Prothomalo:
2025-06-16@02:50:25 GMT

ছাড় পাননি কোচ বাটলারও

Published: 6th, February 2025 GMT

বাফুফের বিশেষ কমিটির প্রতিবেদন সাবিনা খাতুনদের বিপক্ষে যাচ্ছে, আগের দিনই জানা গিয়েছিল তা। কার্যত সেটাই হয়েছে। কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রতিবেদন দিয়েছে বিশেষ কমিটি। তবে প্রতিবেদনে ছাড় পাননি কোচ পিটার বাটলারও। তাঁর বিরুদ্ধেও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনটি আজ রাত ৯টার পর বাফুফের সভাপতির দপ্তরে জমা দিয়েছে বাফুফে গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের একুশে পদক পাওয়ার ঘোষণা আসে সরকারের তরফ থেকে। প্রতিবেদন দেওয়ার সময় মেয়েদের একুশে পদকপ্রাপ্তির বিষয়টি কমিটিকে প্রভাবিত করেছে কি না, সে প্রশ্ন এসেছে।

রাত সাড়ে নয়টায় বাফুফে ভবনের নিচে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে বিশেষ কমিটির প্রধান বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘নারী ফুটবল দলের একুশে পদক পাওয়া শুধু ফুটবল নয়, বাংলাদেশের যেকোনো খেলার জন্য বড় প্রাপ্তি। বাফুফে, সংশ্লিষ্ট পক্ষ, খেলোয়াড়দের কাছে আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞ। নারী দলের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু সবচেয়ে বড় হলো শৃঙ্খলা।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে আবেগ যেমন ছিল, তারা (মেয়েদের) সাফল্য পেয়েছে, সব দিক বিবেচনা করেই প্রতিবেদন দিয়েছি আমরা। সেখানে মেয়েদের সাফল্য বা ব্যর্থতা প্রভাবক হিসেবে কাজ করেনি।’

আমরা প্রায় প্রতিদিনই অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য শুনেছি। সেই আলোকে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিছু সুপারিশ করেছিবিশেষ কমিটির প্রধান ইমরুল হাসান

প্রতিবেদন তো জমা হলো। এরপর কী? ইমরুল জানিয়েছেন, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এককভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, নাকি খেলায়াড়দের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন, না বাফুফের সভা ডাকবেন, সে সিদ্ধান্ত তাঁর। নারী ফুটবলে অচলাবস্থা নিরসনে গত শনিবার থেকে কাজ করার কথা জানিয়ে ইমরুল বলেছেন, ‘আমরা প্রায় প্রতিদিনই অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য শুনেছি। সেই আলোকে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিছু সুপারিশ করেছি।’

শোনা গিয়েছিল, ইংল্যান্ড থেকে কাল ঢাকায় ফেরা বাফুফে সভাপতি আজ বাফুফে ভবনে আসতে পারেন এবং নিজ হাতে প্রতিবেদন নিতে পারেন। তবে তিনি ভবনে আসেননি। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাফুফে সভাপতি কী ব্যবস্থা নেন, সেদিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

বাফুফের বিশেষ কমিটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়েরা গত ২৯ জানুয়ারি বাফুফে সভাপতির কাছে কোচের বিরুদ্ধে চিঠি লিখে পরদিনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে এনে ঠিক কাজ করেননি। তাঁরা বাফুফে সভাপতিকে কোনো সময় দেননি।

কোচ না বদলালে খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেন নারী ফুটবলাররা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ষ কম ট ক জ কর ফ টবল ইমর ল

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ