লেনদেনেও ওপরে উঠে আসছে মন্দ শেয়ার
Published: 16th, February 2025 GMT
ছন্দহীন ধারায়ই চলছে শেয়ারবাজার। দরবৃদ্ধির তালিকার পর লেনদেনের শীর্ষ তালিকায়ও মন্দ শেয়ারগুলো ক্রমে দাপট দেখাচ্ছে। টাকার অঙ্কে লেনদেনে শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে বি ও জেড ক্যাটেগরির শেয়ার ছিল আটটি। বাকি ১২টি এ ক্যাটেগরিভুক্ত হলেও এর বেশির ভাগই কারসাজির শেয়ার।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল রবি, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন। এর মধ্যে রবির প্রায় ২০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। শেয়ারপ্রতি মাত্র ১০ পয়সা দর বেড়ে সর্বশেষ ২৯ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের সাড়ে ১৩ কোটি টাকার এবং গ্রামীণফোনের ১৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। সাড়ে ৪ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ৮ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে এ তালিকায় আরও ছিল– বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, এসিআই এবং রেনাটা।
এর বাইরে লেনদেনের শীর্ষে থাকা এ ক্যাটেগরিভুক্ত বাকি শেয়ারগুলো হলো– বিডি কম, সোনালি পেপার, ওরিয়ন ইনফিউশনস, বিচ্ হ্যাচারি এবং ই-জেনারেশন। বি এবং জেড ক্যাটেগরির শেয়ারগুলো ছিল জিকিউ বলপেন, খুলনা প্রিন্টিং, গোল্ডেনসন, খান ব্রাদার্স পিপি, সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের মতো শেয়ার।
গতকাল জেড ক্যাটেগরিভুক্ত বেশির ভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। এ ক্ষেত্রে মিশ্রধারা ছিল এ এবং বি ক্যাটেগরির শেয়ারের ক্ষেত্রে। এ ক্যাটেগরিভুক্ত ২১৫ শেয়ারের মধ্যে ৮২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৮৯টির। বি ক্যাটেগরিভুক্ত ৮০ শেয়ারের মধ্যে ৩০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৮টির। আর জেড ক্যাটেগরিভুক্ত ১০২ শেয়ারের মধ্যে ২৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫৭টির। বাকি শেয়ারগুলোর দর অপরিবর্তিত।
এমন চিত্রের মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ২০ শেয়ারের মধ্যে বি এবং জেড ক্যাটেগরিভুক্ত শেয়ার ছিল ১৩টি। বাকি সাতটি এ ক্যাটেগরিভুক্ত। সর্বাধিক ১০ শতাংশ দরবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষে ছিল এক সময়ের কারসাজির শেয়ার বিডিকম। ৯ শতাংশের ওপর দরবৃদ্ধি নিয়ে এর পরের অবস্থানে ছিল বন্ধ কোম্পানি এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল মিলস এবং রিজেন্ট টেক্সটাইল।
দর কমায় গতকাল জেড ক্যাটেগরির শেয়ারের আধিক্য দেখা গেছে। দর হ্রাস পাওয়া শীর্ষ ২০ কোম্পানির ১৫টি ছিল জেড ক্যাটেগরিভুক্ত। সোয়া ৮ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষ চার কোম্পানি নিউ লাইন ক্লোথিংস, খুলনা প্রিন্টিং, অ্যাপোলো ইস্পাত, নুরানি ডাইং। এসব শেয়ারই জেড ক্যাটেগরিভুক্ত।
ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৩০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭৫টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৫২টির। কেনাবেচা হয়নি তিনটির। ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২২টির দর অপরিবর্তিত। বাকি ১৫টির মধ্যে ছয়টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯টির। প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট হারিয়ে ৫১৯৮ পয়েন্টে নেমেছে। লেনদেন ১৪ কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ৪১৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র দর ব ড় ছ দরব দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা