আবার হরিণের চপলতা ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে
Published: 15th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বপ্নপুরী পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা থেকে অবৈধভাবে রাখা সাম্বা ও মায়া প্রজাতির ১৮টি হরিণ, ৫টি ধনেশ পাখি বনবিভাগের গোয়েন্দা বিভাগ জব্দ করে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবমুক্ত করেছে। গত বুধবার রাত ১টার সময় এসব প্রাণী সাফারি পর্কে আনা হয়।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মাজহারুল ইসলাম জানান, বুনো হরিণ ও পাখিগুলোকে জীবাণুনাশক ভ্যাকসিন দিয়ে পার্কের খাঁচায় অবমুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রাণী সুস্থ আছে।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠাকালে অন্তত ২০টি সাম্বার ও মায়া হরিণ ছিল। একসময় হরিণগুলো পার্কের ভাঙা দেয়াল দিয়ে পালিয়ে বনে চলে যায়। কিছু হরিণ স্থানীয় লোকজন ধরে খেয়ে ফেলেন। বিপন্ন প্রজাতির একসঙ্গে ১৪টি সাম্বার হরিণ ও ৪টি মায়া হরিণ পার্কে অবমুক্ত করায় হরিণ বেষ্টনীতে এখন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
প্রসঙ্গত, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে পশুপাখি মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করে। এটি প্রথম সাফারি পার্ক। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে উত্তরে পার্কটির দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার এবং চকরিয়া সদর থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই পার্কের আয়তন প্রায় ৯০০ হেক্টর।
স্থানীয় আবদুর রহিম বলেন, ‘ডুলাহাজারা সাফারি এই অঞ্চলের প্রধান বিনোদনকেন্দ্র। এতদিন এখানে বিভিন্ন রকম বন্যপ্রাণী থাকলেও, হরিণ তেমন ছিল না। অন্যসব খাঁচা পূর্ণ থাকলেও হরিণের খাঁচা ছিল শূন্য। ফলে বিনোদনপ্রেমীরা হরিণ দেখা থেকে বঞ্চিত হতো। সম্প্রতি স্বপ্নপুরী পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা থেকে অবৈধভাবে রাখা সাম্বার ও মায়া প্রজাতির ১৮টি হরিণ ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে আনা হয়েছে। এটা শুনে হরিণ দেখার জন্য অনেকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে আসছেন।’
চকরিয়ার কাকারার সুবর্ণা চৌধুরী বলেন, ‘ডুলাহাজারা পার্কে দেশ-বিদেশ থেকে আরও বন্যপ্রাণী আনা দরকার। কারণ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ একমাত্র ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে গিয়ে কিছুটা বিনোদন পান।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বন য
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ