আমাজন বনে ফুটন্ত পানির নদীর রহস্য কী
Published: 23rd, February 2025 GMT
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন বনে ফুটন্ত পানির ভিন্ন ধরনের এক নদী রয়েছে। ‘স্ক্যালিং’ নামের এই নদীর পানির তাপমাত্রা প্রায় ৯৮ দশমিক ৮৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট; ফলে পানি আক্ষরিক অর্থেই ফুটতে থাকে। গরম পানির কারণে এই নদীর কাছাকাছি যত জীববৈচিত্র্য আছে, সেগুলো ধ্বংসের মুখে পড়ছে। পেরুর রেইনফরেস্টে বা মধ্য পেরুর মায়ানতুয়াকু অঞ্চলে অবস্থিত চার মাইল দৈর্ঘ্যের এই নদীর গতিপথ বেশ অদ্ভুত। ক্ষেত্রবিশেষে মাত্র ২০ ফুট চওড়া এই নদী নিয়ে অনেক কিংবদন্তি চালু আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিলি ফোর্টিয়ারের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী এই নদীর ৭০টি স্থানে জরিপ করেছেন। গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজিতে প্রকাশিত সেই জরিপের ফলাফলে রিলি ফোর্টিয়ার বলেন, ভবিষ্যতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি বনের গঠনে কী প্রভাব ফেলবে, তা জানার সুযোগ পাচ্ছি আমরা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৮ ফারেনহাইট বাড়লেই জীববৈচিত্র্য প্রায় ১১ শতাংশ কমতে থাকে। আর তাই নদীটির ভূগর্ভস্থ পানির সঙ্গে পৃথিবীর ভূতাপীয় শক্তির সংযোগ আছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ভূত্বকের কোনো একটি ছিদ্র দিয়ে আসা তাপ নদীর তরল পানির মাধ্যমে উন্মুক্ত হচ্ছে বলে এই নদীর তাপমাত্রা এত বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, বৃষ্টির পানি মাটিতে প্রবেশের পরে পাললিক শিলা মাটির নিচে অতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন উষ্ণ প্রস্রবণ হিসেবে নদীর পানি বাহিত হয়।
ফুটন্ত এই নদী স্থানীয়ভাবে শেনেই-টিম্পিশকা নামে পরিচিত, যার অর্থ সূর্যের তাপে সেদ্ধ নদী। অনেক স্থানীয় বাসিন্দা এই নদীকে শ্রদ্ধার জায়গা হিসেবে বিবেচনা করে। রিলি ফোর্টিয়ার বলেন, সামগ্রিকভাবে এই এলাকায় গাছের সংখ্যা বেশ কম, ফলে বৈচিত্র্যও কম। গরম জায়গায় কম প্রজাতি দেখা যায়। উষ্ণতম স্থান বলে বনের গঠন এখানে অন্য রকম।
বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি হচ্ছে। এর ফলে একই ধরনের পরিবর্তন অন্যান্য নিম্নভূমির রেইনফরেস্ট এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। আর তাই দীর্ঘদিন এই নদীর ওপরে নজর রাখার মাধ্যমে উষ্ণায়নের কারণে নদীর ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা জানতে আগ্রহী তাঁরা।
সূত্র: আর্থ ডটকম
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//