গ্ল্যামার কন্যা পরীমণি তার ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন। গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ফেসবুক লাইভে এসে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন এই নায়িকা।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরীমণি জানান, রাত ১০টায় নিজের ভ্যালেন্টাইনকে সকলের সামনে আনবেন। তার এই পোস্ট নেট দুনিয়ায় দারুণ সাড়া ফেলে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, লাইভে আসার মাত্র এক ঘণ্টায় তার সঙ্গে যুক্ত হন প্রায় ১.

১ মিলিয়ন ভক্ত-অনুরাগী। লাইভে এত মানুষকে পেয়ে আপ্লুত পরীমণি।

তবে আগ্রহী ভক্তদের কিছুটা হতাশ করেছেন এই তারকা। কারণ লাইভে একটি ম্যাটার্নিটি ব্র্যান্ডের পোশাকের সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দেন, কোনো মানুষ নয়। তার সঙ্গে লাইভে যোগ দেন পোশাকগুলোর ডিজাইনার রুহুল চৌধুরী।

আরো পড়ুন:

ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে দুনিয়া জয় করা যায়: পরীমণি

পরীর প্রেমে মগ্ন সেই সাদী!

‘বডি বাই পরী’ নামের এই ম্যাটার্নিটি ওয়্যার ব্র্যান্ডটির সঙ্গে পরীমণির আবেগ জড়িয়ে আছে। নিজের মাতৃত্বকালীন ফ্যাশন-স্ট্রাগল আর সেসময় স্টাইলিশ অথচ আরামদায়ক কিছু পরার তাগিদের স্মৃতি থেকেই এই প্রজেক্টের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন বলেও জানান। এসময় পরী তার মা হওয়ার পুরো জার্নিতে ভক্তদের সাপোর্ট ও অনুপ্রেরণার জন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

পরীমণি জানান, এখানে মা ও শিশুদের জন্য পণ্য পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে ম্যাটার্নিটি ড্রেস আর বাচ্চাদের পোশাক থাকছে।

সম্প্রতি ‘গোলাপ’ সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন নিরব। প্রথমবারের মতো রূপালি পর্দায় জুটি বাঁধছেন এই দুই তারকা। গেল মাসে ‘গোলাপ’ সিনেমার ফার্স্টলুক পোস্টার প্রকাশ পায়; যেখানে নিরবের দেখা মেলে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ