নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ার স্থানান্তরের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। নোভারটিস বাংলাদেশের কয়েকজন কর্মী ক্ষতিপূরণ ও অন্য সুবিধাদি পেতে নির্দেশনা চেয়ে ওই রিটটি করেন।

রিট আবেদনকারীপক্ষের তথ্যমতে, নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের পুরো শেয়ার রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছে স্থানান্তরের বিষয়ে ই–মেইলের মাধ্যমে গত ৫ ডিসেম্বর অভিমত জানিয়ে একটি চিঠি পাঠায়। এরপর আবেদনকারীরা ক্ষতিপূরণ ও চাকরির সুবিধাদি দাবি করে গত ১৩ ডিসেম্বর নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে ই–মেইল পাঠান। এতে দৃশ্যমান ফল না পেয়ে মো.

মিসকাতুর রহমানসহ নোভারটিস বাংলাদেশের কয়েকজন কর্মী ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য সুবিধা পেতে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বরাবর আবেদন দেন। এ আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে এবং ক্ষতিপূরণ পেতে নির্দেশনা চেয়ে মিসকাতুর রহমানসহ ১২ কর্মী গত সপ্তাহে ওই রিটটি করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মলয় কুমার রায় ও সৈয়দ রুবাইয়াত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা দিপ্তি।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নোভারটিস আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। রিট আবেদনকারীরা চাকরিতে আন্তর্জাতিক সুবিধাদি ভোগ করেন। কোম্পানিটির শেয়ার স্থানীয় রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছে স্থানান্তর হচ্ছে বলে নোভারটিস তাদের জানিয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে সব সুবিধাসহ ৮৪ মাসের বেতন দাবি করে প্রথমে নোভারটিস এবং পরে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন রিট আবেদনকারীরা। এতে ফল না পেয়ে ১২ কর্মী ওই রিটটি করেন। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ার স্থানান্তরের ওপর দুই মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ শেয়ার যে অবস্থায়, যে কোম্পানির কাছে আছে, সে অবস্থায় থাকবে।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, রিট আবেদনকারীদের দাবি/ক্ষতিপূরণ দিতে নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেডকে কেন নির্দেশ দেওয়া না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। রিট আবেদনকারীদের ১০ ফেব্রুয়ারি (শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিবের কাছে) করা আবেদন নিষ্পত্তিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। রুল বিচারাধীন অবস্থায় শেয়ার স্থানান্তর এবং আবেদনকারীদের চাকরির ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থার আদেশ চাওয়া হয় রিটে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর