বংশাল থেকে জনসন, সানসিল্কসহ দামি ব্র্যান্ডের নকল পণ্য জব্দ
Published: 19th, February 2025 GMT
জনসন, সানসিল্ক, ডাভ, হেড অ্যান্ড শোল্ডার্স, প্যানটিনসহ নামী কোম্পানির নকল প্রসাধনসামগ্রী জব্দ করেছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আজ বুধবার রাজধানীর বংশাল এলাকায় বিএসটিআই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব নকল প্রসাধনসামগ্রী জব্দ করে। বিএসটিআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযান শেষে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বংশালের পেয়ালাওয়ালা মসজিদ–সংলগ্ন ৫৮ নম্বর বংশাল ঠিকানার তৃতীয় তলায় একটি নামহীন নকল প্রসাধনসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। প্রতিষ্ঠানটি কোনো ধরনের মান নিয়ন্ত্রণ না করে নামীদামি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনসামগ্রী উৎপাদন করে আসছিল।
বিএসটিআইয়ের অভিযানের সময় ওই প্রতিষ্ঠানটিতে সানসিল্ক, ডাভ, প্যানটিন, হেড অ্যান্ড শোল্ডার্স শ্যাম্পু, প্যারাসুট বেলি ফুল, নবরত্নের তেল, জনসন শ্যাম্পু, বেবি অয়েল, বেবি পাউডার, ভ্যাসলিনসহ দেশি-বিদেশি প্রসাধন মজুত পাওয়া যায়। এসব পণ্যের খালি বোতল, লেবেল, প্রস্তুত করা মালামাল ও উৎপাদনে ব্যবহৃত ক্ষতিকর কেমিক্যালসহ নিম্নমানের কাঁচামাল পাওয়া যায়। অভিযানের সময় প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিনিধি না পাওয়ায় এসব নকল পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম আরও বলেন, পবিত্র রমজান সামনে রেখে বাজার তদারকি আরও জোরদার করা হয়েছে। রমজান উপলক্ষে শুধু খাদ্যপণ্য নয়, বিএসটিআইয়ের আওতাভুক্ত সব পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বাজারে কঠোর তদারকি শুরু হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা
সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী