Samakal:
2025-05-01@09:38:44 GMT

কেন বাড়তি লবণ ক্ষতিকর

Published: 24th, February 2025 GMT

কেন বাড়তি লবণ ক্ষতিকর

লবণ আর সোডিয়াম এক কথা নয়। রান্নায় ব্যবহৃত লবণ হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। লবণের ৪০ শতাংশ জুড়ে থাকে সোডিয়াম। তাই এক চামচ লবণ মানে এক চামচ সোডিয়াম নয়। আমাদের কম খেতে হবে সোডিয়াম। বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি ও যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি আছে।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ গ্রুপ যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে দৈনিক ১৫০০ থেকে ২৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খাওয়া যাবে। অর্থাৎ ১৫০০ মিলিগ্রামের কম হলে তো খুবই ভালো। ২৩০০ মিলিগ্রামের ওপরে কখনোই নয়। ১৫০০ মিলিগ্রামে সোডিয়াম আছে ৩ দশমিক ৭৫ গ্রাম পরিমাণ লবণ, মানে পৌনে এক চামচ লবণে। ২৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেতে হলে ৬ গ্রাম পরিমাণ লবণ খেতে হবে, অর্থাৎ এক চামচ। তার মানে দাঁড়াল, সারাদিনে এক চামচ পরিমাণের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না।
গড়পড়তা আমরা দৈনিক ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেয়ে ফেলি। এর একটা বড় অংশ আসে প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে। কেননা খাবার সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় এতে প্রচুর লবণ যোগ করা হয়। এ ছাড়া লবণ মূলত যোগ করা হয় খাবারে স্বাদ বাড়াতে। কেউ কেউ তো পাতে– এরপরও আলাদা লবণ নিয়ে খান।
বেকিং সোডা ব্যবহৃত হয় এমন খাবার (যেমন পাউরুটি বা ব্রেড, বেকারির বিভিন্ন খাবার), বিস্কুট, প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন সসেজ, নাগেট), যে কোনো টিনের বা সংরক্ষিত খাবার (যেমন আচার, পনির), সস বা সয়াসসে ভেজানো খাবার, যা পরে পরিবেশন করা হয় (যেমন চিকেন ফ্রাই ও অন্যান্য ফাস্টফুড), ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও পাস্তা, লবণ মাখানো চানাচুর, বাদাম ইত্যাদি বাড়তি লবণের বড় উৎস। দেখা যায়, আমরা রান্নায় লবণ কমিয়েছি ঠিকই। কেনা খাবারে অনেক লবণ রয়ে গেছে, সেটি খেয়াল করছি না।
কখনও আমরা নিজের অজান্তেই খাবারে লবণ যোগ করে ফেলি অভ্যাসবশত। যেমন সালাদ তৈরির সময় বা 
কাঁচা ফল খাওয়ার সময়। ওটা হিসাবের মধ্যেই ধরি না। 
আসলে এতখানি মেপে তো আর প্রতিদিন রান্না করা যাবে না। তাই চিকিৎসক যদি লবণ কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তবে তিনটি কাজ করবেন– এক.

আলগা লবণ একেবারেই খাবেন না, দুই. রান্নায় আগের চেয়ে একটু কম লবণ দিন আর তিন. উপরোল্লিখিত অতি লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। v 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লবণ লবণ ক

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা: তৃতীয় ধাপে ১৬৬৯ থেকে ২৩০০ মেধাক্রমের শিক্ষার্থীদের ডাক

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য আসন শূন্য রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির পরও আসন পূরণ না হওয়ায় তৃতীয় ধাপে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) শূন্যা আসনে ভর্তির জন্য ১৬৬৯ থেকে ২৩০০ মেধাক্রমের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদপত্রাদিসহ সাক্ষাৎকারের জন্য আসতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ১ম বর্ষ স্নাতক (শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২০২৫) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা (লিখিত) গত ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফলাফল মোতাবেক মেধানুসারে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তবে আসন খালি থাকায় ইতোপূর্বে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে মেধানুযায়ী তৃতীয় পর্যায়ে প্রার্থীদের ভর্তি করা হবে।

প্রার্থীদের করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই কমিটি দ্বারা প্রার্থীদের সনদপত্রাদি যাচাইপূর্বক জমাদানের পর এদিনই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় প্রাপ্ত বিভাগ দেখে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি ১৮ হাজার ৫০০ টাকা রূপালী ব্যাংকের রুয়েট শাখায় একই দিন (২৯ এপ্রিল ) বেলা ২টার মধ্যে জমা প্রদান করে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা: যাত্রা শুরু করবেন কোথা থেকে, কীভাবে?২৮ এপ্রিল ২০২৫

কোনও প্রার্থী ভর্তির দিন ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্ত করে একই দিনে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে উল্লেখিত ব্যাংকে জমা দিতে পারবেন। এবার পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল এবং ইলেকট্রনিক ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদসমূহের অধীন ১৪টি বিভাগে ১ হাজার ২৩০টি সাধারণ আসন রয়েছে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত ৫টি আসনসহ এক হাজার ২৩৫টি আসনে ভর্তি নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন৭ বৃত্তিতে বিদেশে পড়াশোনা, আবেদনের সুযোগ ২ দিন৩ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের১৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা: তৃতীয় ধাপে ১৬৬৯ থেকে ২৩০০ মেধাক্রমের শিক্ষার্থীদের ডাক