Prothomalo:
2025-05-01@15:28:29 GMT

অক্সিজেন কমে যাবে পৃথিবীতে

Published: 25th, February 2025 GMT

পৃথিবীতে প্রাণ ধারণের জন্য অক্সিজেনের উপস্থিতি ভীষণভাবে প্রয়োজন। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে। এতে পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণের দম বন্ধের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে। অক্সিজেনসমৃদ্ধ গ্রহ হিসেবে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটলেও পৃথিবীতে সব সময় অক্সিজেনের প্রাচুর্য ছিল না। বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ভবিষ্যতে বায়ুমণ্ডলে মিথেনের উপস্থিতি বাড়ছে। বেশ কম অক্সিজেনের এক অবস্থা দেখা যাবে। আরও এক বিলিয়ন বা এক শ কোটি বছর পরে এমন অবস্থা দেখা যাবে। অক্সিজেন কমে যাওয়ার এমন ঘটনা প্রায় ২৪০ কোটি বছর আগে একবার হয়েছিল বলে জানা গেছে। সেই ঘটনাকে গ্রেট অক্সিডেশন ইভেন্ট হিসেবে আখ্যা দেন বিজ্ঞানীরা।

জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী কাজুমি ওজাকি বলেন, ‘অনেক বছর ধরে সূর্য আমাদের পৃথিবীকে আলো দিয়ে যাচ্ছে। কার্বনেট-সিলিকেট জিওকেমিক্যাল চক্রের ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর জীবজগৎ বিকশিত হয়েছে। একটি মডেল অনুসারে বায়ুমণ্ডলে একটি ডিঅক্সিজেনেশন বা অক্সিজেন শূন্যের অবস্থা অনুমান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বায়ুমণ্ডলীয় অক্সিজেনের অভাবে অতীতের আর্কিয়ান আর্থের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে। তখন অক্সিজেনের মাত্রা এমন স্তরে তীব্রভাবে নেমে আসবে। পৃথিবীর জলবায়ু ব্যবস্থায় আর্দ্র গ্রিনহাউস অবস্থার সূচনা হওয়ার আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’

সূর্যের উজ্জ্বলতা বাড়ছে। একই সঙ্গে পৃথিবীর তাপের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্যাস ভেঙে যাওয়ার হার বাড়বে। কম কার্বন ডাই–অক্সাইড মানে উদ্ভিদের মতো সালোকসংশ্লেষণকারী জীবের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে অক্সিজেন কম হবে।

বিজ্ঞানীরা এর আগের এক ভবিষ্যদ্বাণীতে জানান, ‘সূর্য থেকে আসা বিকিরণ প্রায় ২০০ কোটি বছরের মধ্যে আমাদের গ্রহের সমুদ্রের পানি শুকিয়ে ফেলবে। এরপর অক্সিজেনের হ্রাস দেখা যাবে। এতে পৃথিবীর অনেক প্রাণ মৃত্যুর মুখে পড়বে।’ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী ক্রিস রেইনহার্ড বলেন, অক্সিজেনের পরিমাণ খুব চরম মাত্রায় কমবে। আজকের তুলনায় প্রায় এক মিলিয়ন গুণ কম অক্সিজেনের অবস্থা দেখা যাবে। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার অনুমান নিয়ে গবেষণাটি নেচার জিওসায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের উন্নতির পেছনে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য : ডিসি

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নতির পেছনে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের এই উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে হলে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে মানবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

মালিক পক্ষকে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি, কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের ঠকিয়ে কখনো শিল্প এগোতে পারে না। কিন্তু অনেক মালিক পক্ষ শ্রমিকদের চরমভাবে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে থাকে। ‎

মে দিবসে শ্রমিকদের কথা ভেবে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ভ্রাতিত্বের বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। শ্রমিক ও মালিকের ইতিবাচক সম্পর্কই শিল্প উন্নয়ন সম্ভব। এই উন্নয়নই আগামীর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করবে।

‎‎বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো দেশ নতুন করে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর নারায়ণগঞ্জ এবং কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর নারায়ণঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর নারায়ণগঞ্জ এর পরিচালক আফিফা বেগমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদি, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা জামায়াতের আমীর মইনুদ্দিন আহমেদ, মহানগর জামায়াতের আমীর আব্দুল জব্বার, চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি সোহেল মোর্শেদ সারোয়ার সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকবৃন্দ।

এ সময় মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা আরও বলেন. আমরা যারা শ্রমিক রয়েছি আমাদের সমস্যা থাকবে, দাবি থাকবে। কিন্তু অন্যের কথার দ্বারা আমাদের প্রভাবিত হওয়া চলবেনা। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মানুষের দাবি রয়েছে। যখন দাবি শেষ হয়ে যাবে তখন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাই আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে আমাদেরকে যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করতে হবে। আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে, আচরণকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই আমাদের যে স্বপ্ন সুন্দর দেশ গড়ার সেটা সত্যি হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে কেনো হাজার হাজার মানুষ তাদের ৮ ঘন্টা শ্রমের দাবীতে রাস্তায় নেমে এসেছিলো। এটা কেনো ইউরোপে হলো না ? কারন ইউরোপীয়ানরা ১৫০০ সালের পর থেকে বিভিন্ন যুদ্ধে জড়িয়ে ছিলো আর আমেরিকানরা তখন তাদের নীতি পরিবর্তন করেছিলো।

তারা নিজেদের উন্নয়ন ও শিল্পায়ন চেয়েছিলো। তখন থেকেই তারা শিল্পায়ন শুরু করে এবং শিল্প শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। যদি দেশের উন্নয়ন না হতো, শিল্পায়ন না হতো তাহলে শিল্প শ্রমিকদের কথা বলার কোন সুযোগ হতোনা। আজকে নারায়ণগঞ্জে এত বড় রেলী হয়েছে শ্রমিক ও মালিকদের নিয়ে। এটা কি অন্য জেলায় সম্ভব, না এটা সম্ভব নয়।

‎‎পরিশেষে তিনি দেশ ও বহির্বিশ্বে কর্মরত সকল শ্রমিক ভাইবোনদের মহান মে দিবসের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিগত দিনগুলিতে কর্মস্থলে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে ও অধিকারের দাবিতে যে সকল শ্রমিক ভাই বোন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সকলকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ