‘গেম চেঞ্জার’ রিশাদকে ঘিরে বাংলাদেশের আশা
Published: 18th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে বড় পরাজয়ের মুখ দেখলেও বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশা এখনো অটুট। প্রতিযোগিতার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটগুলোতে লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকেই ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখছে দল। দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিশাদের ভূমিকার ব্যাপারে আশাবাদী মন্তব্য করেছেন।
সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৩৫২ রান তাড়া করে জয় পাওয়ার ঘটনা পাকিস্তানের উইকেটের চরিত্র বুঝিয়ে দিয়েছে। এমন কন্ডিশনে রিস্ট স্পিনারদের গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সৌম্য সরকার সরাসরি রিশাদকে গেম চেঞ্জার বলে অভিহিত করেছেন। তার ভাষায়, ‘রিস্ট স্পিনাররা সবসময়ই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমরা রিশাদের ওপর ভরসা রাখছি।’
শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও শেষদিকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একসঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে পেসার তানজিম হাসান সাকিব মনে করেন, রিশাদের ব্যাটিংও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আইসিসির এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘রিশাদ বল হাতে নিয়মিত ব্রেকথ্রু এনে দেয়, পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও অবদান রাখে।’
পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে খেলতে হবে। পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটকে মাথায় রেখে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন, রিশাদ ভালো করলে বাংলাদেশও ভালো করবে। তার মতে, ‘পাকিস্তানের উইকেট কতটা ব্যাটিং সহায়ক, আমরা জানি। এমন কন্ডিশনে রিস্ট স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। রিশাদের বোলিং দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ড গড়েছেন রিশাদ। আগের রেকর্ডধারী সাকিব আল হাসান ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রিশাদের পারফরম্যান্স বাংলাদেশের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে দল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।
আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি