Risingbd:
2025-05-01@09:38:43 GMT

ধূসর অতীত পেরিয়ে আলোর অপেক্ষা

Published: 9th, February 2025 GMT

ধূসর অতীত পেরিয়ে আলোর অপেক্ষা

এমন অনেক প্রতিযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ যেখানে অংশগ্রহণই ছিল শেষ কথা! নিজেদের আগামনী বার্তা দেওয়া, কিছু করে দেখাতে পারে জানান দেওয়া ছিল মূল উদ্দেশ্য। তাতে প্রত্যাশিত ফল পরাজয়কেই সঙ্গী করেছেন স্বপ্নসারথীরা। সেই পরাজয় এক সময়ে স্তুপে পরিণত হয়। সেখান থেকে পাহাড়। কালেভাদ্রে লড়াই হয়েছে, জয়ের অমৃত স্বাদও পেয়েছে; কিন্তু ধারাবাহিকতা থাকেনি।

সময় পাল্টে সেসব প্রতিযোগিতায় এখন বাংলাদেশ জিততে শিখে গেছে। যেসব প্রতিপক্ষ, যেসব ময়দানে জয় ছিল অকল্পনীয়, অভাবনীয় সেসবকেও জয় করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো মধ্যে বাংলাদেশ এখন কেবল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পায়নি। বাকি সবগুলো দলকে তাদের মাটিতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়াসহ সবগুলো দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে নিরপেক্ষ ভেন্যু এবং ঘরের মাঠে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা তো বটেই, বাংলাদেশ জয় পেয়েছে বৈশ্বিক ক্রিকেটেও। আফগানিস্তানের মাটিতে এখনও খেলা হয়নি। তবে তাদের আতিথ্য নেওয়া হয়েছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। সেখানেও জয় আছে বাংলাদেশের।

আরো পড়ুন:

রোহিতের ৪৯তম সেঞ্চুরি

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের লড়াকু সংগ্রহ

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী। তবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘশ্বাস। যেখানে ২০০০ সালে প্রথমবার অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয় বাংলাদেশের। শতকরা জয়ের হার যা মাত্র ১৮.

১ শতাংশ। এমন ধূসর অতীতকে সঙ্গী করেই এবারের আসরে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

যেখানে আইসিসি র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দল অংশ নিতে যাচ্ছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই প্রতিযোগিতা। আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩ এ পয়েন্ট তালিকার আটের ভেতরে থাকায় বাংলাদেশ এবার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ২০১৭ সালে সবশেষ আসরেও বাংলাদেশ খেলেছিল।

সব মিলিয়ে পাঁচ আসরে প্রতিযোগিতায় খেললেও বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স নেই। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ একবার হারিয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। সবশেষ ২০১৭ সালে হারিয়েছিল নিউ জিল্যান্ডকে। শুনতে অবাক লাগতে পারে, সবশেষ আসরে বাংলাদেশ ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সেমিফাইনালও খেলেছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের ম্যাচে ফল বের না হওয়ায় বাংলাদেশ বাড়তি এক পয়েন্ট পেয়ে সেমিফাইনাল খেলে।

এবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এশিয়ার দুই জায়ান্ট ভারত, পাকিস্তান। এছাড়া চেনা প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড আছে এই গ্রুপে। নিকট অতীতে তিন দলকেই বাংলাদেশ হারিয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় তাই বাংলাদেশের থেকে বড় প্রত্যাশাই আছে ক্রিকেট সমর্থকদের। এবারও সেমিফাইনাল খেলা অসম্ভব নয়। কাজটা কঠিন। সেজন্য নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে।

ওয়ানডে ক্রিকেট বাংলাদেশের পছন্দের ফরম্যাট, স্বাচ্ছন্দ্যের খেলা। পঞ্চাশ ওভারের এই প্রতিযোগিতাতেই বাংলাদেশ খুঁজে পায় আত্মবিশ্বাস। ধূসর অতীত পেরিয়ে এবারের আসরে আলোর অপেক্ষায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোং এবার কেমন করে সেটাই দেখার।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন  বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।

এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স—   ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।

আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগে

ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।

ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।

তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেয়ানে সেয়ানে টক্করে বার্সা ও ইন্টারের কে কত নম্বর পেলেন
  • সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম