Risingbd:
2025-12-13@10:14:00 GMT

ভালোবাসা দিবস যেভাবে এলো

Published: 14th, February 2025 GMT

ভালোবাসা দিবস যেভাবে এলো

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নিয়ে নানা মত আছে। আছে মিথ ও কিংবদন্তি। মূলের গল্প যাই থাক আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এই দিসবটি ভালোবাসার মানুষকে আরও ভালোবাসার প্রেরণা দিয়ে যায়। কেউ কেউ প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বেছে নেন দিনটি। আবার কেউ ভালোবাসাকে রাঙিয়ে নিতে প্রিয়জনকে অনেক কিছু উপহার দেন। কীভাবে এসেছে দিনটি আজ যানা যাক সেই কথা।

ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বুল্ডারের অধ্যাপক নোয়েল লেনস্কির মতে, আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপন শুরু হয়। সে সময় ভালোবাসা আর প্রাচুর্য লাভের আশায় ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হতো লুপারক্যালিয়া নামের এক উৎসব। যদিও উদ্‌যাপনের সংস্কৃতিতে ভালোবাসার লেশমাত্র ছিল না, ছিল আদিম বর্বরতা। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের নামকরণ ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হওয়ার ক্ষেত্রে রোমানদের ভূমিকা রয়েছে।

রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লদিয়াস ২৭০ সালের কোনো এক সময়ে সাম্রাজ্যের তরুণদের বিয়ে না করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সম্রাটের আদেশ অমান্য করে ভালোবাসার বাণী প্রচার শুরু করেন ভ্যালেন্টাইন নামে এক সাধু। সম্রাটের নির্দেশ অমান্য করায় সাধু ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পঞ্চম শতাব্দীর মাঝামাঝি, পোপ গেলাসিয়াস রোমানদের বর্বর উৎসবের ইতি টানা এবং সাধু ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করার উদ্দেশ্যেই ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখকে ভালোবাসা দিবস ঘোষণা করেন। 

ভালোবাসা দিবসটি বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। অবশ্য বর্তমান যুগে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সব ধর্মের মানুষ নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করে থাকেন। সময়ে-সময়ে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান ভালোবাসা দিবস উদযাপনে নতুনত্ব যোগ করেছেন। দিবসকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কৃতিত্বটা শুভেচ্ছা কার্ড তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান হলমার্কের। ১৯১৩ সাল থেকে হলমার্ক যখন ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার কার্ড তৈরি শুরু করে, মূলত তখন থেকেই দিবসটির কথা ব্যাপকভাবে প্রচার পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশে। 

সূত্র: ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও এবং হিস্ট্রি ডটকম অবলম্বনে

ঢাকা/স্বরলিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণিত উৎসব ২০২৬-এর নিবন্ধন শুরু সময় বাড়ল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৬–এর অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। ৮ ডিসেম্বর রাতে এক ঘোষণার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আয়োজকেরা। গণিত উৎসব ২০২৬-এ অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেককেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। পূর্ববর্তী বছরগুলোয় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্যও নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।

আয়োজকেরা জানান, গণিত উৎসবে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধন লিংক: https://matholympiad.org.bd

গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে চারটি ক্যাটাগরিতে—প্রাইমারি (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বা সমমান), জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি বা সমমান), সেকেন্ডারি (নবম–দশম শ্রেণি) এবং হায়ার সেকেন্ডারি (একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণি) ও সমমানের জন্য প্রযোজ্য।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৬-এর অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজেদের ভাষা বাঁচানোর লড়াই করা ম্রো শিশুরা ঢাকায় আসছে
  • বেরোবিতে বিআরইউডিএফের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক উৎসব
  • মেসির দেখা পেতে কলকাতায় আসছেন শাহরুখ
  • ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন
  • বিজয় দিবসে উপলক্ষে তিন দিনের নাট্যোৎসব আয়োজন করছে ডাকসু
  • গণিত উৎসব ২০২৬-এর নিবন্ধন শুরু সময় বাড়ল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত