হাসিনার বক্তব্য ঘিরে ক্ষোভ: বিভিন্ন জেলায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় উদ্বেগ
Published: 8th, February 2025 GMT
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তিন দিন ধরে বিভিন্ন স্থাপনা ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভীতির সঞ্চার হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুই দিনে তিনটি বিবৃতি দিতে হয়েছে।
দেশে এমন একটা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসের মাথায়, যখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছিল।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও জনগণকে শান্ত হওয়ার জন্য এবং সরকারকে কাজ করতে দিতে আহ্বান জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তবে ঘটনা পুরোপুরি থামানো যায়নি।
এর পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটির কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের অর্ধশত ম্যুরাল ভাঙা হয়। এসব ঘটনা ঘটেছে ৩৫টির বেশি জেলায়।এমন পরিস্থিতির জন্য গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যমূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্যকে দায়ী করা হয়। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। যার জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ছয় মাস পূর্তির দিন ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ শুরু করেন। এর আগে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ ও ‘বুলডোজার মিছিল’-এর ডাক দেওয়া হয়। রাত আটটা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ওই রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডি ৫ নম্বরে সুধা সদনে। সেটি শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বাড়ি।
ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িটিতে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে গতকাল শুক্রবার সকালে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর স থ ত সরক র র ধ নমন ড
এছাড়াও পড়ুন:
নবজাতকের চোখে পুঁজ কেন হয়, কেন পানি পড়ে
ছবি: প্রথম আলো