ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, আতঙ্কে গ্রামের মানুষ
Published: 10th, February 2025 GMT
ভবনের ছাদ, টিনশেডের চালা অথবা বিভিন্ন সড়কের পাশে ঝুলে রয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লাইন। এসব লাইনের অধিকাংশই স্থানীয়দের নাগালের মধ্যে, যার সংস্পর্শে যে কোনো মুহূর্তে যে কারও প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রবল।
এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে দেওয়া পল্লী বিদ্যুতের ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইনের কারণে। যথাযথভাবে দেখভাল না করা এবং সঞ্চালন দেওয়ার সময় লাইনের তার ঝুঁকিমুক্তভাবে স্থাপন না করায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। রীতিমতো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর পল্লী বিদ্যুতের এসব ঝুঁকিপূর্ণ লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয়েছে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার সাতজন বাসিন্দার। এর আগে ২০২২ সালে ঝুঁকিপূর্ণ পল্লী বিদ্যুতের লাইনের কারণে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার চার শতাধিক স্থানে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইন রয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২৪ সালের ২৫ মার্চ বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন জুড়ী উপজেলায় টিনের
চালে বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়। ২৩ মে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের খলাগাঁওয়ে প্রবাসীর বসতঘর ছোঁয়া বিদ্যুতের মেইন লাইনে জড়িয়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ২০২২ সালে পল্লী বিদ্যুতের দাসেরবাজার অভিযোগ কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জের গাফিলতিতে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা কখনোই এ ব্যাপারে গুরুত্ব দেন না। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ করার পরেও এসব বিদ্যুৎ লাইন নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের কার্যকর কোনো উদ্যোগও নেন না তারা। সঞ্চালন দেওয়ার সময়ই এসব লাইনের বেশির ভাগই অপরিকল্পিতভাবে টানানো হয়। দুর্ঘটনার পর কিংবা গণমাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে কয়েকদিন তালিকা তৈরির (ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের) তোড়জোড় চলে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বন্ধ হয়ে যায় এ কার্যক্রম।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সঞ্চালন লাইন ও খুঁটির বিষয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবগত করলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এতে সাড়া দিচ্ছে না। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন এলাকাবাসী। গ্রাহকদের কয়েকজন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের বিষয়ে অফিসে জানালে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়। কোনো ব্যাপারে অভিযোগ করলে উল্টো গ্রাহকদের ভোগান্তি দেন তারা। বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের যোগসাজশে গড়ে ওঠা একটি দালাল চক্র গ্রাহক হয়রানিতে জড়িত।
বড়লেখা উপজেলার বর্ণি, দাসেরবাজার, নিজবাহাদুরপুর, বড়লেখা সদর, তালিমপুর ও দক্ষিণভাগ ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় পল্লী বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ও বেশ কিছু খুঁটি। এই কার্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার চার শতাধিক স্থানে এমন ঝুঁকিপূর্ণ সঞ্চালন লাইন রয়েছে।
উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের পকুয়া গ্রামের সত্যেন্দ্র বিশ্বাস জানান, অনেক দিন আগে তার বাড়ির সামনে থাকা পল্লী বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপারে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টদের। এরপর একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চক্কর কেটেও সমাধান পাননি। এ বিষয়ে সম্প্রতি তিনি বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম (ওঅ্যান্ডএম) আশরাফ হায়দারের কাছেও একাধিকবার গিয়েছেন। তবে এজিএমের কাছ থেকেও কোনো সমাধান পাননি।
সত্যেন্দ্র বিশ্বাসের অভিযোগ, লাইনগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। হাতের নাগালে চলে আসছে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অফিসে গেলে কর্মকর্তারা ধমকের সুরে কথা বলেন। এক কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তার টেবিলে পাঠান। এভাবে চক্কর কাটাতে থাকেন সেবাগ্রহীতাদের। হয়তো বড় কোনো দুর্ঘটনার পরই তারা আসবেন।
বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মহদিকোনা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের বাড়ির একটি বসতঘরের ছাদের ওপর দেখা যায় বিদ্যুতের ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইন। তারগুলো হাত দিলেই ছোঁয়া যায়। প্রায় দুই বছর ধরে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেও এর সমাধান পাননি। পরে নিজেই বাঁশের খুঁটি দিয়ে লাইনগুলো একটু উঁচু করে দিয়েছেন। এরপরও ছাদে গেলে সেগুলোর নাগাল পাওয়া যায়।
দাসেরবাজার ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের মতিন মিয়ার বাড়িতেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। মতিন ও তাঁর প্রতিবেশীর বাড়ির ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে টানানো রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন তার। সেগুলো একেবারে নাগালের মধ্যে। ঝুঁকি এড়াতে এখানেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে লাইনগুলো খানিকটা উঁচুতে তুলে রেখেছেন। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অভিযোগ কেন্দ্র ও বড়লেখা অফিসে একাধিকবার জানিয়েও সমাধান পাননি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাকী খান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ লাইনগুলো এই মাসের মধ্যে চিহ্নিত করে নকশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে। আগামী মাসেই এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঘর ত র ক প র ণ ল ইন ল ইন র ব উপজ ল র ন এল ক র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
বাণিজ্যবিরোধ: ভারত কেন ট্রাম্পের নিশানায়
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের বাণিজ্যনীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। ভারতীয় পণ্যের ওপর হোয়াইট হাউসের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়ার পর থেকেই এ আক্রমণের মাত্রা বেড়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করছে এবং এর পাশাপাশি অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রাম্প যখন বিশ্বের বহু দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছিলেন, তখনই ভারতকে উদ্দেশ করে তাঁর এমন কঠোর অবস্থান সামনে উঠে আসে।
হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, ভারত মার্কিন পণ্যকে বাজারে ঠেকাতে অতিমাত্রায় শুল্ক আরোপ করছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ জ্বালানি কেনা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
‘ভারতের শুল্ক বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ’, গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। জবাবে ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের বক্তব্য ‘লক্ষ্য করেছে’ এবং এর ‘প্রভাব মূল্যায়ন’ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্যবিরোধ: পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়িয়ে
আজ থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ধার্য করা ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক গত ২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে ঘোষিত সম্ভাব্য শুল্ক থেকে মাত্র ১ শতাংশ কম।
এ হার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপানের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ শুল্কের চেয়ে বেশি। তবে গত মে মাসে চীনের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশ শুল্কের চেয়ে কিছুটা কম।
হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, ভারত মার্কিন পণ্যকে বাজারে ঠেকাতে অতিমাত্রায় শুল্ক আরোপ করছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ জ্বালানি কেনা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এ শুল্ক ভারতের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা আরও জটিল করে তুলতে পারে। একাধিক দফা আলোচনার মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ১২তম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার ভারত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়া অনেক কোম্পানির নতুন গন্তব্য হয়েছে দেশটি। মে মাসে অ্যাপলের সিইও টিম কুক জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য আইফোন এখন ভারতে উৎপাদিত হচ্ছে; যাতে উচ্চ শুল্ক এড়ানো যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ওটিআর) তথ্যমতে, গত বছর ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ১২৯ বিলিয়ন (১২ হাজার ৯০০ কোটি) ডলার। ভারতের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পোশাক, রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি ও কৃষিপণ্য।
ট্রাম্প কেন ভারতকে নিশানা করছেন
সম্প্রতি ট্রাম্প একাধিকবার বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভারতের ‘অতি উচ্চ’ শুল্ক আরোপের সমালোচনা করেছেন। এর মধ্যে কৃষিপণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যও রয়েছে।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, ‘বছরের পর বছর আমরা ভারতের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে খুব কম ব্যবসা করেছি। কারণ, তাদের শুল্ক অত্যন্ত বেশি।’
এ মুহূর্তে যখন সবাই চায় ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ হোক, তখন ভারত চীনের সঙ্গে রাশিয়ার জ্বালানির সর্ববৃহৎ ক্রেতা।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টদেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতে ভারত কিছু পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করেছে।
ওটিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে পণ্যবাণিজ্যে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন (৪ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের ঘাটতি দেখেছে। এটি আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। তুলনামূলকভাবে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে প্রায় ২৯৫ বিলিয়ন (২৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের বাণিজ্যঘাটতিতে ছিল।
আরও পড়ুনভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা, ইরানের পণ্যের বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ ৩১ জুলাই ২০২৫ট্রাম্প আরও ক্ষুব্ধ যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।
‘এ মুহূর্তে যখন সবাই চায় ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ হোক, তখন ভারত চীনের সঙ্গে রাশিয়ার জ্বালানির সর্ববৃহৎ ক্রেতা’, বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন ট্রাম্প।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ভারত সরকার ট্রাম্পের ওই বক্তব্যে তুলনামূলকভাবে মৃদু, তবে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ভারতের ওপর ধার্য করা শুল্কহার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপানের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশের চেয়ে বেশি। তবে গত মে মাসে চীনের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশের চেয়ে কিছুটা কম।বুধবার দেওয়া এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কয়েক মাস ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সরকার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’
আগস্টের শেষ দিকে দুই দেশের মধ্যে আরেক দফা বাণিজ্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুনভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য আলাদা ‘দণ্ড’৩০ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্কে ভারতের অর্থনীতি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কী বলছেন অর্থনীতিবিদেরা১৪ ঘণ্টা আগে