ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ দেড় ঘণ্টা পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৪১ হাজার ভর্তিচ্ছু এতে নিয়েছেন। ঢাবির ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও রয়েছেন।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক সংগঠনের হেল্প ডেস্ক দেখা গেছে।

পরীক্ষা শুরুর আগে রাকিব নামের এক ভর্তি পরীক্ষার্থী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিতে এসেছি। জানি না পরীক্ষা কেমন হবে। কিছুটা ভয় ভয় করছে।”

পরীক্ষা শেষে তানিয়া নামে এক পরীক্ষার্থী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে। প্রত্যাশা করছি ফলাফল আশানুরূপ হবে। এবারের প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। তবে ঢাবির পরীক্ষার প্রশ্ন তো মনে হয় সহজ, অথচ কঠিন। বাড়িতে গিয়ে মিলিয়ে দেখলে বুঝতে পারব।”

ঢাবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় ছাড়া সবকিছুই ঠিকঠাক চলেছে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন থেকে পরীক্ষা দেওয়া পর্যন্ত কোন সমস্যার সম্মুখীন হইনি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খান বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবনস্থ পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ বলেন, “এটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক একটি পরীক্ষা। দেশের আটটি বিভাগের ৬৭টি কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহু মানুষের কঠিন পরিশ্রম আছে এ রকম একটি আয়োজনে।”

তিনি বলেন, “আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে অভিভাবকদের অভিবাদন জানানোর জন্য একটু সামান্য কিছু চেষ্টা আমরা করেছি। যাতায়াত ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাটা যাতে আগের চেয়ে একটু ভালো হয় সেজন্য চেষ্টা করেছি। বিএনসিসি স্কাউটস গাইডস আনসার ভিক্টোরিয়াল টিমসহ একটা বড় অংশ এখানে ভলান্টিয়ারের কাজ করছেন।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন রয়েছে ৬ হাজার ১০টি। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। এ ছাড়া কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪, বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৯৬ এবং চারুকলা ইউনিটে কোটাসহ ১৩০টি আসন রয়েছে।

এবার পাঁচটি ইউনিটে ৩ লাখ ২৯ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আসনপ্রতি আবেদন পড়েছে প্রায় ৫৫টি। বেশি আবেদন পড়েছে বিজ্ঞানে ১ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি। অনলাইন ভর্তি কমিটির তথ্য অনুযায়ী, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮টি আবেদন পড়ে। 

ব্যবসায় শিক্ষায় ৪০ হাজার ৯৭৩, চারুকলায় ৬ হাজার ৮৩ এবং আইবিএ ইউনিটে ১০ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

এর আগে, ৩ জানুয়ারি আইবিএ ইউনিট, ৪ জানুয়ারি চারুকলা ইউনিট (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) এবং ২৫ জানুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবাসাইট থেকে জানা যাবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ ঞ ন ইউন ট পর ক ষ র থ উপ চ র য ইউন ট র র জন য ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় চীনা বহুজাতিক কোম্পানি টেনসেন্ট

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি টেনসেন্ট। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, বাংলাদেশে এসেছে মার্কিন জায়ান্ট স্টারলিংক। আজ (সোমবার) তাদের লাইসেন্স আবেদন অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশে বিগ টেক জায়ান্ট আসার যাত্রাটা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরেই শুরু হলো। এভাবে আসবে আরও অনেকেই।

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে একই পোস্টে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, আজ আমরা চায়নিজ জায়ান্ট টেনসেন্টের সঙ্গে অফিশিয়ালি বসেছি। তারাও বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের দ্রুততম সময়ে পলিসি সাপোর্টের আশ্বাস দিয়েছি।

অসাইরিস গ্রুপও বাংলাদেশে আসছে বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে হাইপার স্কেলার ক্লাউড ও ডেটা সেন্টার হবে বাংলাদেশি ডাটা ও ক্লাউড কোম্পানি যাত্রার হাত ধরে। এখানে হচ্ছে বিগ জায়ান্টদের জন্য বিশ্বমানের সিকিউরড ক্লাউড সে-আপ, যেখানে আসতে পারে মেটা, গুগলের পেলোড। এমন অভাবনীয় সব উপহার বাংলাদেশকে দিতে চলছেন অধ্যাপক ইউনূস।

কী ব্যবসা করে টেনসেন্ট

টেনসেন্টের ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য মতে, চীনের শেনজেনভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। টেনসেন্ট নিজেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু ভিডিও গেমসহ অন্যান্য উচ্চমানের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে।

টেনসেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকদের ডিজিটাল রূপান্তর ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য তারা ক্লাউড কম্পিউটিং, বিজ্ঞাপন, ফিনটেক ও অন্যান্য এন্টারপ্রাইজ সেবা দিয়ে থাকে। চীনের জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানকারী অ্যাপ (ম্যাসেজিং অ্যাপ) উইচ্যাটের মালিক টেনসেন্ট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়েও কাজ করে কোম্পানিটি।

টেনসেন্ট ২০০৪ সাল থেকে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফরচুন সাময়িকীর ২০২৪ সালের ‘ফরচুন গ্লোবাল ৫০০’ কোম্পানির তালিকায় টেনসেন্টের অবস্থান ছিল ১৪১তম।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বের গেমশিল্পের বাজার ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা সমন্বিতভাবে সংগীত ও সিনেমাশিল্পের থেকেও বেশি। এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও গেমশিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই শিল্পের বিকাশ হলে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আর তাই বাংলাদেশের গেমশিল্প ও ডিজিটাল খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীনের অন্যতম বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট।

২০২১ সালে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সে সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের ভিডিও গেমশিল্পের বাজার নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। তবে শিল্পের সঙ্গে জড়িত দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরা তখন বলছিলেন, এ বাজার ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৪২৮ কোটি টাকার মতো হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
  • ।।  বাংলাদেশি কবিতা বিরল সম্মাননা ।।
  • সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
  • সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক 
  • সাবেক প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • জবির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে ৮ বছর ধরে একই চেয়ারম্যান
  • ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের সাক্ষাৎ
  • বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক
  • বাংলাদেশে আসতে চায় চীনা ইন্টারনেট জায়ান্ট টেনসেন্ট
  • বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় চীনা বহুজাতিক কোম্পানি টেনসেন্ট