সিদ্ধিরগঞ্জে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল
Published: 13th, February 2025 GMT
আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী সরকার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মধ্যে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মহনগর যুবদলের আহ্বয়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে শুরু হয়ে শিমরাইল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল ও মহানগর যুবদলের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।
বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহনগর যুবদলের আহ্বয়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলাম একটি সফ্ট কর্নার। সেই ইসলামকে ব্যবহার করে এই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ভারতের উত্তরসরিরা বাংলাদেশকে শাসন করার জন্য যখন পায়তারা করতে চেয়েছিলো মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা জন্য ঠিক সেসময় কিছু ইসলামি দলগুলো ও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিলো।
এ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ যে কথা ভারত হিন্দুস্থান সেই কথা। বাংলাদেশের গনতন্ত্র উদ্ধারের জন্য তারেক রহমানের সুশৃঙ্খল নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে আমরা তারেক রহমানের নির্দেশে প্রত্যেকটি মূহূর্তে সুশৃঙ্খলভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছাত্রদেরকে সামনে নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে যুবদল নেতা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা আসছে চাকরির জন্য। চাকরির হক আদায় করতে এসে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ভিতরে লোভ জেগে গেছে। আপনারা ছাত্ররা রাষ্ট্রের জনগনের একটি সফ্ট কর্ণার জোগাড় করে নিয়েছেন।
ছাত্র হওয়ার কারণে আপনাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাই বলে আপনারা ভাববেন না এই রাষ্ট্রকে আপনারা আওয়ামী লীগের মতো ছিনিমিনি খেলবেন। এ কথা আপনারা ভুলে যান লেখা পড়ার প্রতি মনোযোগ দেন। রাষ্ট্রের মধ্যে সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব তৈরি করার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করার আহবান জানান যুবদলের এ নেতা।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবদল কর্মী মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল য বদল ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫