ফোন করে শুনলেন রাস্তায় বন্ধু দম্পতির রক্তাক্ত নিথর দেহ
Published: 19th, February 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীর। তারা বন্ধুর দাওয়াতে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তাদের রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে ছিল রাস্তায়। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জে বাস ও অটোরিকশাচাপায় তিন এবং বান্দরবানের রুমায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গা, যশোরের অভয়নগর ও রাজবাড়ী সদরে একজন করে নিহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘন কুয়াশায় আট দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫ জন।
উত্তরায় নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন আবদুর রহমান রাব্বী (২০) ও কারিমা আক্তার মীম (২০)। জানা যায়, বন্ধুর জন্মদিন পালন শেষে রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে তারা বের হয়েছিলেন। সঙ্গে আরেক মোটরসাইকেলে ছিলেন বন্ধু দম্পতি মুনতাসীর মাহমুদ ও মোছা.
উত্তরা পূর্ব থানার ওসি শামীম আহমেদ সমকালকে বলেন, গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ঢাকায় আসছিল ওই দুই দম্পতি। উত্তরায় বিএনএস টাওয়ার এলাকায় উড়াল সড়ক থেকে নামার অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দম্পতির বন্ধু তানজিলা জানান, টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় স্বামীর সঙ্গে থাকেন তিনি। সোমবার তাঁর স্বামীর জন্মদিন ছিল। এ উপলক্ষে তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন রাব্বী-মীম দম্পতি। সেখানে জন্মদিন পালনের পর ঢাকার তিনশ ফুট সড়ক এলাকার কোনো রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা। সে অনুযায়ী দুই দম্পতি পৃথক মোটরসাইকেলে ঢাকায় আসছিল। পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) চিকিৎসক মীমকে মৃত ঘোষণা করেন। আর রাব্বী গতকাল সকাল পৌনে ৭টার দিকে একই হাসপাতালে মারা যান।
উত্তরা পূর্ব থানার এসআই জসিম উদ্দিন দেওয়ান বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে তাদের মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল। তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। টাঙ্গাইলের আবদুর রউফের ছেলে রাব্বী লেখাপড়া শেষ করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় থাকতেন।
এদিকে গতকাল সকালে উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনের সড়কে রাইদা পরিবহনের বাসচাপায় গেনেদা (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ছনকান্দা এলাকায় বাসচাপায় গতকাল মঙ্গলবার মোটরসাইকেল আরোহী দুই স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে আলী আকবর (১৩) মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ও মধ্যপাড়া গ্রামের ফারুকের ছেলে। অপরজন জুনায়েদ (১২) একই এলাকার ফেরদৌসের ছেলে। সে মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। নিহত দু’জন সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
এ ছাড়া হোসেনপুর উপজেলায় অটোরিকশার চাপায় নোহা আক্তার নামে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে। সে দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের মেয়ে।
বান্দরবানের রুমায় গতকাল দুপুরে বাসচাপায় মথি ত্রিপুরা (৯) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন দেয়। মথি রুমা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দ পাড়া গ্রামের রুদ্রিয়া ত্রিপুরার ছেলে ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়ায় গত সোমবার রাতে এক্সপ্রেসওয়ের কংক্রিটের ব্যারিকেডে ধাক্কা খেয়ে বাসের সুপারভাইজার জোবায়ের শেখ (৩৫) নিহত হয়েছেন। তিনি বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার আবুল হাসানের ছেলে।
যশোর-খুলনা মহাসড়কের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগে যাত্রীবাহী গড়াই পরিবহনের ধাক্কায় সুকদেব দাস (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার একতারপুর গ্রামের সুবোধ দাসের ছেলে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাণিবহ বাজার এলাকায় গতকাল বিকেলে ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে শিউলি সান্যাল নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। তিনি কালুখালী উপজেলার হাটগ্রামের অনুপ কুমার সান্যালের স্ত্রী।
ঘন কুয়াশায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার আমিরাবাদ বাসট্যান্ড থেকে জিংলাতলী পর্যন্ত আটটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে গতকাল ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। এসব দুর্ঘনায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাগুলোতে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, লেগুনাসহ বিভিন্ন গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সমকাল প্রতিবেদক ও সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন উপজ ল র দ র ঘটন এল ক য় স মব র গতক ল ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
নেই নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড ও ছুটি
নিয়োগপত্র নেই। এ কারণে চাকরির নিশ্চয়তাও নেই। দেওয়া হয় না পরিচয়পত্র। নেই কর্ম ঘণ্টার হিসাব। তবে রয়েছে মজুরিবৈষম্য ও জীবনের ঝুঁকি। এ চিত্র খুলনার বরফকলে কর্মরত বরফ শ্রমিকদের।
অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত বরফকলের শ্রমিকেরা জানেন না মে দিবসের অর্থ। তারা শুধু এটুকু জানেন, কাজ থাকলে মজুরি পাবেন, অন্যথায় জুটবে না কিছু। খুলনার নতুন বাজার, রূপসা, শিপইয়ার্ড ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বরফ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এসেছে ঝুঁকি ও বৈষম্যের এই চিত্র।
সরেজমিনে জানা গেছে, লবণ পানি এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের সংমিশ্রণে বরফের প্রতিটি ক্যান তৈরি হয়। এ কাজে প্রচণ্ড ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যুসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এছাড়াও অধিকাংশ সময় হাত-পা ভিজে ঠান্ডা থাকায় ক্ষত থেকে ইনফেকশন হয়। এর বাইরে বুকে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগেন এখানকার শ্রমিকেরা। পাতলা বরফে অনেক সময় হাত-পা কেটে যায়। কিন্তু মালিক বা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন ধরনের অ্যাপ্রোন বা নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করেন না। তবে দুর্ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
আরো পড়ুন:
ফুড ডেলিভারিম্যান: খাবারের রাজ্যে অতৃপ্ত দিনরাত
মহান মে দিবস: শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সংস্কারে জোর সরকারের
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার, নিউমার্কেট, শিপইয়ার্ড, রায়েরমহল এবং রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি বরফকল রয়েছে। এর মধ্যে নতুন বাজার ও পূর্ব রূপসায় সর্বাধিক বরফকল রয়েছে। এসব কলে গড়ে দশ জন হিসেবে দেড় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।
রূপসার নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করেন মোহাম্মদ রাসেল হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি হলেও পরিবার নিয়ে রূপসার জাবুসা এলাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে এই বরফকলে কাজ করছেন তিনি। রাসেল জানান, তাদের মাসিক বেতন নেই। নেই নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র। মূলত উৎপাদনের উপর প্রতি পিস বরফের ক্যান অনুযায়ী ১২ টাকা হারে মজুরি পান। নামমাত্র এ মজুরিতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে সংসার ঠিকমতো চলে না।
‘‘তিন বছর আগে নির্ধারণ করা মজুরি এখনো চলছে। লোকসানের অজুহাতে মালিকপক্ষ মজুরি বাড়াতে চান না। তাদের মতো শ্রমিকদের কোন বেতন-বোনাস নেই। নো ওয়ার্ক, নো পে অর্থাৎ কাজ থাকলে মজুরি আছে কাজ না থাকলে নেই। মালিকদের এ সিদ্ধান্ত না মানলে চাকরিও থাকে না।’’ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন রাসেল হোসেন।
একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘গড়ে প্রতিমাসে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা মজুরি পাই। কিন্তু মাসিক খাবার খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া বাবদ ৩ হাজার টাকা চলে যায়।’’
তবে জাকির হোসেন ব্যাচেলর হওয়ায় কারখানার মধ্যেই থাকেন। বিয়ের পর এ কাজ করার ইচ্ছা নেই বলে জানান তিনি।
বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১-এ অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মোঃ সেলিম শেখ। তার জন্ম নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা হলেও কর্মসংস্থানের কারণে রুপসার বাগমারা গ্রামে বসবাস করছেন। তিনি জানান, বর্তমান বয়স ৮৪। ২০ বছর বয়স থেকেই বরফ কারখানার সঙ্গে জড়িত। প্রথমে হেলপার হিসেবে ২৫০০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে অপারেটর হিসেবে মাসিক ১৫ হাজার টাকা পান। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে কাজ শুরু করতে হয়। তবে সবসময় উৎপাদন না থাকলেও ২৪ ঘণ্টা কারখানায় থাকতে হয়। ছুটি পান না।
‘অ্যামোনিয়া গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। তবে তিনি কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হননি বলে জানান তিনি।
‘মায়ের দোয়া আইস এন্ড কোল্ড স্টোরেজে’র শ্রমিক জাকারিয়া হাওলাদার বলেন, ‘‘চার বছর বরফকলে কাজ করছি। চাকরির ভবিষ্যৎ নেই। শ্রম দিতে পারলে মজুরি হয়, না হলে হয় না। নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দেন না মালিকপক্ষ। বেতন বাড়ানোর কথা বললে তারা আমলে নেন না।’’
একই এলাকার ‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করছেন মোঃ মুন্না গাজী ও মোঃ হাসান শেখ। তারা নগরীর জিন্নাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তারা দুজনেই মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পান। এর বাইরে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা নেই।
‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’র ম্যানেজার আশিকুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সুরক্ষায় উদাসীন। এখানে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার মাঝেমধ্যেই লিক হয়। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৩২টি আইস উৎপাদনের ক্যানের প্লান্ট রয়েছে। তবে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ ক্যান বরফ উৎপাদন হয়। ছয়জন শ্রমিক কাজ করে বলে জানান তিনি।
‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ- ২'র ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘বরফের মূল ক্রেতা চিংড়ি ও সাদা মাছের ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে গ্রীষ্ম মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ ও দোকানে শরবত বিক্রেতারাও কারখানা থেকে বরফ কিনে নেন। গ্রীষ্ম মৌসুমের ৬ মাস চাহিদা থাকে এবং কিছুটা লাভের মুখ দেখা যায়। তবে শীত মৌসুমের ছয় মাস বরফের চাহিদা কম থাকে। তখন কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি দিয়ে লোকসান গুণতে হয়।’’
জামাল উদ্দিন স্বীকার করেন কারখানায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও তা এড়াতে কোন সরঞ্জাম নেই। তবে অপারেটরদের অ্যামোনিয়া গ্যাসের ঝুঁকি প্রতিরোধে মাক্স সরবরাহ করা হয়।
‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১'র মালিকপক্ষের প্রতিনিধি রিয়াদ-উল-জান্নাত সৈকত বলেন, ‘‘ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে না। কখনো লাভ, কখনো লোকসান এভাবেই চলছে। গত বছর কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ৯ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’’
তবে লাভ হলে শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে শ্রমিকদের সংগঠন রূপসা বেড়িবাঁধ হ্যান্ডলিং শ্রমজীবী ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন শেখ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘‘নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি বরফকলের ৪০ জন শ্রমিক তাদের ইউনিয়নের সদস্য। বিগত দেড় বছর আগে মজুরির সমস্যা নিয়ে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে দুই একজন শ্রমিক অভিযোগ করলে ইউনিয়নের মাধ্যমে সেটির সমাধান করে দেন তারা। কিন্তু বর্তমানে অভিযোগ নিয়ে কেউ আসে না।’’
বরফকলের শ্রমিকদের নিয়ে তারা মে দিবসের কর্মসূচি পালন করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তারা//