ঢাবির সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
Published: 8th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ দেড় ঘণ্টা পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৪১ হাজার ভর্তিচ্ছু এতে নিয়েছেন। ঢাবির ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও রয়েছেন।
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক সংগঠনের হেল্প ডেস্ক দেখা গেছে।
পরীক্ষা শুরুর আগে রাকিব নামের এক ভর্তি পরীক্ষার্থী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিতে এসেছি। জানি না পরীক্ষা কেমন হবে। কিছুটা ভয় ভয় করছে।”
পরীক্ষা শেষে তানিয়া নামে এক পরীক্ষার্থী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে। প্রত্যাশা করছি ফলাফল আশানুরূপ হবে। এবারের প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। তবে ঢাবির পরীক্ষার প্রশ্ন তো মনে হয় সহজ, অথচ কঠিন। বাড়িতে গিয়ে মিলিয়ে দেখলে বুঝতে পারব।”
ঢাবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় ছাড়া সবকিছুই ঠিকঠাক চলেছে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন থেকে পরীক্ষা দেওয়া পর্যন্ত কোন সমস্যার সম্মুখীন হইনি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ বলেন, “এটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক একটি পরীক্ষা। দেশের আটটি বিভাগের ৬৭টি কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহু মানুষের কঠিন পরিশ্রম আছে এ রকম একটি আয়োজনে।”
তিনি বলেন, “আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে অভিভাবকদের অভিবাদন জানানোর জন্য একটু সামান্য কিছু চেষ্টা আমরা করেছি। যাতায়াত ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাটা যাতে আগের চেয়ে একটু ভালো হয় সেজন্য চেষ্টা করেছি। বিএনসিসি স্কাউটস গাইডস আনসার ভিক্টোরিয়াল টিমসহ একটা বড় অংশ এখানে ভলান্টিয়ারের কাজ করছেন।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন রয়েছে ৬ হাজার ১০টি। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। এ ছাড়া কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪, বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৯৬ এবং চারুকলা ইউনিটে কোটাসহ ১৩০টি আসন রয়েছে।
এবার পাঁচটি ইউনিটে ৩ লাখ ২৯ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আসনপ্রতি আবেদন পড়েছে প্রায় ৫৫টি। বেশি আবেদন পড়েছে বিজ্ঞানে ১ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি। অনলাইন ভর্তি কমিটির তথ্য অনুযায়ী, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮টি আবেদন পড়ে।
ব্যবসায় শিক্ষায় ৪০ হাজার ৯৭৩, চারুকলায় ৬ হাজার ৮৩ এবং আইবিএ ইউনিটে ১০ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, ৩ জানুয়ারি আইবিএ ইউনিট, ৪ জানুয়ারি চারুকলা ইউনিট (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) এবং ২৫ জানুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবাসাইট থেকে জানা যাবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ ঞ ন ইউন ট পর ক ষ র থ উপ চ র য ইউন ট র র জন য ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ফয়েজ হামিদ ২০২৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন। ওই সময় পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফয়েজ হামিদ। ইমরান খান তাঁকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে নির্ধারিত সময়ের আগে অবসরে যান গোয়েন্দাপ্রধান ফয়েজ হামিদ।
পাকিস্তানের সামরিক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের পর আইএসআইয়ের প্রধানকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটিতে এর আগে আইএসআইয়ের কোনো প্রধানকে কখনোই সামরিক আদালতে বিচার করা হয়নি।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে পাকিস্তানের সামরিক আইনের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলেছে।
ফয়েজ হামিদের আইনজীবী মিয়া আলি আশফাক বলেন, বর্তমানে সেনা হেফাজতে থাকা তাঁর মক্কেল ‘এক হাজার শতাংশ’ নির্দোষ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
আরও পড়ুনপাকিস্তানে প্রথমবারের মতো বিচারের মুখে সাবেক আইএসআই প্রধান১২ আগস্ট ২০২৪