গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আমজাদ হোসেন মোল্লা নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৪ জনকে।  

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো.

আব্দুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সিদ্দিক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় নাম না জানা অনেককে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি

নামাজের সময় গানবাজনার অভিযোগ
কলেজের অনুষ্ঠানে হামলা, চেয়ার-বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর

গাজীপুর মহানাগরীর ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে গত শুক্রবার রাতে। খবর পেয়ে গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের নেতারা হামলার প্রতিহত করতে যান। এসময় স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। এরপর একদল লোক এসে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করে। ওই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

হামলার ঘটনায় আজ সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে একটি মামলার আবেদন করেন। মামলাটি বিকেল সাড়ে ৩টায় রুজু করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আমজাদ হোসেন মোল্লাকে। এখন পযন্ত ওই মামলায় ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সিদ্দিক হোসেন বলেন, ‍“হামলাকারীদের মধ্যে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এদিকে, চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ গাজীপুর জেলা ও মহানগর থেকে ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গাজীপুর মেট্রোপলিটন থেকে ৪১ জন ও জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ অ্যান্ড অপস) তাহেরুল হক এবং গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।   

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ঘটন য় র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ