পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের পর শাহবাগে রাস্তা থেকে সরে গেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী আন্দোলনকারীরা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে সরে যান। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে, দুপুরে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে অবস্থান করে তারা। এ সময় শাহবাগ মোড়ে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশের লাঠিচার্জ উপেক্ষা করেই সড়কে বারবার অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

আরো পড়ুন:

প্রাথমিকে ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

ঝালকাঠিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ জলকামান থেকে কিছু সময় পর পর আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পানি ছুড়ে। ফোটানো হয় বেশকিছু সাউন্ড গ্রেনেড। এ সময় ব্যাপক লাঠিচার্জও করা হয়। আটক করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে নারীদের রেখে রাস্তা ছেড়ে দেন পুরুষরা। আটক এড়াতে তারা আশেপাশে অবস্থান নিয়ে নারীদের উৎসাহ দেন।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চায় না ইরান, তবে আক্রমণের জবাব দেবে: পেজেশকিয়ান

ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চায় না ইরান। তবে কোনো আক্রমণের সমানমাত্রায় পাল্টা জবাব দেবে। সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এ কথা বলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে সিএনএন এ কথা জানিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান এই যুদ্ধ শুরু করেনি। কিন্তু প্রতিটি আক্রমণের জবাব সমানভাবে দেওয়া হবে। ইসরায়েলের আগ্রাসনে ইরানে বেসামরিক মানুষ, বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, এই আলোচনা এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার ওপর নির্ভর করছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক উত্তেজনা প্রশমনে এবং পারমাণবিক আলোচনায় ফেরার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।

এদিকে ইরান উত্তেজনা নিরসনের বিষয়ে কথা বলতে চায় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে ‌‘সময় থাকতেই’ ইরান ও ইসরায়েলের আলোচনার টেবিলে বসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

চলমান যুদ্ধে ইরান জিতছে না বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। খবর-এএফপি

ইরান উত্তেজনা নিরসনের বিষয়ে কথা বলতে ‘চায়’ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এক্ষেত্রে ‘সময় থাকতেই’ ইরান ও ইসরায়েলের আলোচনার টেবিলে বসা উচিত। অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই তাদের এখনই কথা বলা উচিত।  

ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে ইরানকে এখনই আলোচনায় বসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আমি বলব, ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না। তাই দেরি হওয়ার আগেই তাদের কথা বলা উচিত।’

ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের একটি চুক্তি করতেই হবে এবং এটি উভয়পক্ষের জন্যই বেদনাদায়ক। তবে আমি বলবো ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না, তাদের কথা বলা উচিত। খুব দেরি হওয়ার আগেই তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত। 

 ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ ‘কামনা’ ইরানের: এদিকে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানাতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ইরান। চার দিন ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করার এটি একমাত্র উপায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ ‘বিজয়ের পথে’ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ