Risingbd:
2025-08-01@23:16:10 GMT

বন্দিদশা থেকে মুক্ত ১৯ প্রাণী

Published: 4th, February 2025 GMT

বন্দিদশা থেকে মুক্ত ১৯ প্রাণী

২০০২ সালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মানিক লাল দেওয়ানের একান্ত আগ্রহে শহরের সুখী নীলগঞ্জ নামক স্থানে প্রায় ৩০ একর জায়গার ওপর বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। শুরুতেই একটি বাচ্চা ভাল্লুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এনে মিনি চিড়িয়াখানাটি এই অঞ্চলে তাক লাগিয়ে দেয়। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই ধীরে ধীরে চিড়িয়াখানাটি জৌলুস হারাতে থাকে। অযত্ন, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে একের পর এক প্রাণীর মৃত্যু হতে থাকে। 

চিড়িয়াখানা যাত্রার প্রাক্কালে বাচ্চা একটি ভালুক আনা হয়। যেটি গত ২৩ বছর ধরে এই চিড়িয়াখানায় নিঃসঙ্গ পড়ে আছে। ভেঙে পড়েছে একের পর এক খাঁচার ছাদ। দীর্ঘসময় ধরে জরাজীর্ণ ও অবহেলায় পড়ে থাকার পর অবশেষে চিড়িয়াখানাটির অস্তিত্ব গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। জেলা পরিষদ বর্তমানে রয়ে যাওয়া ছয় প্রজাতির ১৯টি প্রাণীকে বন বিভাগকে হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রাণীগুলোকে বন্দিদশা মুক্ত করেছে। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তারা সুখী নীলগঞ্জের মিনি চিড়িয়াখানায় এসে স্থানীয় বনবিভাগের সহায়তায় ১৯টি প্রাণী চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে যায়। ভাল্লুক, হরিণ ও বানরগুলো চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অচেতন করে তারপর খাঁচায় ভরে চট্টগ্রামের ডুলাহাজরার সাফারি পার্কের উদ্দেশে নিয়ে যায়। 

এ সময় কর্মকর্তারা জানান, প্রথমেই ডুলাহাজরার সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণীগুলোকে চিকিৎসা দেয়ার পর ধীরে ধীরে তাদেরকে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে। 

ঢাকা বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, “২০১২ সালের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী কোনো বন্যপ্রাণী ক্রয়, বিক্রয়, বন্দি রাখা পুরোপুরি আইন পরিপন্থী। যেহেতু এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে, তাই আমরা আলোচনার মাধ্যমে বন্যপ্রাণীগুলোকে জব্দ করে ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে নিয়ে কোয়ারেন্টিনে রাখবো।”

 

তিনি আরো বলেন, “এখানে এসে যা দেখলাম, এতে বন্যপ্রাণী কল্যাণ আইন অনুযায়ী এটা নিষ্ঠুরতা। বন্যপ্রাণী মুভমেন্টের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। খাঁচাগুলোতে যথেষ্ট আলো-বাতাস নেই। এভাবে বন্যপ্রাণী থাকতে পারে না।” 

চট্টগ্রাম বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, “জেলা পরিষদ প্রধান বন সংরক্ষকের মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়ে এখানে কিছু বন্যপ্রাণী এনেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা জানতে পারলাম, এখানে যেভাবে বন্যপ্রাণী রাখা হয়েছে, সেগুলো বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন পরিপন্থী। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সাথে যোগাযোগের পর তারা বন্যপ্রাণীগুলো হস্তান্তরে সম্মত হওয়ায় আমরা এগুলো নিয়ে যাচ্ছি।” 

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে ও অবহেলায় পড়েছিল বন্যপ্রাণীগুলো। সোমবার সকালে চিড়িয়াখানায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাঁচায় বসে আছে নিঃসঙ্গ ভালুক। একা একা পায়চারি করছেন দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘরে। গত ২৩ বছর ধরে এই ঘরটিই ছিল তার একমাত্র আবাসস্থল। সাধারণত ভালুকের জীবনকাল ৩০ বছর হয়ে থাকে, আর এরমধ্যে খাঁচায় এই প্রাণীটির কেটেছে ২৩ বছর। পাশের একটি খাঁচায় শ্রীহীন চারটি বানর। স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য নেই কারো। যা খাবার পায়, তাতে বন্দি প্রাণীগুলোর কোনোমতে টিকে থাকাই দায়।

 

প্রাণীদের দেওয়া খাবার এতটাই অল্প যে খাঁচায় উঁকি দিয়ে কোথাও উচ্ছিষ্ট কিছু দেখা গেল না। একটি কক্ষে হাঁটু পরিমাণ পানিতে ছয়টি কচ্ছপ। পানিগুলো এতটাই নোংরা যে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কবে যে এই পানি পরিবর্তন করা হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। চিড়িয়াখানার সবগুলো প্রাণীর ঘর নোংরায় ভরা। একমাত্র হরিণটি এদিক-ওদিক খুড়িয়ে খুড়িয়ে দৌড়ঝাঁপ করছে। এক সময় তিনটি হরিণ থাকলেও এখন একটি মাত্র হরিণ। 

ভেঙে গেছে প্রাণীদের খাঁচাগুলো। স্থানে স্থানে পাকা স্থাপনায় ফাটল ধরেছে। খাঁচার গ্রিলে ধরেছে মরিচা। প্রাণী না থাকায় লোকজনের কোনো আগ্রহ নেই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে। এর মধ্যে গত জুলাইয়ে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্য পানি তোলার পাম্পটিও চুরি হয়ে গেছে। পাহাড়ের ওপর অবস্থিত চিড়িয়াখানাটির প্রাণীদের জন্য এখন টেনে টেনে পানি আনতে হয়। কিন্তু পানি আনার লোকও নেই। ফলে পর্যাপ্ত পানি প্রতিদিন সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। 

বর্তমানে এখানকার সম্বল একটি মাত্র ভালুক, একটি হরিণ, চারটি বানর, দুটি সজারু, পাঁচটি বন মোরগ ও ছয়টি কচ্ছপ। অজগরও ছিল একসময়, সেটির মৃত্যুর পর সেই নোংরা ঘরে স্থান হয়েছে দুইটি বানরের। খেয়ে না খেয়ে প্রাণীগুলো দিন কাটাচ্ছে অনেকটাই নিঃসঙ্গতায়। 

কক্সবাজার সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ডা.

হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকার নাইন বন্যপ্রাণীগুলোর শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে বলেন, “ভালুকের অবস্থা ভালো আছে। বানর ও হরিণের স্কিনে সমস্যা আছে। অন্যান্য প্রাণীগুলোও মোটামুটি আছে। আমরা কিছু প্রাণী ট্রাঙ্কুলাইস করেছি এবং বাকীগুলো ফিজিক্যালি রেসকিউ করে ডুলাহাজরায় নিয়ে যাবো। সেখানে তাদেরকে চিকিৎসার পর অবমুক্ত করা হবে।”

চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মো. সালাম বলেন, “জেলার একমাত্র এই মিনি চিড়িয়াখানাটার এই অবস্থার জন্য অবশ্যই কর্তৃপক্ষ দায়ী। তাদের অবহেলা ও অব্যবস্থানার কারণে প্রাণীগুলো মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। একটি ভালুক ২৩ বছর ধরে নিঃসঙ্গ একটি খাঁচায় পড়ে আছে। এগুলো অমানবিক। অন্তত বনবিভাগের কাছে বন্যপ্রাণীগুলো হস্তান্তরের কারণে প্রাণীগুলো বেঁচে যাবে।” 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, “চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা খুব একটা নেই। এতে এখান থেকে কোনো আয়ও নেই। বন্যপ্রাণীগুলো হস্তান্তরে গত মাসে আমরা ঢাকা বন অধিদপ্তরকে চিঠি দিই। তারা জানিয়েছিল, বন্যপ্রাণীগুলো তারা নিয়ে যাবে। বর্তমানে খালি এই স্থানটিকে আমরা পর্যটন স্পট করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।”

ঢাকা/শংকর/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২৩ বছর অবহ ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ভোগবাদী যুগে ইসলামে সুখের খোঁজ

আপনার বাড়িতে কি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের স্তূপ জমে আছে? জানেন কি, এর থেকে মুক্তির পথ আছে ইসলামের সরল জীবনধারায়? আধুনিক বিশ্বে ভোগবাদের তীব্র ঝড়ে আমরা প্রায়ই নিজেদের দেখি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ঠাসা ঘরে।

নতুন ফ্যাশনের পোশাক, সর্বশেষ প্রযুক্তির গ্যাজেট বা মধ্যরাতে এক ক্লিকে কেনা অপ্রয়োজনীয় পণ্য—এসব আমাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইসলাম আমাদের ন্যূনতম একটি সরল জীবনধারার পথ দেখায়, যা পার্থিব লোভ থেকে মুক্ত করে আমাদের আল্লাহর পথে নিবেদিত হতে উৎসাহিত করে।

আয়েশা, তুমি যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে চাও, তবে এই দুনিয়া থেকে একজন পথিকের প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো সামান্য গ্রহণ করো।সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৭,৮০০সংযম কেন জরুরি

মিনিমালিজম বা ন্যূনতাবাদ এমন একটি জীবনধারা, যেখানে আমরা শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর নির্ভর করব এবং অতিরিক্ত ভোগবিলাস থেকে দূরে থাকব। ক্রমাগত কেনাকাটার দিকে প্রলুব্ধ না হয়ে শুধু যেটুকু না হলেই জীবন চলে না, সেটুকু নিজের কাছে রাখব।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় বেশভূষা সৌন্দর্য গ্রহণ করো, খাও এবং পান করো, কিন্তু অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আ’রাফ, আয়াত: ৩১)।

এই আয়াত আমাদের জীবনে সংযম ও সরলতার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনদুনিয়ার ভোগ–বিলাস নিয়ে সুরা তাকাসুরের সতর্কতা১০ এপ্রিল ২০২৩

বিজ্ঞাপনের প্রলোভন আজকাল আমাদের অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার দিকে ঠেলে দেয়। প্রায়ই এমন জিনিস কিনে ফেলি, যেমন একটি ইউএসবি মগ হিটার বা জামাকাপড়, যা তারপর বছরের পর বছর অব্যবহৃত পড়ে থাকে।

বাড়িতে জমে থাকে প্যাকেট না খোলা গ্লাস–বক্স, অপঠিত বইয়ের স্তূপ। প্রশ্ন করে দেখি তো, আমাদের আসলেই কি এগুলো প্রয়োজন ছিল?

মহানবী (সা.)-এর সাদাসিধা জীবন

মহানবীজি (সা.) এবং তাঁর সাহাবারা সরল জীবনযাপনের উজ্জ্বল উদাহরণ। হজরত আয়েশা (রা.)-কে নবীজি বলেছিলেন, ‘হে আয়েশা, তুমি যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে চাও, তবে এই দুনিয়া থেকে একজন পথিকের প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো সামান্য গ্রহণ করো। ধনীদের সঙ্গে মেলামেশা থেকে সাবধান থাকো এবং কোনো পোশাককে তখনই জীর্ণ হয়ে গেছে মনে করো, যখন তুমি তাতে প্যাঁচ লাগিয়েছ (মানে যখন পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁচিয়ে যায়)।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৭,৮০০)।

এই হাদিসে নবীজি (সা.) স্পষ্টভাবে সরল জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

উপহারের পরিবর্তে আমরা দাতব্য সংস্থায় দানের জন্য অনুরোধ করতে পারি। এমনকি আমাদের একটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে সেই অর্থ স্থানীয় মসজিদে দান করতে পারি।

ইসলাম আমাদের শেখায় যে পার্থিব সম্পদ ক্ষণস্থায়ী এবং এটি আমাদের চিরস্থায়ী জীবনের জন্য প্রস্তুতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। নবীজি (সা.) কখনো অপ্রয়োজনীয় সম্পদ সঞ্চয় করেননি এবং সব সময় দানশীলতার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উৎসাহিত করেছেন।

দানের সংস্কৃতি

আজকের বিশ্বে ভোগবাদী সংস্কৃতি আমাদের জীবনকে জটিল করে তুলেছে। ক্রেডিট কার্ড, সহজলভ্য ঋণ এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের ক্রমাগত কেনাকাটার দিকে প্রলুব্ধ করে। আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম, যেমন আমাদের দাদা-দাদিরা, সীমিত সম্পদের মধ্যে সরল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু গত কয়েক দশকে বিশ্বব্যাপী মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান এবং সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ আমাদের ভোগবাদী প্রবৃত্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুনখাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে ইসলামের নির্দেশনা০৯ জুন ২০২৫

কিন্তু ইসলাম আমাদের শেখায়, প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করা লোভ ও কৃপণতার দিকে নিয়ে যায়, যা একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়।

ইসলাম আমাদের জীবনকে সরল করার পাশাপাশি আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উৎসাহিত করে। আমরা চাইলে মাসিক বাজেটের একটি অংশ দানের জন্য বরাদ্দ করতে পারি।

যে ব্যক্তি নিজের সম্পদে সংযমী হয় এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৯৪

বিয়ের মতো উৎসবে আমরা বিলাসবহুল আয়োজনের পরিবর্তে সরলতা বেছে নিতে পারি। উপহারের পরিবর্তে আমরা দাতব্য সংস্থায় দানের জন্য অনুরোধ করতে পারি। এমনকি আমাদের একটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে সেই অর্থ স্থানীয় মসজিদে দান করতে পারি।

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের সম্পদে সংযমী হয় এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৯৪)।

আমাদের ভালো কাজ এবং দানশীলতা পরকালে যেমন উপকারে আসবে, তেমনি সমাজের জন্যও হবে কল্যাণকর। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দানশীলতার দিকে মনোযোগ দিলে সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের জীবন উন্নত হবে।

ভোগবাদী জীবন মানুষকে অস্থির করে তোলে এবং ন্যূনতম খরচের জীবনধারা মানুষকে তৃপ্তির জীবন উপহার দেয়। এটি একই সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেরও একটি পথ।

আমরা যদি আমাদের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আল্লাহর পথে ব্যয় করি, তবে তা আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে সমৃদ্ধ করবে। ন্যূনতমবাদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের প্রকৃত সুখ পার্থিব সম্পদে নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের প্রস্তুতিতে নিহিত।

আরও পড়ুনআধুনিক এই প্রবণতার শিকড় ইসলামে২০ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ