কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হলেও নিজেদের জাতীয় সংগীত রাখতে পারবে: ট্রাম্প
Published: 23rd, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
কানাডাকে ৫১তম রাজ্য বানানোর ইঙ্গিত দিয়ে ফের বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মজার ছলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হলেও নিজেদের জাতীয় সংগীত রাখতে পারবে কানাডা।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকেই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরুতে ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে অনেকে রসিকতা হিসেবে হালকাভাবে নিলেও যতদিন গড়াচ্ছে এ বক্তব্যকে ঘিরে জটিলতা তত বাড়ছে।
কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য বানানোর প্রসঙ্গে আবারও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরদের এক সভায় তিনি বলেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়, তবে দেশটি তার জাতীয় সংগীত ‘ও কানাডা’ রাখতে পারবে।
ট্রাম্পের দাবি, কানাডা অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল এবং দেশটির জন্য মার্কিন সামরিক সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প বলেন, অটোয়ার টিকে থাকার জন্য ওয়াশিংটনের সাহায্য প্রয়োজন। আর এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া কানাডার জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। কানাডার সঙ্গে চলমান শুল্ক যুদ্ধ নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মেলালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ট্রুডো নিজেই স্বীকার করেছেন যে নতুন শুল্ক আরোপ হলে কানাডার অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। এ কারণেই ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন বলে দাবি করেন রুবিও।
ট্রাম্প-ট্রুডো বিতর্কের উত্তেজনা ছড়িয়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ফোর নেশনস ফেস-অব হকি টুর্নামেন্টের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে কানাডা। ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুডো লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র না তাদের দেশ, না তাদের খেলার কর্তৃত্ব পাবে।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ট্রাম্পের কড়া অবস্থানের কারণে কানাডার অনেক নাগরিক যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ বাতিল করছেন, বিশেষ করে ভ্যাঙ্কুভারে। এতে করে, কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানের টিকিটের চাহিদা ২৫ শতাংশ কমেছে। মার্কিন পর্যটন সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, কানাডার পর্যটক কমে যাওয়ার কারণে দুই’শ কোটি ডলার রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।