পাবিপ্রবির বাস চাপায় পথচারী নিহত
Published: 12th, February 2025 GMT
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাসের চাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তবে নিহত পথচারীর নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক পঞ্চাশ (৫০) বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানা পুলিশ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাবনা শহরের অনন্ত বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ রঘবপুর মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাবনা শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস অনন্ত বাজারের দিকে আসছিল। মসজিদের সামনে দিয়ে এক পথচারী রাস্তা অতিক্রম করতে গেলে বাসটি তাকে ধাক্কা দেয়। ওই পথচারী পড়ে গেলে বাসটি তাকে অন্তত ২০ ফিট ছেঁচড়িয়ে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মৃত্যু হহয়।
গাড়িতে থাকা যাত্রীরা জানান, সকালের স্টাফ বাস লাইব্রেরি বাজার দিয়ে অনন্ত হয়ে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিল। অনন্ত এলাকায় আসলে গাড়ির গতি কমানো হয়। কিন্তু হুট করেই রাস্তা পার হতে গিয়ে এক পথচারী বাসের সামনে চলে আসেন। চালক গাড়ি থামানোর আগেই তিনি বাসের চাকার নিচে পড়ে যান। এতে তার মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাসটি চালাচ্ছিনে জালাল নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হেল্পার। বাসের চালকরা অনুপস্থিত থাকলে তিনি নিয়মিতই গাড়ি চালান। শুধু জালালই না, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন হেল্পার নিয়মিতই চালকদের অনুপস্থিতিতে গাড়ি চালান।
গাড়িতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্টাফ বলেন, “নিয়মিত চালক হলে এ দুর্ঘটনাটা নাও হতে পারত। ওই পথচারী কখন গাড়ির সামনে চলে আসেন, সেটা চালক খেয়াল করেননি। গাড়ির যাত্রীরা বলার পরে তিনি গাড়ি থামিয়েছেন।”
নিহত পথচারীর বিষয়ে পাবনা সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, “রাস্তা পারাপারের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি তাকে ধাক্কা দেয়। খুব জোরে ধাক্কা লাগায় লোকটি সেখানেই মারা যান। আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু লাশের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের প্রশাসক অধ্যাপক ড.
ঢাকা/আতিক/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অনন ত পথচ র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।