চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রাথমিক স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গতি তারকা এনরিখ নরখিয়া। তবে ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ছিটকে যান তিনি। এবার তার বদলি হিসেবে অলরাউন্ডার কোরবিন বসকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

পিঠের চোটের কারণে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন নরখিয়া। প্রায় দেড় বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো না তার। ইনজুরির কারণে শেষ মুহূর্তে স্কোয়াড থেকে ছিটকে যান এই গতিমানব।

তার পরিবর্তে ডাক পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার কোরবিন বস। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে থাকছেন কোয়েনা মপাখা।

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ