ক্ষতিপূরণের দাবি, লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে বড়পুকুরিয়ার ১২ গ্রামের বাসিন্দারা
Published: 20th, February 2025 GMT
ক্ষতিপূরণের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করছে ১২ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার এই কর্মসূচিতে হাজারো নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রধান ফটক ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি জানান। খনির নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সংগঠন ‘দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ সভাপতি মো.
তিনি বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলতে থাকবে। দাবি গুলো হলো- অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘরের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেকার ছেলে মেয়েদের চাকরি দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষকের ভূমির নীচ থেকে উৎপাদিত কয়লার উৎপাদন বোনাস দিতে হবে সেই সঙ্গে মাইনিং সিটি অথবা উন্নত মানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত খনির প্রধান ফটকে অবস্থান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।
চৌহাটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মোসলেমা বেগম বলেন, খনির কারণে আমাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। রাতে ঠিকমত ঘুম আসে না। ভূ-গর্ভের বিকট শব্দে প্রতিদিন বাড়ি ফেটে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্ষতি পূরণ দিবে বলে আশ্বাস দিলেও এখন আর পাত্তা দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে খনি পার্শ্ববর্তী বৈগ্রাম, কাশিয়া ডাঙ্গা, মোবারকপুর, জব্বরপাড়া, দক্ষিণ রসুলপুর (বড়), দক্ষিণ রসুলপুর (ছোট), পূর্বজ্জবর পাড়া, চক মহেশপুর, হামিদপুর, উত্তর চৌহাটি, চৌহাটি, সাহাগ্রাম, দূর্গাপুর ও শেরপুরসহ কয়েকটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।