Samakal:
2025-08-01@04:58:31 GMT

শেষের মঞ্চে রিয়াদ-মুশফিক

Published: 14th, February 2025 GMT

শেষের মঞ্চে রিয়াদ-মুশফিক

একচল্লিশ চলছে তাঁর যেন একুশের গতিতে! তারপরও এই আসরই যে তাঁর শেষ, সেটা ঘোষণা দিয়েই নামছেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই যে সবচেয়ে বয়সী, তাতে সন্দেহ নেই। তাঁর পরেই যারা বয়সে সিনিয়র রয়েছেন, তাদের মধ্যে আটত্রিশ ছুঁইছুঁই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং ছত্রিশের বিরাট কোহলিও ইঙ্গিত দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন। 

তবে আটত্রিশের মুশফিকুর রহিম কিংবা ঊনচল্লিশ চলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখনও তেমন কোনো ঘোষণা দেননি। তবে বাস্তবতা এটাই যে তাদের জন্য এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই আইসিসির শেষ আসর হতে যাচ্ছে। এবং দলের এই দুই সিনিয়রের জন্য শেষ চ্যালেঞ্জটাও হতে যাচ্ছে দুবাই আর রাওয়ালপিন্ডিতে ভালো কিছু করার। শেষবার ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে এই টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন তারা। সেবার সেমিফাইনালে উঠেছিল দল। অতীত বলে সেবার তারা দু’জনই দারুণ কিছু ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন দলকে। এবারও তাদের অভিজ্ঞতা কাজে দেবে বলেই মনে করছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ‘তাদের অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রিয়াদ ভাই, মুশফিক ভাইয়ের কাছে চাওয়া, তারা যেন নিজেদের অভিজ্ঞতা সবাইকে দেন। তাদের ভাবনা যেন মাঠের ভেতর শেয়ার করেন।’ ওয়ানডে ফরম্যাটের এই চ্যাম্পিয়ন্স টুর্নামেন্ট খেলতে গতকাল রাতে দুবাই ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।

যেখানে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নামবেন মুশফিকরা। এর আগে অবশ্য সোমবার সেখানে পাকিস্তান ‘এ’ দল খ্যাত শাহিনসের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তারা। আসরে অংশ নেওয়া আট দলের মধ্যে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানই এই মাসে কোনো ওয়ানডে সিরিজ খেলেনি। সেই হিসেবে প্রস্তুতির ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। যদিও আফগানরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে। সঙ্গে পাকিস্তানের শাহিনসের বিপক্ষে দুটি। সেই হিসেবে পিছিয়ে মুশফিকরা। 

যদিও অধিনায়ক শান্ত বলে গিয়েছেন, ‘এই সংস্করণে আমরা ছোটবেলা থেকে অনেক খেলি। সুতরাং মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না।’ আসলেই কি ব্যাপারটি তেমন। বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছে গেল ডিসেম্বরে উইন্ডিজের মাটিতে। মুশফিক তাঁর শেষ ওয়ানডে খেলেছেন এরও আগে শারজাহতে নভেম্বরে। মুশফিকের ব্যাট থেকে সর্বশেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি এসেছে ২৭ ম্যাচ আগে ২০২৩ সালের মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মাঝে হাফ সেঞ্চুরি ছয়টি। মুশফিক নিজেও হয়তো এই পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন। রেকর্ড বলে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভালো করার আগে মুশফিক তাঁর আগের সিরিজগুলোতে পারফর্ম করে থাকেন। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারতের বিপক্ষে ৭৯ ও ৬১ রানের দারুণ দুটি ইনিংস খেলেছিলেন। এর আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি কাছাকাছি দুটি কার্যকরী ইনিংস ছিল তাঁর। ওই সিরিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও তিনটি ম্যাচে দারুণ কিছু পারফর্ম করেছিলেন। তারপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নেমে কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

সেই হিসেবে রিয়াদ এবারও দারুণ কিছু করার ইঙ্গিতই রাখছেন। সর্বশেষ চারটি ওয়ানডেতে তাঁর স্কোর ৮৪*, ৬২, ৫০* ও ৯৮! তা ছাড়া বিপিএলেও কার্যকরী কিছু ইনিংস খেলেছেন তিনি। এবার আসর শুরুর আগে রিয়াদের মতো অন্য দলের অভিজ্ঞরাও তাদের শেষের চ্যালেঞ্জে ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। 

এই তো সেদিন রোহিত শর্মা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রান করলেন, কোহলিও আহমেদাবাদে পেলেন ৫২ রান। নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়াসন লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩৩ করে দলকে জেতালেন। প্রোটিয়াদের মধ্যে অভিজ্ঞ ব্যাটার ক্লাসেন করাচিতে ৮৭ রান করলেন। আর পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান তো সালমান আগাকে নিয়ে রেকর্ড রান তাড়া করে ম্যাচই জেতালেন। হাওয়া বলছে, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে হয়তো বয়স্করা বাজিমাত করবেন; সেখানে মুশফিক-রিয়াদও থাকবেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ ৬ আগস্ট

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানি শেষে আদেশের এই তারিখ ধার্য করেন।

গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য ১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার শুনানি হয়।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়; পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ইন্টারভেনার (ব্যাখ্যাকারী) হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর আজ শুনানি শেষ হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ ৬ আগস্ট