‘পাকিস্তান যদি ভারতকে হারায়, সেটা হবে অঘটন’
Published: 22nd, February 2025 GMT
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট লড়াইয়ের আরেকটি অধ্যায় রচিত হবে আগামীকাল। দুবাইয়ে হতে যাওয়া এ লড়াইয়ের আগে ভারতকেই ফেবারিট মানছেন বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী। ব্যাটিং–বোলিং, দুই বিভাগেই দারুণ ছন্দে আছে ভারত। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করা পাকিস্তানের ব্যাটিং হতাশ করছে দলটির সমর্থকদের। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফদের নিয়ে গড়া বোলিং বিভাগও দারুণ কিছু করতে পারছে না বেশ কিছুদিন ধরেই।
সব মিলিয়ে ভারত–পাকিস্তান আরেক লড়াইয়ের আগে পাকিস্তানই বেশি চাপে আছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট-পণ্ডিতদের অনেকেই। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী তো বলেই দিয়েছেন, ভারতের বিপক্ষে তাঁর দেশ জিতে গেলে, সেটি হবে অঘটন।
নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে আগামীকালের ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাসিত আলী এমন মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথা, ‘আমি যখন মানুষের সঙ্গে কথা বলি, ৮০ শতাংশ মানুষই বলছে ভারত সহজ জয় পাবে। এমনকি আমারও এটাই মনে হয়। পাকিস্তান যদি ভারতকে হারিয়ে দেয়, সেটা হবে অঘটন।’
২৯ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে ফিরেছে। কিন্তু সেই ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি বাবর আজম–মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। করাচিতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানে হেরেছে পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন দলটির জন্য বাঁচামরার লড়াই।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ–ভারত ম্যাচের লোগোতে নেই পাকিস্তানের নাম, আইসিসি বলল ‘কারিগরি ত্রুটি’২২ ঘণ্টা আগেপ্রথম ম্যাচে হেরে চাপে পড়ে যাওয়া পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি আবার খেলবে দুবাইয়ে। যেখানে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের সমর্থকই গ্যালারিতে বেশি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত কী করতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ