আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে প্রধান বিচারপতির প্রতি ইমরানের আহ্বান
Published: 11th, February 2025 GMT
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথোপকথনের সময় ইমরান খান প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, ‘পুরো জাতি আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।’
ইমরান খান এ সময় আরও বলেন, তিনি পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে দুটি চিঠি লিখেছেন। এর কারণ, পাকিস্তানের সব গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
পিটিআই আইনপ্রণেতা ও সুপ্রিম কোর্টের দুই জ্যেষ্ঠ বিচারকের প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাকিস্তানের জুডিশিয়াল কমিশন সুপ্রিম কোর্টে ছয়জন নতুন বিচারকের নিয়োগ অনুমোদন দিচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খান এ মন্তব্য করেছেন।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একাধিক মামলায় কারাদণ্ড হয়েছে ইমরান খানের। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। ইমরান খান বর্তমান ক্ষমতাসীন পাকিস্তানের জোট সরকারের সমালোচনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও মন্ত্রীরা সব ভুয়া। পার্লামেন্ট থেকে তাই কোনো আশা নেই। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ফল চুরি করার অভিযোগ তুলে ইমরান বলেন, পার্লামেন্ট কার্যকর নয়। এটা প্রতারণামূলক পার্লামেন্ট।
পিটিআই ও ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে ইমরান খান বলেন, এ আলোচনা নিয়ে তাঁর কোনো প্রত্যাশা নেই। তিনি তাঁর দলের সদস্যদের বলেছেন, এ আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারের সঙ্গে গত বছরের ৯ মে ও ২৬ নভেম্বরের বিক্ষোভ ঘিরে যে সহিংসতা হয়েছিল, সে বিষয়ে তদন্ত চেয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে সরকার কোনো সহযোগিতা করছে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।