উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর প্রচারণার জবাব দিল ওয়ালটন
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ওয়ালটনের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি মানববন্ধন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হাই-টেক শিল্পখাতে বিপ্লব ঘটিয়ে দেশকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ওয়ালটন। ক্রেতা, বিক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসা এবং সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রার যোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ওয়ালটন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রেডিট রেটিংয়ের সর্বোচ্চ মানদ- ট্রিপল এ রেটেড কোম্পানি ওয়ালটন। প্রতি বছরই সর্বোচ্চ ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানের জন্য ওয়ালটন পুরস্কৃত হয়ে আসছে। সকল ধরনের কমপ্লায়েন্স মেনে পণ্য উৎপাদন, বিপণন, বিক্রয় কার্যক্রম এবং বিক্রয়োত্তর সেবা পরিচালনা করে ওয়ালটন। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে ওয়ালটন উৎপাদিত পণ্যের মান যাচাই করা হয়। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে প্রতিটি পণ্যের মান সনদ পাওয়ার পরই তা বাজারজাত করা হয়। ওয়ালটন পণ্যে আইএসও, সিই, সিবি, আরওএইচএস, আরইএসিএইচ, ইএমসি, ইইউ, ইউএসএ ইত্যাদি বৈশ্বিক স্ট্যান্ডার্ড এবং কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হয়।
বৈশ্বিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে স্বচ্ছতার সঙ্গে আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত এবং করপোরেট গভর্নেন্স ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করায় ওয়ালটন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার ও সনদ অর্জন করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবি অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় সম্প্রতি ওয়ালটনের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি মানববন্ধন করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওয়ালটন মনে করে, এসব প্রচারণা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশীয় শিল্পের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা মাত্র। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে বিদেশি পণ্য আমদানির সুযোগ তৈরি করতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
ওয়ালটনের জবাব
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং পরিকল্পিত। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কিছু ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর পূর্বে বাকিতে পণ্য নিয়ে বিক্রির পর পাওনা অর্থ পরিশোধ করেননি। ওয়ালটন থেকে বাকিতে নেওয়া পণ্যের বিক্রির টাকা তারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন বা এমন খাতে বিনিয়োগ করেছেন যেখানে প্রত্যাশিত আর্থিক সাফল্য আসেনি। বর্তমানে, তারা নানা টালবাহানা করে ওয়ালটনের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছেন, যা মূলত বকেয়া অর্থ পরিশোধ এড়ানোর কৌশল।
ওয়ালটন জানায়, তাদের সাথে ব্যবসা করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো নজির নেই, বরং হাজার হাজার ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে তাদের সাথে ব্যবসা করে আসছেন। নতুন ডিলারশিপের জন্য বিপুলসংখ্যক আবেদনও জমা রয়েছে। ওয়ালটন সব সময় ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং ডিলারদের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
দেশীয় শিল্পের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ মনে করে, বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশীয় শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বিদেশি পণ্যের আমদানির সুযোগ সৃষ্টির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। ওয়ালটন জানায়, “প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার আগে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা আমরা লক্ষ্য করি, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।”
ওয়ালটন মনে করে, এসব অপপ্রচার কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নয়, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা দেশীয় শিল্পের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
ওয়ালটনের আহ্বান
ওয়ালটন আরও জানায়, যদি কোনো ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর মনে করেন যে তারা ওয়ালটনের কোনো বিক্রয় প্রতিনিধি কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা হিসাব বুঝে পাননি তাহলে ওয়ালটনের দরজা সবসময় খোলা রয়েছে। তারা যেন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করেন, যাতে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা যায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ওয়ালটন তাদের অগণিত গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, এসব বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য। দেশীয় শিল্প রক্ষায় এবং বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হওয়া মিথ্যা প্রচারণা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়ালটন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ক্রেতা, বিক্রেতা, শুভানুধ্যায়ী এবং নীতিনির্ধারকরা এসব অপতৎপরতার বিষয়ে সচেতন থাকবেন এবং দেশীয় শিল্পের বিকাশে পূর্বের মতো তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।
এএ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
দুনিয়ায় প্রত্যেক মুসলিমকে যেসব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে
জীবন একটি পরীক্ষার ময়দান, যেখানে আমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও কষ্টের মুখোমুখি হই। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, সম্পদের ক্ষতি, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দিয়ে। আর যারা ধৈর্য ধরে, তাদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫)
এই পরীক্ষাগুলো প্রায়ই আমাদের হতাশ বা বিমর্ষ করে তুলতে পারে, কিন্তু ইসলাম আমাদের শেখায় যে এই কষ্টগুলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম এবং পরকালে চিরস্থায়ী সুখের পথ প্রশস্ত করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এই দুনিয়ার জীবন তো কেবল ক্ষণস্থায়ী ভোগ, আর পরকালই হলো চিরস্থায়ী আবাস।’ (সুরা গাফির, আয়াত: ৩৯)
পরীক্ষার উদ্দেশ্যইসলামে পরীক্ষা বা কষ্টকে আল্লাহর রহমতের অংশ হিসেবে দেখা হয়। এগুলো আমাদের পাপ থেকে মুক্তি, আল্লাহর ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি, নিজেকে নম্র করা এবং তাঁর নৈকট্য লাভের মাধ্যম।
আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, সম্পদের ক্ষতি, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দিয়ে। আর যারা ধৈর্য ধরে, তাদের সুসংবাদ দাও।সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫পরীক্ষা আমাদের ধৈর্য ও বিশ্বাস যাচাই করে এবং এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারি। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যখনই তুমি আল্লাহর জন্য কিছু ত্যাগ করবে, আল্লাহ তা তোমার জন্য আরও উত্তম কিছু দিয়ে প্রতিস্থাপন করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৩,০৭৪)
আরও পড়ুনযে ৪টি পরীক্ষা নবীজি (সা.)–এর জীবনকে দৃঢ়তা দিয়েছে২২ জুলাই ২০২৫পরীক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যদুনিয়ার জীবন সাময়িক এবং এর কষ্টগুলো ক্ষণস্থায়ী। আমরা প্রায়ই দুনিয়ার সমস্যায়, যেমন অর্থনৈতিক সংকট, সম্পর্কের জটিলতা বা সামাজিক চাপ, এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ি যে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ভুলে যাই। পবিত্র কোরআন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ‘কিন্তু যে ব্যক্তি তার প্রভুর সামনে দাঁড়ানোর ভয় করেছে এবং নিজের নফসকে অবৈধ কামনা থেকে বিরত রেখেছে, তার জন্য জান্নাতই হবে আশ্রয়।’ (সুরা নাজিয়াত, আয়াত: ৪০–৪১)
ইবন কাইয়্যিম (রহ.) বলেছেন, ‘যদি আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য পর্দা তুলে দিতেন এবং তাকে দেখাতেন, কীভাবে তিনি তার জন্য সবকিছু পরিচালনা করেন, তবে তার হৃদয় আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় গলে যেত এবং কৃতজ্ঞতায় টুকরা টুকরা হয়ে যেত। তাই যদি দুনিয়ার কষ্ট তোমাকে ক্লান্ত করে, তবে দুঃখ করো না। হয়তো আল্লাহ তোমার দোয়ার কণ্ঠ শুনতে চান।’ (ইবন কাইয়্যিম, আল–ফাওয়ায়িদ, পৃষ্ঠা ১২৮, বৈরুত: দারুল কুতুব আল–ইলমিয়্যাহ, ১৯৯৬)
পরীক্ষা আমাদের ধৈর্য ও বিশ্বাস যাচাই করে এবং এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারি।পরীক্ষা আমাদের আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায়। এটি আমাদের নম্র করে, আমাদের পাপমুক্তি ঘটায় এবং আল্লাহর ওপর নির্ভরতা বাড়ায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ায় যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি কষ্ট ও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে, তাকে জান্নাতে একবার ডুবিয়ে দেওয়া হবে এবং জিজ্ঞাসা করা হবে, ‘হে আদম সন্তান, তুমি কি কখনো কোনো কষ্ট দেখেছিলে? তুমি কি কখনো দুঃখ অনুভব করেছিলে?’ সে বলবে, ‘না, হে আমার রব! আমি কখনো কোনো কষ্ট দেখিনি, কখনো কোনো দুঃখ অনুভব করিনি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর–২৮০৭)
আরও পড়ুনবালকের ঈমানের পরীক্ষা ও বাদশাহের নির্মম পরিণতি০৪ মে ২০২৪আল্লাহর পরিকল্পনায় ভরসাপরীক্ষার সময় মনে রাখতে হবে যে আল্লাহর পরিকল্পনা আমাদের পরিকল্পনার চেয়ে উত্তম। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হয়তো তোমরা এমন কিছু অপছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর এমন কিছু পছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জানো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২১৬)
এই আয়াত আমাদের শেখায় যে কষ্টের পেছনে আল্লাহর একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য রয়েছে।
হয়তো তোমরা এমন কিছু অপছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর এমন কিছু পছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জানো না।সুরা বাকারা, আয়াত: ২১৬আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি পরকালের জন্য চিন্তিত থাকে, আল্লাহ তার বিষয়গুলো সহজ করে দেবেন, তার হৃদয়ে তৃপ্তি দেবেন এবং দুনিয়া তার কাছে আসবে, যদিও সে তা অপছন্দ করে।’ (ইবন মাজাহ, হাদিস: ৪১০৫)
পরীক্ষায় ধৈর্য ও দোয়াপরীক্ষার সময় ধৈর্য ধরা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক, আয়াত: ৩) দোয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের হৃদয়ের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করি এবং তাঁর রহমতের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করি।
ইবন কাইয়্যিম (রহ.) বলেছেন, ‘যদি দুনিয়ার কষ্ট তোমাকে ক্লান্ত করে, তবে সিজদায় তোমার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করো এবং জেনে রাখো, আল্লাহ কখনো ভোলেন না।’ (আল–ফাওয়ায়িদ, পৃষ্ঠা ১৩০, বৈরুত: দারুল কুতুব আল–ইলমিয়্যাহ, ১৯৯৬)
আমরা যদি আল্লাহকে আমাদের হৃদয়ের কেন্দ্রে রাখি, তবে কোনো পরীক্ষাই আমাদের ভেঙে দিতে পারবে না।জীবনের পরীক্ষাগুলো আমাদের আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায়, আমাদের হৃদয়কে বিশুদ্ধ করে এবং পরকালে জান্নাত লাভের পথ প্রশস্ত করে। দুনিয়ার কষ্ট ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর ভালোবাসা ও রহমত চিরস্থায়ী।
আমরা যদি আল্লাহকে আমাদের হৃদয়ের কেন্দ্রে রাখি, তবে কোনো পরীক্ষাই আমাদের ভেঙে দিতে পারবে না; বরং নবীজি (সা.)–এর শিক্ষা ও ধৈর্য, দোয়া এবং আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে আমরা জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় বিজয়ী হতে পারব।
আরও পড়ুনত্যাগের পরীক্ষা, সফলতার উদ্যাপন০১ আগস্ট ২০২০