উড়োজাহাজে যাত্রীর হার্ট অ্যাটাক, শাহ আমানতে জরুরি অবতরণ
Published: 7th, February 2025 GMT
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ঢাকাগামী একটি উড়োজাহাজে ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেন একজন যাত্রী। এ অবস্থায় সবচেয়ে কাছাকাছি ছিল চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন উড়োজাহাজের পাইলট। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে এই ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে খবর পেয়ে শাহ আমানত বিমানবন্দরে চিকিৎসকসহ কর্মকর্তারা প্রস্তুত ছিলেন । রাত দেড়টায় উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণের পরই চিকিৎসক ওই যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে তিনি মারা গেছেন।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ওই যাত্রীর নাম সাজ্জাদ। তিনি উড়োজাহাজটির ৩৪–এইচ আসনে ছিলেন। শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর থাই এয়ারওয়েজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা ওই মৃত ব্যক্তিকে উড়োজাহাজে রেখেই ঢাকায় নিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার কথা জানান। তিনি বলেন, রাত ৩টা ৪০মিনিটে উড়োজাহাজটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫