সারাদেশে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। বিশেষ এই অভিযানের দ্বিতীয় দিনে (রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত) ৩৪৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ১১টি গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। এদিকে সোমবার সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারকে রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া ফার্মগেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি আবদুল মজিদ খানকে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মজিদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।  

সোমবার বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩৪৩। একই সময়ে বিশেষ অভিযানের বাইরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১ হাজার ১৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডেভিল হান্টে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, শটগানের কার্তুজ ছয়টি, তিনটি ছুরি, তিনটি তলোয়ার, একটি কুড়াল, ককটেল ১০টি ও চারটি রামদা জব্দ করা হয়।

পল্লবীর ছয় নম্বর কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে গতকাল দুপুরে মোহাম্মদ রানা নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। তিনি পল্লবীর ছয় নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার রাতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুরের বাড়িতে হামলায় কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পর শনিবার থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়। প্রথম দিনে এই অভিযানসহ বিভিন্ন মামলায় মোট ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানায় পুলিশ।

সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে। ছোট শয়তান, বড় শয়তান বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমাদের জালে যে আসবে, তাকেই ধরা হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছাড় পায়নি। অপারেশন ততদিন চলবে, যতদিন ডেভিলমুক্ত না হবে।’

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়, সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’
গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরও ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতের অভিযানে জেলা পুলিশ ২১ জন ও মহানগর পুলিশ ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপপুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, গাজীপুরে গত তিন দিনে ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি ও যুবলীগ নেতাসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। 

কিশোরগঞ্জে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে মির্জাপুর রফপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬ জনক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। 

সুনামগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হবিগঞ্জে রোববার রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা। সিলেটে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে করেছে পুলিশ। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মশিউর রহমান বাবুকে দুমকী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোলায় ১৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মনসুর আলীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাউদ্দিন নিলুকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম সাহেবসহ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুলনায় রোববার রাতে পৃথক অভিযানে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বস্ত্র উপকমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম লিটনকে রোববার ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাউব। তিনি পাবনা-৪ আসন থেকে গত তিনবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার আব্দুল মতিন নামের এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। এ ছাড়া গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সালমান শুভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের প্রভাষক শংকর কুমার সেনসহ আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যুরো, অফিস, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা)

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ আটক গ র প ত র কর ছ ন ত কর ম ক উপজ ল র ঘটন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

অজ্ঞাতনামা লাশ আর কারা হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে, শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় জনমনে সন্দেহ: এমএসএফ

চলতি অক্টোবর মাসে দেশে অজ্ঞাতনামা লাশ এবং কারা হেফাজতে মৃত্যু সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়েছে। এ তথ্য তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। প্রতিষ্ঠানটির অক্টোবর মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এমএসএফ বলেছে, এসব ঘটনায় জনজীবনের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি জোরালোভাবে সবার সামনে প্রতিফলিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ দুই ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে।

এমএসএফ প্রতি মাসে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে। আজ শুক্রবার অক্টোবর মাসের প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং নিজস্ব তথ্যানুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এমএসএফ মানবাধিকার প্রতিবেদন তৈরি করে।

বেড়েছে অজ্ঞাতনামা লাশ

এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে মোট ৬৬টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়; বরং নাগরিক জীবনে নিরাপত্তাহীনতার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) এর সংখ্যা ছিল ৫২। এসব অজ্ঞাতনামা লাশের বেশির ভাগই নদী বা ডোবায় ভাসমান, মহাসড়ক বা সড়কের পাশে, সেতুর নিচে, রেললাইনের পাশে, ফসলি জমিতে ও পরিত্যক্ত স্থানে পাওয়া যায়। অল্পসংখ্যক মৃতদেহ গলাকাটা, বস্তাবন্দী ও রক্তাক্ত বা শরীরে আঘাতের চিহ্নসংবলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

এমএসএফ বলেছে, অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের ঘটনা বেড়েই চলেছে এবং তা জনজীবনের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি জোরালোভাবে সবার সামনে প্রতিফলিত হচ্ছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় উদ্ধারে অপারগতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১টি শিশু, ১ কিশোর, ১১ জন নারী ও ৫৩ জন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ বছর বয়সী শিশু; ১৫ বছর বয়সী কিশোর; ২০ থেকে ৩০ বয়সী ১৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী; ৩১ থেকে ৪০ বয়সী ১৯ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী; ৪১ থেকে ৫০ বয়সী ১ নারী ও ৫ জন পুরুষ এবং ৫০ বছর বয়সের বেশি ১১ জন পুরুষ ও ১ নারী রয়েছেন। এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা তিনজনের বয়স শনাক্ত করা যায়নি।

এমএসএফ বলেছে, শুধু অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না; বরং পরিচয় জানার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। পরিচয় উদ্ধার করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।

কারা হেফাজতে মৃত্যু বাড়ছেই

এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে কারা হেফাজতে মোট ১৩ জন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এ সংখ্যা ছিল মোট ৮। এ মাসে ছয়জন কয়েদি ও সাতজন হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চারজন কয়েদি ও দুজন হাজতি, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন কয়েদি ও শেরপুর জেলা কারাগারে একজন কয়েদি মারা যান। এ ছাড়া খুলনা জেলা কারাগারে, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে, চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে, সিরাজগঞ্জ কারাগারে ও মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে একজন করে হাজতি বন্দী মারা যান। সব বন্দীর মৃত্যু হয় কারাগারের বাইরে হাসপাতালে।

এমএসএফের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কারা হেফাজতে মৃত্যু এবং অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের সংখ্যা বৃদ্ধি মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতির চিত্র তুলে ধরে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই লাশ উদ্ধার করেই ক্ষান্ত হচ্ছে। কিন্তু এসব লাশ উদ্ধার করে তার পরিচয় শনাক্ত করা এবং সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটন করাই শুধু নয়, এসব লাশ আত্মীয়-পরিজনের কাছে পৌঁছে দেওয়া এসব বাহিনীর কাজ। কিন্তু একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা করা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আর কোনো কাজ নেই।

সাইদুর রহমান বলেন, অজ্ঞাতনামা লাশের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হেফাজতে মৃত্যু বৃদ্ধি জনমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করে।

গণপিটুনিতে হত্যা চলছেই, বেড়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা

অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৪৯টি ঘটনার শিকার হয়েছেন ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ২ জন নিহত এবং ৫৪৭ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ এবং নিহত ব্যক্তিরা বিএনপির কর্মী–সমর্থক। সেপ্টেম্বর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ৩৮টি ঘটনা ঘটেছিল।

সহিংসতার ৪৯টি ঘটনার মধ্যে ১১টি ঘটনায় রাজনৈতিক বিরোধ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পার্টি অফিস, বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিকাণ্ড এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

অক্টোবর মাসে মোট গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে ৪৪টি। আগের মাসে এ ঘটনা ঘটেছিল ৪৩টি। এ মাসে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১২। আগের মাসে নিহত হয়েছিলেন ২৪ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতা ভিন্ন
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
  • ‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা
  • গণভোট নিয়ে উত্তাপ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: প্রেস সচিব
  • অজ্ঞাতনামা লাশ আর কারা হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে, শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় জনমনে সন্দেহ: এমএসএফ
  • কথার আগে গুলি চালায় ‘কাকন বাহিনী’, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল
  • ঢাকাসহ সারা দেশে এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৪৯