ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার তাদেরে ঝিনাইদহ ও গাজীপুর থেকে আটক করা হয়। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাইম। 

আটককৃতরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ড উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ছানোয়ার হোসেন সনুর ছেলে আবু সাইদ (৩৯) এবং একই উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনজের হোসেনের ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৬)।

আরো পড়ুন:

ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচার মৃত্যু

নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

মেজর নাইম জানান, ঝিনাইদহের আলোচিত ট্রিপল মার্ডারে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবু সাইদ ও আনারুল নামে দুইজনকে আটক করেছেন তারা। ঝিনাইদহ শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে আবু সাইদকে এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাতলা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করা হয়। আটককৃতরা এ ঘটনায় জড়িত কিনা তা অধিকতর তদন্তের স্বার্থে শৈলকূপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনজনকে হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানায় নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মামলাটি করেন নিহত হানিফের ছোট ভাই হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম ইশা।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান জানান, গত শুক্রবার রাতে শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাটে যে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে সে ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক উপজ ল র ঝ ন ইদহ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আদর্শগ্রাম নূরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে মাদ্রাসায় কোচিংয়ে পড়তে গেলে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিক্ষার্থীর উপর যৌন নির্যাতন চালান বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় মাদ্রাসার কোচিংয়ে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে ছুটি দিয়ে দুইজনকে মাদ্রাসায় রেখে দেন শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন। তাদের মধ্যে একজন ছেলে ও ভুক্তভোগী ছিল মেয়ে। শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ছেলেটিকে কৌশলে মাদ্রাসার রুম ঝাড়ু দিতে পাঠিয়ে দেন। মেয়েটিকে তার কোলের উপর বসিয়ে অশালীন আচরণ করেন। মাদ্রাসার পাশের ভবনের কক্ষ থেকে একটি মেয়ে সেই দৃশ্য দেখে ফেলেন।  

আরো পড়ুন:

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু

পরে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিশুকে মাদ্রাসায় তার বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে যৌন নির্যাচন চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে মুখের ভিতরে কাপড় ঢুকিয়ে আবারো যৌন নির্যাচন চালান। এরপর কক্ষটি তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যান। শিশুটি চিৎকার করলে অপর শিক্ষার্থী তালা খুলে তাকে বাইরে বের করে আনে।

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালায়। এর আগেও শাহাদাৎ হোসেন কয়েকবার শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। 

শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসাতে এবং প্রতিষ্ঠানটি শেষ করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 

ঢাকা/অলোক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা