চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রাথমিক স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গতি তারকা এনরিখ নরখিয়া। তবে ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ছিটকে যান তিনি। এবার তার বদলি হিসেবে অলরাউন্ডার কোরবিন বসকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

পিঠের চোটের কারণে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন নরখিয়া। প্রায় দেড় বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো না তার। ইনজুরির কারণে শেষ মুহূর্তে স্কোয়াড থেকে ছিটকে যান এই গতিমানব।

তার পরিবর্তে ডাক পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার কোরবিন বস। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে থাকছেন কোয়েনা মপাখা।

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ