সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর দেশে ফিরবেন যুক্তরাজ্যে ছেলের বাসায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া । তবে দেশে ফেরার তারিখ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা বাসায় গিয়ে খালেদা জিয়াকে ফলোআপ করছেন নিয়মিত। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাচ্ছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সফরসঙ্গী ও উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, চিকিৎসা এখন পুরোপুরি শেষ হয়েছে, এটা বলা যাবে না। লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’র লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

চিকিৎসকরা রোস্টার করে বাসায় দেখে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড যেদিন বলবে সেদিনই তিনি দেশে ফিরবেন। খালেদা জিয়ার ১৫ জন সফরসঙ্গীর মধ্যে আটজন দেশে ফিরেছেন। অন্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিরবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের ফেরার সম্ভাবনা নেই। তারেক রহমানের ফেরা নির্ভর করছে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওপর। আর চিকিৎসা শতভাগ শেষ হলেই দেশে ফিরবেন ম্যাডাম। আমি, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, তাবিথ আউয়াল ম্যাডামের সঙ্গে আছি। এ ছাড়া ম্যাডামের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও গৃহপরিচারিকা সঙ্গে আছেন।

অন্য সফরসঙ্গীরা দেশে ফিরে গেছেন। হয়তো কিছুদিন পর আমিও দেশে আসব। বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে ফেরার তারিখ ঠিক হলে লন্ডনে যাব।

গত ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে পৌঁছার পর লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। ১৭ দিন চিকিৎসা নিয়ে ক্লিনিক থেকে তিনি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত