‘সিএসই শুরু থেকেই নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে’
Published: 9th, February 2025 GMT
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) শুরু থেকেই নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে আসছে। অতীতে সিএসইই প্রথম অটোমেটেড হয়েছিল এবং এখন কাজ করছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য। তাই আজকের কর্মশালার প্রোডাক্ট নিয়ে আমারা আশাবাদী।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সিএসইর উদ্যোগে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ‘অটোমেশন অব ওপেন অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড’ বিষয়ক একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবু আহমেদ বলেন, “আমারা আশা করছি, যারা সুদবিহীন বিনিয়োগে আগ্রহী তাদের জন্য এই প্রোডাক্টটি তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। আমাদের ইকোনমি ভালো হচ্ছে এবং সামনে আরো ভালো হবে। তবে অবশ্যই পলিসি লেভেলে আমাদের সমন্বিত কাজ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তবে আমাদের ইনভেস্টররা বিনিয়োগের ভালো পরিবেশের সঙ্গে ভালো রিটার্ন পাবেন। সর্বোপরি সিএসইর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং খুব দ্রুত এই প্রোডাক্টের দ্বার উন্মোচিত হওয়ার শুভ কামনা করছি।”
বিএসইসির সম্মানিত অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর শেখ লুতফুল কবির বলেন, “পেপার শেয়ার থেকে ‘অর্ডার কালেকশন সিস্টেমের (ওসিএস) মাধ্যমে লেনদেন হলে এএমসি লাভবান হবেন। এক্ষেত্রে এএমসিদেরকেই এগিয়ে আশা উচিত। তবে দেরীতে হলেও এই সিস্টেম উন্মুক্ত হলে এবং আমরা সবাই মিলে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে আমাদের পুঁজিবাজার উপকৃত হবে।’
সিএসইর সম্মানিত চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “সিএসই সব সময়ই নতুন প্রোডাক্ট আনয়নে অগ্রগামী। আজকের আয়োজনও নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে।”
অনুষ্ঠানটি উদ্ভোধন করেন আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.
কর্মশালায় ওপেন অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডের অটোমেশন প্রস্তাবনার বিষয়ক বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন সিএসইর ডিজিএম অ্যান্ড হেড অব বিজনেস প্রমোশন মোহাম্মদ মনিরুল হক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কাজী মাহফুজ মোরশেদ। টেকনলজিক্যাল বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন কোয়ান্ট ফিনটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাতেক মিনার।
কর্মশালায় ওপেন অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডের অটোমেশন অর্থাৎ ওয়েব ভিত্তিক লেনদেন প্লাটফর্মের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এই লেনদেন আল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে লেনদেন উপযোগী হবে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স এসইর আম দ র ক জ কর স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি
পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা পর্যবেক্ষণে অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
তাই বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে করে কমিশন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজার নিম্নমুখী প্রবণতার কারণ খতিয়ে দেখতে বেশ কিছু শর্ত নির্ধারণ করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা রাইজিংবিডি ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
‘অরেঞ্জ বন্ড অন্তর্ভুক্তিমূলক পুঁজিবাজার তৈরির সুযোগ দিচ্ছে’
যমুনা অয়েলের ৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৩৭.৭৮ শতাংশ
তদন্তের বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) অবহিত করা হয়েছে।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন-বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমান, উপ-পরিচালক মুহাম্মদ ওরিসুল হাসান রিফাত, ডিএসইর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান এবং সিডিবিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী মিনহাজ উদ্দিন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজারের হাল ধরেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। ওই দিন অর্থাৎ ১৯ আগস্ট ডিএসইর প্রধান ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫৭৭৫.৪৯ পয়েন্টে। তিনি কাজে যোগ দেওয়ার ৮ মাস অতিবাহিত হলেও পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফিরে আসেনি। বরং, ক্ষেভে বিনিয়োগকারীরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
সর্বশেষ সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৫২.৭৯ পয়েন্টে। ফলে প্রায় ৮ মাসে ডিএসইএক্স সূচক ৮২২.৭০ পয়েন্ট কমেছে।
এমন পরিস্থিতি বিএসইসির গঠিত তদন্ত কমিটি সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজার নিম্নমুখী প্রবণতার কারণ খতিয়ে দেখবে। এ কাজে কোনো কারসাজি চক্র জাড়িত আছে কি-না এবং বাজারে চক্রান্তকারী গুজব রটিয়েছে কিনা-তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে।
বিএসইসির তদন্তের আদেশ
সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারের নিম্নমুখী প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করেছে বিএসইসি, যা অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে। তাই কমিশন বিষয়টি পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নম্বর XVII) এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিও অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৫ নম্বর আইন) এর ১৭(ক) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন আলোচ্য বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। উক্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিএসইসি, ডিএসই এবং সিডিবিএলের ৪জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো। গঠিত তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে।
যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি
ডিএসইএক্স সূচকের সাম্প্রতিক পতনের কারণ চিহ্নিত করা। বাজারে গুজব ছড়ানোর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা অন্য কোনো আনুষঙ্গিক বিষয় থাকলে তা চিহ্নিত করা। গঠিত তদন্ত কমিটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর জন্য সুপারিশ প্রদান করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজার নিম্নমুখী প্রবণতার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটি কি কি কারণে বাজার পতনমুখী প্রবণতায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর জন্য কি কি করা প্রয়োজন সে বিষয়েও সুপারিশ প্রদান করবে তদন্ত কমিটি।”
ঢাকা/এনটি/এসবি