শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে: প্রেস সচিব
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন,আমাদের অন্যতম লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গ্লোবালি বাংলাদেশের সুনাম অর্জনে কাজ করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে তলানিতে থাকা সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে এবং মানবসম্পদ, বিনিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটে।
আওয়ামী লীগ আমলে নানা কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, বাহারাইনসহ অনেক দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো ছিল না উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায়।
আইসিটি খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দেশ থেকে প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। মোট পাচারের পরিমাণ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার। আইসিটি এবং ডিজিটালাইজেশন নিয়ে কী ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, তা তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। যারা দু-মাসের মধ্যে শ্বেতপত্র দেবে।
স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে কমিটি টু প্রটেস্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)-এর প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রেস সচিব বলেন, ৫৩ বছরে সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে সাংবাদিকরা।
সিপিজে-কে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান প্রেস সচিব।
আওয়ামী লীগের খুনি-দুর্নীতিবাজদের বিচারের পর তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে জনগণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করে শফিকুল আলম।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ