বাটারফ্লাই ম্যাট্রিমনিয়ালের প্রতিষ্ঠাতা এবং বিয়ে ও সম্পর্কবিষয়ক পরামর্শক হুরায়রা শিশির বলেন, নতুন যেকোনো কিছুর শুরুতে ভুল হবে, এটাই স্বাভাবিক। বিয়ের পরেও তা–ই। নতুন দাম্পত্যে ভুলকে খুব বড় করে দেখা যাবে না। ভুল থেকে সমস্যা তৈরি হলে একে অপরের প্রতি সহনশীল থেকে সেগুলো সমাধান করতে হবে।

১. সামর্থ্যের বাইরে বাসা ভাড়া

শহরে বাস করেন এমন নতুন দম্পতির আয়ের একটা বড় অংশই থাকার ব্যবস্থা করতে চলে যায়। নিজ নিজ পরিবার থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের মতো গুছিয়ে নিতে চাইলে খরচ এমনিতেই বেড়ে যায়। তার ওপর যদি দেখনদারির চাপে পড়েন, তাহলেই শেষ। অনেক সময় স্ট্যাটাস ঠিক রাখতে গিয়ে বাড়তি বাসাভাড়ার চাপে পড়েন দম্পতিরা। এ সময় পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুদের কথায় ব্যয়বহুল বাসা নিয়ে বিপদ বাড়ান দম্পতিরা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই বাসাভাড়ার বাড়তি খরচ জোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।

এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কাপল কাউন্সিলর রউফুন নাহার। তিনি বলেন, সামাজিক অবস্থানের কথা ভেবে অনেক সময় দম্পতিরা শুরুতেই ব্যয়বহুল বাসা নেন। কিন্তু নতুন সংসারে আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। না হলে কদিন পরই শুরু হয় অর্থনৈতিক টানাপোড়েন। তাই স্থান-কাল এবং নিজেদের সামর্থ্য ও চাহিদা বিবেচনা করে বাসা নিতে হবে। লোকে কী বলবে না ভেবে দেখতে হবে, বাসাটি নিজেদের কর্মস্থলের কাছে কি না, প্রয়োজনীয়সংখ্যক ঘর আছে কি না এবং দুজনের রুচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। বাড়তি খরচ ছাড়াই বাসাটি যেন দুজনের থাকার উপযোগী হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর আয় যদি বেশিও হয় বাড়তি টাকাটা বাসাভাড়ায় না দিয়ে সঞ্চয় করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আরও পড়ুনসুখী দাম্পত্য সম্পর্কে থেকেও কেন মানুষ প্রেমে পড়ে?১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪২.

দামি আসবাবঅনেকেই বিয়ের পর একসঙ্গে অনেক দামি আসবাব কিনে ঘর ভরে ফেলেন

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’

‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’সহ ৩৮ দাবি সংবাদকর্মীদের 

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফের সভাপতি মাসউদুল হক জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবালয় বিটে কর্মরত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পত্র পাঠানো হলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। 

তিনি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের জন্য সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা চালুর বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের পাশাপাশি ৫ নম্বর গেট দিয়েও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের  ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। 

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বিএসআরএফের সভাপতির প্রস্তাব আন্তরিকভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। 

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন পিন্নু, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ