তিন ভাই আর এক বোনের মধ্যে মিনহাজ ছিল সবার ছোট আর আদরের। তার ভালোবাসাও ছিল একটু বেশি। ১০ মাস হলো বিয়ে হয়েছে। ঘরে আসছে নতুন সদস্য। পরিবারে সবার মনে আনন্দ! এরই মাঝে মিনহাজের ভগ্নিপতি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। আনন্দ বেড়েছে দ্বিগুণ। মিনহাজের বাবা-মা ছিলেন গ্রামের বাড়িতে। মিনহাজেরও যাওয়ার কথা ছিল সেখানে। মায়ের জন্য কি ওষুধ লাগবে ফোন দিয়ে জেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু ওষুধ নিয়ে তিনি আর মায়ের কাছে যেতে পারেননি। বাড়ি যাওয়ার আগেই সামান্য বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে খুন হন মিনহাজ।  

গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে দনিয়া কলেজের সামনে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে খুন করা হয় মিনহাজকে। মিনহাজ ডিপ্লোমা-ইন-টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। জড়িত ছিল ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে। 

খুনের ঘটনায় বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে ‘কিং মাহফুজ’সহ ৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ। ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘‘দনিয়া কলেজে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মিনহাজের সঙ্গে আসামিদের তর্কবিতর্ক হয়। এছাড়া দনিয়া কলেজের সামনের ফুডকোট নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এক পক্ষ বলছিল- তুলে দিকে, আরেক পক্ষ বলেছে থাকুক। এসব  নিয়েই মিনহাজকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়।’’

‘‘এই হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এখনো পাওয়া যায়নি।’’ বলেন আশরাফুজ্জামান। 

মিনহাজের বাবা হাফেজ ক্বারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার অনেক আদরের সন্তান। ছেলেটাকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছিলাম। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’’

মা নার্গিস বেগমও ছেলে হত্যার বিচার চান। দোষীদের ফাঁসি চান তিনি। 

স্ত্রী মিষ্টি হাওলাদার বলেন, ‘‘ঘটনাটা ছিল আধিপত্য বিস্তার করার জন্য। আর পুরো পরিকল্পিত। তারা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল মিনহাজকে খুন করবে।’’

মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘একটা মানুষকে মারতে এতোটা ছুরির আঘাত করতে হয়? ২৮টা আঘাত! এতো ক্ষোভ ছিল ওর ওপর? কি কারণে এতো ক্ষোভ?’’

‘‘যারা ওকে খুন করেছে তারা মাদক ব্যবসায়ী। তাদের গ্রেপ্তার না করলে অন্যদেরও তারা খুন করবে। আরও মায়ের বুক খালি হবে। এভাবে মৃত্যু কামনা করি না। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। অনাগত সন্তানের মুখটা দেখে যেতে পারলো না।’’

ফুফাতো ভাই হাসিবুর রহমান বলেন, ‘‘মিনহাজ ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হামলারও শিকার হয়। সুস্থ হয়ে আবার রাজনীতিতে ফেরে। ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল, নেতৃত্ব দিয়েছিল। ৫ তারিখের পর আমরা যেরকম বাংলাদেশ চাচ্ছিলাম, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, সিন্ডিকেট মুক্ত বাজার। মিনহাজ এর জন্য কাজ করেছে। কিন্তু দেখা গেলো চাঁদা তোলার দৃশ্য। দনিয়া কলেজের সামনে মেয়েদের ইভটিজিং করা হতো। কলেজের সাথে সমন্বয় করে মিনহাজ ও তার বন্ধুরা সুন্দরভাবে কাজ করছিল। দনিয়া ও এর আশেপাশের এলাকা দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য। এই ব্যাপারটাই ওর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।’’

‘‘যারা ওখনকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের নেতৃত্বে আছে এবং আসাদুজ্জামান হৃদয়ের ব্যাপারেও আমরা জানতে পেরেছি। তাদের ছত্রছায়ায় চোরাই মাহফুজ ওরফে কিং মাহফুজ অনেক দিন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের বাধা দেয়ার কারণে মিনহাজকে খুন করা হয়।’’ 

‘‘কিং মাহফুজ আওয়ামী, ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় চলতো। ৫ তারিখের পর সে ভোল পাল্টে ফেলে। সারজিস আলম ভাই একবার দনিয়া কলেজ আসেন। তখন আশিকুজ্জামার হৃদয় নামে একজন নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে। তার বিরুদ্ধে মিনহাজ আওয়াজ তোলে। বলে, ৫ তারিখের আগ পর্যন্ত আপনার কোনো অ্যাক্টিভিটিস দেখিনি। আপনি কিভাবে সমন্বয়ক হন? এ কারণে কিং মাহফুজের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। কিং মাহফুজ সমন্বয়কদের আশেপাশে ঘুরে ভালো ইমেজ তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এ কাজে বাধা দেওয়ার কারণে মিনহাজের সঙ্গে তার ঝামেলা শুরু হয়।’’ বলেন হাসিবুর রহমান। 

চাচা এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘‘মাহফুজ চাঁদাবাজি করতো। ছিনতাইকারীর লিডার। ভুয়া সমন্বয়ক আশিকুজ্জামান হৃদয়ের সহায়তায় সে বাজারে চাঁদাবাজি করতো। এর প্রতিবাদ করায় মিনহাজকে খুন করা হয়েছে।’’

‘‘৩৫ বছর ধরে মিনহাজের বাবা রাজনীতি করে। মামলা, জেল খেটেছেন। আজ রাষ্ট্র তাকে ছেলের লাশ উপহার দিয়েছে। স্বাধীন দেশে ভাতিজার লাশ উপহার পেয়েছি।’’ বলেন এনামুল হক। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি দনিয়া কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মিনহাজের সঙ্গে আসামিদের তর্কবিতর্ক ও বিরোধের সৃষ্টি হয়।  ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪ টার দিকে মিনহাজ তার বন্ধু আহাদের সাথে দনিয়া কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলেজের ১ নম্বর গেটের সামনে এজাহারনামী আসামিরা মিনহাজকে কুপিয়ে জখম করে। আহাদকেও তারা মারধর করে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টার দিকে মিনহাজকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন মাহফুজ সরকার, জাহিদুল ভূঁইয়া শাওন, সাব্বির সরকার, আশিক, কাওছার মিয়া, শাহ আলম এবং সোহান মিয়া।

তারা//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র স র স মন খ ন কর র র জন র জন ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দুনিয়ায় প্রত্যেক মুসলিমকে যেসব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে

জীবন একটি পরীক্ষার ময়দান, যেখানে আমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও কষ্টের মুখোমুখি হই। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, সম্পদের ক্ষতি, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দিয়ে। আর যারা ধৈর্য ধরে, তাদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫)

এই পরীক্ষাগুলো প্রায়ই আমাদের হতাশ বা বিমর্ষ করে তুলতে পারে, কিন্তু ইসলাম আমাদের শেখায় যে এই কষ্টগুলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম এবং পরকালে চিরস্থায়ী সুখের পথ প্রশস্ত করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এই দুনিয়ার জীবন তো কেবল ক্ষণস্থায়ী ভোগ, আর পরকালই হলো চিরস্থায়ী আবাস।’ (সুরা গাফির, আয়াত: ৩৯)

পরীক্ষার উদ্দেশ্য

ইসলামে পরীক্ষা বা কষ্টকে আল্লাহর রহমতের অংশ হিসেবে দেখা হয়। এগুলো আমাদের পাপ থেকে মুক্তি, আল্লাহর ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি, নিজেকে নম্র করা এবং তাঁর নৈকট্য লাভের মাধ্যম।

আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, সম্পদের ক্ষতি, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দিয়ে। আর যারা ধৈর্য ধরে, তাদের সুসংবাদ দাও।সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫

পরীক্ষা আমাদের ধৈর্য ও বিশ্বাস যাচাই করে এবং এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারি। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যখনই তুমি আল্লাহর জন্য কিছু ত্যাগ করবে, আল্লাহ তা তোমার জন্য আরও উত্তম কিছু দিয়ে প্রতিস্থাপন করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৩,০৭৪)

আরও পড়ুনযে ৪টি পরীক্ষা নবীজি (সা.)–এর জীবনকে দৃঢ়তা দিয়েছে২২ জুলাই ২০২৫পরীক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য

দুনিয়ার জীবন সাময়িক এবং এর কষ্টগুলো ক্ষণস্থায়ী। আমরা প্রায়ই দুনিয়ার সমস্যায়, যেমন অর্থনৈতিক সংকট, সম্পর্কের জটিলতা বা সামাজিক চাপ, এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ি যে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ভুলে যাই। পবিত্র কোরআন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ‘কিন্তু যে ব্যক্তি তার প্রভুর সামনে দাঁড়ানোর ভয় করেছে এবং নিজের নফসকে অবৈধ কামনা থেকে বিরত রেখেছে, তার জন্য জান্নাতই হবে আশ্রয়।’ (সুরা নাজিয়াত, আয়াত: ৪০–৪১)

ইবন কাইয়্যিম (রহ.) বলেছেন, ‘যদি আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য পর্দা তুলে দিতেন এবং তাকে দেখাতেন, কীভাবে তিনি তার জন্য সবকিছু পরিচালনা করেন, তবে তার হৃদয় আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় গলে যেত এবং কৃতজ্ঞতায় টুকরা টুকরা হয়ে যেত। তাই যদি দুনিয়ার কষ্ট তোমাকে ক্লান্ত করে, তবে দুঃখ করো না। হয়তো আল্লাহ তোমার দোয়ার কণ্ঠ শুনতে চান।’ (ইবন কাইয়্যিম, আল–ফাওয়ায়িদ, পৃষ্ঠা ১২৮, বৈরুত: দারুল কুতুব আল–ইলমিয়্যাহ, ১৯৯৬)

পরীক্ষা আমাদের ধৈর্য ও বিশ্বাস যাচাই করে এবং এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারি।

পরীক্ষা আমাদের আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায়। এটি আমাদের নম্র করে, আমাদের পাপমুক্তি ঘটায় এবং আল্লাহর ওপর নির্ভরতা বাড়ায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ায় যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি কষ্ট ও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে, তাকে জান্নাতে একবার ডুবিয়ে দেওয়া হবে এবং জিজ্ঞাসা করা হবে, ‘হে আদম সন্তান, তুমি কি কখনো কোনো কষ্ট দেখেছিলে? তুমি কি কখনো দুঃখ অনুভব করেছিলে?’ সে বলবে, ‘না, হে আমার রব! আমি কখনো কোনো কষ্ট দেখিনি, কখনো কোনো দুঃখ অনুভব করিনি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর–২৮০৭)

আরও পড়ুনবালকের ঈমানের পরীক্ষা ও বাদশাহের নির্মম পরিণতি০৪ মে ২০২৪আল্লাহর পরিকল্পনায় ভরসা

পরীক্ষার সময় মনে রাখতে হবে যে আল্লাহর পরিকল্পনা আমাদের পরিকল্পনার চেয়ে উত্তম। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হয়তো তোমরা এমন কিছু অপছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর এমন কিছু পছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জানো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২১৬)

এই আয়াত আমাদের শেখায় যে কষ্টের পেছনে আল্লাহর একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য রয়েছে।

হয়তো তোমরা এমন কিছু অপছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর এমন কিছু পছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জানো না।সুরা বাকারা, আয়াত: ২১৬

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি পরকালের জন্য চিন্তিত থাকে, আল্লাহ তার বিষয়গুলো সহজ করে দেবেন, তার হৃদয়ে তৃপ্তি দেবেন এবং দুনিয়া তার কাছে আসবে, যদিও সে তা অপছন্দ করে।’ (ইবন মাজাহ, হাদিস: ৪১০৫)

পরীক্ষায় ধৈর্য ও দোয়া

পরীক্ষার সময় ধৈর্য ধরা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক, আয়াত: ৩) দোয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের হৃদয়ের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করি এবং তাঁর রহমতের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করি।

ইবন কাইয়্যিম (রহ.) বলেছেন, ‘যদি দুনিয়ার কষ্ট তোমাকে ক্লান্ত করে, তবে সিজদায় তোমার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করো এবং জেনে রাখো, আল্লাহ কখনো ভোলেন না।’ (আল–ফাওয়ায়িদ, পৃষ্ঠা ১৩০, বৈরুত: দারুল কুতুব আল–ইলমিয়্যাহ, ১৯৯৬)

আমরা যদি আল্লাহকে আমাদের হৃদয়ের কেন্দ্রে রাখি, তবে কোনো পরীক্ষাই আমাদের ভেঙে দিতে পারবে না।

জীবনের পরীক্ষাগুলো আমাদের আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায়, আমাদের হৃদয়কে বিশুদ্ধ করে এবং পরকালে জান্নাত লাভের পথ প্রশস্ত করে। দুনিয়ার কষ্ট ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর ভালোবাসা ও রহমত চিরস্থায়ী।

আমরা যদি আল্লাহকে আমাদের হৃদয়ের কেন্দ্রে রাখি, তবে কোনো পরীক্ষাই আমাদের ভেঙে দিতে পারবে না; বরং নবীজি (সা.)–এর শিক্ষা ও ধৈর্য, দোয়া এবং আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে আমরা জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় বিজয়ী হতে পারব।

আরও পড়ুনত্যাগের পরীক্ষা, সফলতার উদ্যাপন০১ আগস্ট ২০২০

সম্পর্কিত নিবন্ধ