চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সর দাঁড়ালেন হাসান তিলকারত্নে। তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন অভিজ্ঞ বাংলাদেশ কোচ সারোয়ার ইমরান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘‘হাসান (তিলকারত্নে) চলে যাওয়ার পরে এই পদটি শূন্য হওয়ায় আমরা ইমরানকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

দেশিয় কোচদের সুযোগ দিয়ে দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে চান ফারুক। সেটাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে জাতীয় দলের স্থানীয় কোচদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করব। ইমরানের নিয়োগটি সেই অঙ্গীকারের একটি অংশ।’’

আরো পড়ুন:

চেনা ছন্দে নাহিদ

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শোহেলি আক্তারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা

বাংলাদেশের অভিজ্ঞ কোচদের একজন সারোয়ার ইমরান। তার সামনে অপেক্ষা করছে নতুন চ্যালেঞ্জ। সামনেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ। বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে তাকে।

বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ হারিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ হেরে সুযোগটি হারান জ্যোতিরা। ফলে সামনে বাছাইপর্বের বাধা। সেটা পেরোনোর লক্ষ্যেই মেয়েদের নিয়ে মাঠে নামবেন ইমরান।

২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টের অভিষেকের সময় বাংলাদেশ পুরুষদের দলের প্রধান কোচ ছিলেন ইমরান। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। এবার তার লক্ষ্য জাতীয় নারী দলকেও সাফল্য এনে দেওয়া। 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে সাহিত্য আড্ডার স্থানসহ নানা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। এ সময় সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসরের সাহিত্য আড্ডার স্থাপনাসহ পার্কের ভেতরে এবং বাইরে গড়ে উঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান, বিজয়ী পিঠা বাড়িসহ সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন জয়নুল উদ্যান পার্কে এই অভিযান চালানো হয়। 

এ অভিযানের এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় পার্কের সৌন্দর্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নগরবাসী। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।

স্থানীয়রা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে পার্কটি তার স্বরূপ ফিরে পাবে। এতে আমার মত অন্য দর্শনার্থীরা প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।  

নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান কবির বলেন, একাধিকবার পার্কেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও প্রভাবশালী মহলের মদদে ফের তৈরি হয় অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু দর্শনার্থীরা চায় পার্কের নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়। 

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, মূলত জেলা প্রশাসনের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য জয়নুল উদ্যোনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা। তাছাড়া পার্কের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে অসামসাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ