চট্টগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স নেটওয়ার্কের আত্মপ্রকাশ
Published: 22nd, February 2025 GMT
আত্মপ্রকাশ করেছে টেলিভিশন রিপোর্টারদের স্বতন্ত্র ও প্রথম সংগঠন ‘চট্টগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক’ (সিটিআরএন)। গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আর্ট গ্যালারির সম্মেলন কক্ষে ‘রিপোর্টার আড্ডা’ অনুষ্ঠানে দীর্ঘ আলোচনার পর এ সংগঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মূলত গতানুগতিকতার বাইরে ভিন্ন ধারার একটি প্লাটফর্ম এ সংগঠন। এখানে গুরুত্ব পাবে টেলিভিশন রিপোর্টারদের এক ছাতার নিচে আনা, পেশাগত মানোন্নয়ন, গবেষণা, সুদৃঢ় ঐক্য। আলোচনা শেষে উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রিজিওনাল এডিটর কামাল পারভেজ। এ ছাড়া টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদকে আহ্বায়ক, নাগরিক টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান এ কে আজাদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন– এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমেদ শাহ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্পেশাল রিপোর্টার ফখরুল ইসলাম, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ তাম্মিম মাহমুদ, সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ফেরদৌস লিপি, যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল সুমন।
এর আগে আলোচনায় অংশ নেন এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরি, বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান মহসিন চৌধুরী, চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার আবুল হাসনাত, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান আলমগীর সবুজ, ডিবিসির ব্যুরো প্রধান মাসুদুল হক, এসএ টিভির ব্যুরো প্রধান সোহাগ কুমার বিশ্বাস, মাছরাঙা টিভির ব্যুরো প্রধান নাজমুল আলীম সাদেকি, বাংলা টিভির ব্যুরো প্রধান লোকমান চৌধুরী, একাত্তর টিভির রাজীব বড়ুয়া, এটিএন নিউজের মুনিরুল ইসলাম, আরটিভির সাইফুল ইসলাম, বৈশাখী টেলিভিশনের নাঈমুল ইসলাম চৌধুরী, দেশ টিভির মোহাম্মদ নাজিম, সময় টিভির পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, সফিকুল আলম, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আহসান রিটন, অনুপম শীল, আব্দুল্লাহ রাকিব, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের এমদাদুল হক, রণি দত্ত, জোবাইর মনজুর, ইবেন মীর, জিটিভির তৌহিদুল আলম, হুমায়ুন কবির, ডিবিসির মুজিবুল হক প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আরিফুলসহ সিলেট বিএনপির নেতাদের লন্ডন সফর, নানা আলোচনা
গত রোববার হঠাৎ লন্ডন সফরে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। শুধু আরিফুল নন, ইতোমধ্যে সিলেটের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বা গোপনে লন্ডন সফর করেন। শোনা যাচ্ছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেই তারা লন্ডন যাচ্ছেন।
সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যান উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশে এসেও নিবার্চনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন।
সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে সিলেট-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জমান সেলিম। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বলে জানা যায়।
একই আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন। তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। একই আসনে আরও একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
সর্বশেষ গত রোববার লন্ডনে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি লন্ডনে যাওয়ার পর সিলেট বিএনপির রাজনীতি বইছে নতুন হওয়া। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দুটি মিশন নিয়ে গেছেন আরিফুল হক। এর একটি হচ্ছে- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া, অপরটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। লন্ডনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের দেখতে এসেছি। ৪-৫ দিন লন্ডনে থাকবো।'
আরিফুল হক সিটি নির্বাচনে নাকি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সার্বিক বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে তিনি লন্ডনে গেছেন। তার পরামর্শ পাওয়ার পর সিলেটের নির্বাচনী মাঠে নামবেন তিনি।
এদিকে, সোমবার রাতে লন্ডনে আরিফুল হক তার ঘনিষ্ঠ শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বর্তমানে মাঠে থাকা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না বললেও নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের কথা সরাসরি বলেন। তার বক্তব্য ঘিরে সিলেটে জামায়াত ঘরানার রাজনৈতিক নেতারা স্যোশাল মিডিয়ায় সরব হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অন্য পার্টি বলতে সাবেক মেয়র আরিফ কি জামায়াতকে বোঝাতে চেয়েছেন?
ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দু-একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কিছু রাজনৈতিক অন্য পার্টি, অন্য প্ল্যাটফরমে যা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতেছেন, যারা এখনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন, বিভিন্ন হাই-অফিসিয়াল পোস্টে তাদের নিজেদের লোক সেটআপ করে ফেলছে। সেখানে আমাদের মানুষগুলো নেই। আমাদের দু-চার জন অ্যাটর্নি জেনারেল, আর দু-চারটা পোস্ট দেখলেই মনে করবেন না সব আমাদের। তারা ভালো করে জানে ভোটে গেলে বিএনপি’র সঙ্গে কোনোভাবেই রিটার্ন করতে পারবে না। কাজেই তারা ওই ম্যাকানিজম শুরু করেছে সেখানে নির্বাচনকে একটু দূরে ঠেলে দিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে তাদের লোকগুলোকে সেটআপ করা।'