চলছে ভালোবাসা সপ্তাহ। আর এই সময় একটি বিশেষ দিন হল ১২ ফেব্রুয়ারি। এই দিনটি হাগ ডে বা আলিঙ্গন করার দিন হিসেবে পালন করা হয়। আপনি কি জানেন আলিঙ্গন করার কত ধরনের উপকারিতা রয়েছে। প্রিয়জনকে সামান্য একটু জড়িয়ে ধরলে শরীর, মন দুইই শান্ত থাকে। আলিঙ্গন আমাদের স্বস্তি দেয়। এতে স্বাস্থ্যগত অনেক উপকারিতাও আছে। আলিঙ্গনের ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। আলিঙ্গন করলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

মেজাজ ভালো থাকে : আলিঙ্গন করলে শরীর থেকে উত্তেজনা কমে যায়। এর ফলে শরীর থেকে সুখী হরমোন ভালোভাবে নিঃসৃত হয়। এর ফলে মেজাজকে উন্নত হয়।

মানসিক চাপ দূর করে : মানসিক চাপ দূর করতে প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গন করতে পারেন। তাহলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমতে শুরু করবে। এর ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মতো সমস্যাও  কমতে থাকবে। এমন কি শরীরও সুস্থ থাকবে।

বড় রোগের ঝুঁকি কমে: সাইকোলজিক্যাল সাইন্স জার্নালের একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, আলিঙ্গন করলে বড় রোগের ঝুঁকি কমবে। তাই প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করুন। 

স্মৃতিশক্তি বাড়ে : স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও আলিঙ্গন করা খুব জরুরি। আলিঙ্গন করলে শরীর থেকে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ হয়। এর ফলে মন ভালো থাকে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ কমে ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

শরীরে শান্তি আসে: আলিঙ্গন করলে শরীর থেকে ভয় দূর হয়। এতে শরীরে শান্তি আসে, কাজের উদ্যম বাড়ে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে হৃৎপিণ্ডও সুস্থ থাকে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ