকে পেয়েই আবার নাঈমের সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি মাহফিজুল ও সাদিকুরেরও
  • মার্কস অলরাউন্ডার: ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরসহ ৯ জেলায় কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
  • চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
  • রাতে বাড়িতে পুলিশের অভিযান, ভোরে ধানখেতে পাওয়া গেল রক্তাক্ত মরদেহ
  • সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২
  • পূর্বধলায় ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২