দেবরের ছুরিকাঘাতে ভাবির মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৪
Published: 19th, February 2025 GMT
বগুড়ার কাহালুতে দেবরের ছুরিকাঘাতে মোছা. রূপালী (৩৮) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো তিনজন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর মোজাম্মেল হকসহ (৩২) চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিহত রুপালীর ভাই একই উপজেলার মুরইলের বাসিন্দা সুমন বাদী হয়ে কাহালু থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কাহালু পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন কারাগারে
নিহত রুপালী একই গ্রামের মো.
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আফরোজা (২৫), বাবা রাশেদ আলী (৬০) ও মা মরিয়ম (৫৫)।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে কাহালু থানার ওসি আব্দুল হান্নান বলেন, “টিউবওয়েলের পানি নেওয়া এবং বিদ্যুৎবিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে মো. পলাশ এবং তার সৎ ভাই মোজাম্মেল হকের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ভাবি রুপালীর পেটে আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে কাহালু উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা খারাপ হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয় হয়। সেখানে রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় আজ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মোজাম্মেল পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারা যাওয়া রুপালীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ শ্রমিক লীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দুলারচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাঁচিকাটা ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেম দেওয়ানের ছেলে ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য শফি দেওয়ান (৫৩), মৃত ইদ্রিস আলী দেওয়ানের ছেলে দাদন দেওয়ান (৫০), সোবাহান মল্লিকের ছেলে ও কাঁচিকাটা ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিতু মল্লিক (৫০) এবং চরভাগা ঢালী কান্দি এলাকার আব্দুর রব সরকারের ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আল আমিন সরকার (৪৮)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুলারচর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর বসাচ্ছে একটি চক্র। শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য শফি দেওয়ানের বাড়িতে জুয়ার আসর বসলে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সখিপুর থানায় মামলা শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
২০ শতাংশ শুল্ক দেশের জন্য ভালো খবর: ফখরুল
আ.লীগের নির্যাতন দেশের মানুষের ভুলে গেলে চলবে না: দুলু
দুলারচর এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, “প্রতিদিন রাতে এলাকায় জুয়ার আসর বসত। আমরা অনেকবার বলেছিলাম, কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সবাই ভয় পায়। আমরা চাই, এই ঘটনার সঠিক বিচার হোক এবং আগামীতে এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ না হয়।”
অপর বাসিন্দা রহিম দেওয়ান বলেন, “এরা দিনের বেলায় রাজনীতির নামে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন আর রাতে জুয়া খেলে সমাজকে নষ্ট করেন। আমরা বিষয়টি অনেক আগেই প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি, এই এলাকা থেকে জুয়ার সবকয়টি আসর বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
কাঁচিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াল্লেম বেপারি বলেন, “জিতু মল্লিক ও আল আমিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি বিষয়টি জেনেছি। জুয়া একটি সামাজিক ব্যাধি। এতে যেই জড়িত থাকুক, প্রশাসনের উচিত সঠিক তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া। আমি থানা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।”
সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ