ঋতু পরিবর্তনের সময় নিজের যত্ন নেবেন যেভাবে
Published: 12th, February 2025 GMT
প্রকৃতিতে বসন্তকাল আসি আসি করছে। এখন দিনে হালকা গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে সকালে- রাতে এখনও ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সাথে সাথে অনেক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে অনেকের মধ্যে ঠান্ডা-কাশি, অ্যালার্জি এবং জ্বরের প্রবণতা দেখা যায়। যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, তাহলে আপনি সহজেই এসব সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, এই পরিবর্তিত আবহাওয়ার সাথে আপনার স্বাস্থ্যের পূর্ণ যত্ন নেওয়া উচিত। পরিবর্তনশীল এই আবহাওয়ায় স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে কিছু টিপস অনুসরণ করুন।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন
পরিবর্তিত আবহাওয়ায় রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য, আপনার খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল এবং সবুজ শাকসবজি খান। এগুলি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং আপনাকে অসুস্থ হওয়া থেকেও রক্ষা করে।
হালকা গরম পোশাক পরুন
দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমরা গরম অনুভব করতে শুরু করি। একটু গরম অনুভব করার সাথে সাথে অনেকেই শীতের পোশাক পরা বন্ধ করে দেন। কিন্তু সকাল এবং সন্ধ্যায় ঠান্ডা থাকে। তাই এই সময়ে হালকা গরম পোশাক পরুন।
সঠিক পরিমাণে পানি পান করুন
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগ থেকে দূরে থাকতে এবং হাইড্রেটেড থাকার জন্য, সঠিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
ব্যায়াম অনুশীলন করুন
রোগ এড়াতে, নিজেকে ফিট রাখুন। এর জন্য, নিয়মিত হাঁটা এবং হালকা স্ট্রেচিংয়ের মতো কিছু হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুমান
ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুমাতে চেষ্টা করুন যাতে আপনার শরীর শক্তিশালী থাকে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’