আনিসুল-মামুন রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দীপু মনিসহ ৯ জন
Published: 26th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে জিহাদ হোসেন ও ওয়াসিম শেখকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, জিহাদ হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ নয় জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.
জিহাদ হোসেন হত্যা মামলায় আনিসুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। ওয়াসিম শেখ হত্যায় আনিসুল হকের আরো ৩ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক মামলায় সাবেক শিক্ষান্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহম্মেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম এবং গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জিহাদ হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন জিহাদ হোসেন (২২)। এ সময় গুলিতে আহত হন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতে বাবা নুরুল আমিন মোল্লা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনকে আসামি করে গত ৩ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওয়াসিম শেখ হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মো. ওয়াসিম শেখ। সন্ধ্যা ৭টায় গুলিতে আহত হন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রেহানা আক্তার গত ২৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৩ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র জ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ
নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় আগে থেকে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ের ফটকের কাছাকাছি চলে গেলে পুলিশ তাদের থামার অনুরোধ করে। আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ না মানলে পুলিশ প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে অবস্থান নেন।
শাহবাগ থানার পেট্রোল অফিসার জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ কর হয়। এছাড়াও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া এক নিবন্ধনধারী জানান, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাই।
তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।
৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এখনও আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।