বন্দরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় মা’কে বাড়ি থেকে বের করে দিল পাষন্ড ছেলে
Published: 17th, February 2025 GMT
বন্দরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুলাঙ্গার সন্তান জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাকলী বেগমের বিরুদ্ধে। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) পুরান বন্দর মোল্লাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অবহেলা কারনে চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে ভূক্তভোগী পিয়ারা বেগম। গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা জানিয়েছে নির্যাতিত মা পিয়ারা বেগম। এ ঘটনায় সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী মা পিয়ারা বেগম।
মৃত্যু পথযাত্রী মা পিয়ারা বেগম আরো জানান, তার গর্ভজাত সন্তান জহিরুল ইসলামকে তার বিষয় সম্পত্তি লিখে দেয়ার পর তাকে তার ছেলে ও পুত্রবধূ কাকলী মিলে ক্যান্সার হয়েছে তুমি বাড়িতে থাকলে এ রোগ আমাদেরও হবে এ কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে মা পিয়ারা তার কন্যার বাসা নবীগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নেন।
কান্না জড়িত কন্ঠে মা পিয়ারা বেগম আরো বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর এ সন্তানদের অনেক কষ্ট করে লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষ করেছিলাম জীবনের শেষ বয়সে এসে একটু শান্তিতে বসবাস করব। কিন্ত তা আমার ভাগ্যে জোটেনি। আমার ক্যান্সার ধরা পরেছে। ডাক্তার বলেলে আমার সময় বেশী নেই। কবে মরে যাই জানি না।
ছেলে আমার কোন খোঁজ নেয়না। আমি আমার বাড়িঘর ছেলের নামে লিখে দেয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাকে কোর প্রকার ভরন পোষন দেয়না। অবশষে আমি নিরুপায় হয়ে আদালতের ধ্বারস্থ হই। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে গেলে সে আদালতে আমার ভরনপোষন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু আমি তো মা আমি তাকে নিজ জিম্মায় জামিন করাই।
পরে সে আদালত থেকে ফিরে এসে আমাকে মারধর করে। এ বিষয়ে আমি বন্দর থানা, পুলিশ সুপার সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করি যাতে আমার ছেলে আমার খোঁজ খবর নেয়। তাতে আমি কোন প্রতিকার পাইনি।
গত রোববার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে ঘরে ঢুকয়ে দিয়ে যাওয়ার পরও আমাকে আবারো বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার ছেলে আমার উপর এমন অত্যাচার করবে আমি কখনো কল্পনাও করিনি। আমি যত দিনই বেঁচে থাকব ততদিন আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।
কিন্তু আমাকে আমার ছেলে দেখছে না। তবে আমার ছেলে যেন আমার খোঁজ নেয়। আমার শেষ সময়টুকু আমাকে শান্তিতে মরতে দেয়। এই প্রত্যাশা করি।
এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যখন বিদেশে ছিলাম তখন আমি আমার মায়ের কাছে টাকা দিয়েছি সব টাকা আমার বোনদের দিয়ে দিয়েছে। গত রোববার স্থানীয় শালিসগণ মাকে ঘরে দিয়ে যাওয়ার পর মা নিজেই বাড়ি থেকে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলামের সাথে আলাপ কালে তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে সেখানে ভুক্তভোগী পিয়ারা বেগমকে পাওয়া যায়নি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আম র ছ ল ল ইসল ম ব র কর য় র পর
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ হাজার গ্যালন নিয়ে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৪
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে ৩৮ হাজার গ্যালন নিয়ে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে উড্ডয়নের পরপরই এটি বিমানবন্দরের পাশের শিল্প এলাকায় গিয়ে পড়ে। সেখানে থাকা কেন্টাকি পেট্রোলিয়াম রিসাইক্লিং ও গ্রেড এ অটো পার্টস নামের দুটি প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরে যায়। আগুনের লেলিহান শিখায় আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবনও পুড়ে যায়।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এতে প্রায় ৩৮ হাজার গ্যালন (প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার লিটার) জেট জ্বালানি ছিল। এই বিপুল পরিমাণ জ্বালানিই আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় বিপুল পরিমাণ জেট জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ে, ফলে আরও বিস্ফোরণের আশঙ্কায় পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দমকলকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি, তবে সংখ্যাটি বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।”
তিনি বলেন, “যারা ভিডিওগুলো দেখেছেন, তারা জানেন এটি কতটা ভয়াবহ ছিল। অনেক পরিবার এখন উদ্বেগে অপেক্ষা করছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সঠিক তথ্য দিতে কাজ করছি।”
লুইসভিল মেট্রো পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। আপাতত স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইউপিএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এমডি-১১ মডেলের কার্গো বিমানে তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। তারা জীবিত আছেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বিমানটি উড্ডয়নের সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়ে পড়ে যায়।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে বিস্তারিত তদন্ত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা আবহাওয়া-সংক্রান্ত কারণ নিশ্চিত করা যায়নি।
ঢাকা/ইভা