Samakal:
2025-09-18@09:12:58 GMT

ঝোপখালী চরে আশার আলো

Published: 9th, February 2025 GMT

ঝোপখালী চরে আশার আলো

বেতাগীর ঝোপখালী চর নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তাদের আশা, চরটিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার আশ্বাস পাওয়া গেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে। যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা। এ ছাড়া ভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনায় ভূমিহীনদের জন্য নতুন বাসস্থানের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। 
কৃষক, পরিবেশবিদসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সম্ভাবনার নানা দিক। তারা জানায়, বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে দক্ষিণের এ জনপদ। ফলে জেগে ওঠা নতুন চর তাদের মধ্যে সীমাহীন আশা জাগিয়েছে। চরের মাটিতে আবাদ হচ্ছে তরমুজসহ মৌসুমি সবজি। চর ঘেঁষা নদীতে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর মাছ। সেই সঙ্গে রয়েছে পর্যটনে অপার সম্ভাবনা। সবকিছু মিলে চরকে ঘিরে তারা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। নদীর বুক চিরে আগামী দশকে এখানে আরও ভূমি জেগে ওঠার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা।
বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীর মোহনায় সর্বশেষ জেগে ওঠা ‘ঝোপখালী পাখির চর’। ছোট-বড় বিভিন্ন  প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার জীববৈচিত্র্য। এখানে রয়েছে পাখিদেরও অভয়ারণ্য। জোয়ারের সময় চরটি পানিতে প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় নৌকায় করে উপভোগ করা যায় এখানকার পাখির কলতান ও বিস্তৃত বনাঞ্চলের সবুজের সমারোহ। তাই চরটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহলের। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে ‘ঝোপখালী পাখির চর’ পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব খোন্দকার নাজমুল হুদা শামীম।
যুগ্ম সচিব নাজমুল হুদা শামীম ‘ঝোপখালী পাখির চর’কে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দক্ষিণের এ চরের প্রকৃতি দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। অথচ অনেকেই জানেন না ঘুরে বেড়ানোর জন্য এলাকাটিতে এমন একটি সুন্দর জায়গা রয়েছে। পাখির কলতান ও সবুজের সমারোহে আর ছৈলা গাছের ডালে ডালে পাখির বাসা ভ্রমণপিয়াসী পর্যটকদের মনকে আন্দলিত করবে নিশ্চিত। তাই চরের উন্নয়নে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বেতাগী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু বলেন, সরকারি নজরদারি আর পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখানে গড়ে উঠতে পারে নান্দনিক পর্যটন স্পট, যা থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী বলেন, জেগে ওঠা চরের সার্বিক উন্নয়ন কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর মধ্যে চরটিকে ‘পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এসব চরের মানুষকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে। মোটকথা, চরটিকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গত ১৬ জানুয়ারি বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামকরণের ফলক ও জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চরটির সূচনা করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ