বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা সংগঠক তানজিম আলম তাসিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংগঠনের রংপুর জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও সদস্য সচিব ডা. আশফাক আহমেদ জামিলকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

শুক্রবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ এবং মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে রংপুর জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক রিফাত হাসান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলার আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও সদস্য সচিব ডা.

আশফাক আহমেদ জামিলকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা বিষয়ক একটি কল রেকর্ডের প্রেক্ষিতে জেলার সংগঠক তানজিম আলম তাসিনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো। এখন থেকে তানজিম আলম তাসিনের সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা শ্রেয়। এর বাইরে আপাতত কিছু বলার নেই।

অন্যদিকে, সদস্য সচিব ডা. আশফাক আহমেদ জামিল বলেন, ঘরের শত্রু বিভীষণ। দেশ বিনির্মাণে যে দায়িত্ব আমানত হিসেবে নিয়েছি, তা জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করবো।

উল্লেখ্য, সারাদেশে সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃতির লক্ষ্যে রংপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ১৫৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গত বছরের ২৪ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ  সোহেল স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রংপুর জেলার আহ্বায়ক কমিটি ছয় মাসের জন্য অনুমোদন করা হয়।

এ কমিটিতে কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদকে আহ্বায়ক এবং রংপুর মেডিকেল কলেজের ডা. আসফাক আহমেদকে সদস্য সচিব করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ