বাল্যবিবাহ নিয়ে ইসলামের অভিজ্ঞতা
Published: 26th, February 2025 GMT
অনেকে বাল্যবয়সে মেয়ে বিয়ে দেওয়াকে সুন্নত বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। তারা বলতে চান, নবীজি (সা.)–ও তো তার কন্যাকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার আয়েশা (রা.)–র কম বয়সে তাঁর সঙ্গে নবীজি (সা.) বিয়ে নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলতে চান।
নবীজি (সা.)–এর মেয়ে ফাতিমার (রা.) বিয়ে আমাদের সামনে একটি উদাহরণ। নবীজি (সা.)–এর অন্য তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে মক্কায় থাকাকালে, ইসলামের বিধান আসার আগে। তাদের ব্যাপারে এমন প্রমাণও মেলে না যে সাবালক হওয়ার আগেই নবীজি (সা.
বুরাইদাহ (রা.) বলেন, ফাতিমা (রা.)–র জন্য আবু বকর (রা.) এবং ওমর (রা.) বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। নবীজির (সা.) বলেছিন, সে এখনও ছোট। এরপর আলি (রা.) প্রস্তাব পাঠালে নবীজি (সা.) তাঁর সঙ্গে ফাতিমাকে বিবাহ দেন। (নাসায়ি, হাদিস: ৩২২১)
আরও পড়ুনআলহামদুলিল্লাহ সর্বোত্তম দোয়া১০ আগস্ট ২০২৩এই হাদিস এবং এ বিষয়ে অন্যান্য হাদিসের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, আলির (রা.) প্রস্তাব এসেছে আবু বকর ও ওমরের প্রস্তাবের পরপরই। সময়ের ব্যবধান তেমন ছিল না। তাই ‘সে এখনও ছোট’ নবীজির (সা.) এ-কথার মানে এই নয় যে, ফাতিমা তখনও বিবাহের যোগ্য হননি। তিনি ছোট ছিলেন তাঁর সঙ্গে আবু বকর (রা.) এবং ওমরের (রা.) বয়সের ব্যবধানের তুলনায়। সে তুলনায় আলি (রা.) ও ফাতিমার (রা.) বয়স ছিল কাছাকাছি।
সুতরাং কন্যার জন্য কল্যাণকর দিক কোনটি, সেদিকে লক্ষ রাখা এবং যথাসম্ভব তা বাস্তবায়ন করা প্রত্যেক পিতার কর্তব্য। এটাই সুন্নাহ।
বিয়ের সময় ফাতিমার (রা.) বয়স কত ছিল? ঐতিহাসিক মত হলো তিনি নবীজি (সা.)–এর নবুয়তপ্রাপ্তির পাঁচ বছর আগে জন্ম নেন। এটাই বেশি গ্রহণযোগ্য মত। নবুয়তের পর মক্কায় নবীজি (সা.) নামাজের সেজদায় গেলে কাফেররা একবার তার মাথায় উটের নাড়িভুঁড়ি চাপিয়ে দেয়। ফাতিমা (রা.) তখন দৌড়ে এসে নবীজি (সা.)–এর মাথা থেকে জঞ্জাল সরাতে সাহায্য করেন। বোঝা যায়, তাঁর বয়স তখন অন্তত সাত।
আরও পড়ুনযে ১২টি আমলে রিজিক বাড়ে০৯ আগস্ট ২০২৩আরেকটি মত হলো, নবীজি (সা.)–এর ৪১ বছর বয়সে তার জন্ম হয়। (আল-মাওয়াহিবুল লাদুনিয়্যাহ, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৩)
তবে দ্বিতীয় হিজরিতে আলি (রা.)–র সঙ্গে তাঁর বিয়ের বিষয়ে কারও দ্বিমত নেই। (মিন মায়ীনিস সিরাত, দ্বিতীয় সংস্করণ, পৃষ্ঠা ২২৫)
প্রথম মতানুসারে বিয়ের সময় ফাতিমার (রা.) বয়স ছিল ২০ বছর। এটাই বেশি যুক্তিযুক্ত। দ্বিতীয় মত ধরা হলেও তাঁর বয়স তখন ১৫ বছরের কম হয় না। সে যুগের প্রচলন অনুযায়ী এ বয়স আরব মেয়েদের বিয়ের জন্য অযৌক্তিক ছিল না।
আয়েশা (রা.)–কে বিয়ে করার মতো ফাতিমা (রা.)–কে বিয়ে দেওয়াও ছিল নবীজি (সা.)–র একটি আমল। একটির উল্লেখ করে অন্যটি ভুলে গেলে চলবে না। আয়েশা (রা.)–র বয়স বিয়ের সময় ছিল ছয় বছর এবং বাসর যাপনের নয় বছর। (বুখারি, হাদিস: ৫,১৩৩)
এর বিশেষ এক কারণ ছিল। উপযুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বেলায় তাড়াহুড়া করে বিয়ের ব্যাখ্যায় আয়েশা (রা.) নিজেই জানিয়েছেন, নবীজি (সা.) আমাকে বলেছেন, আমি স্বপ্নে দেখেছি, একদল ফেরেশতা তোমাকে এক টুকরা রেশমি কাপড়ে জড়িয়ে এনেছে। একজন বলল, এ আপনার স্ত্রী। আমি ওপর থেকে কাপড় সরালাম, দেখি তুমি। আমি বললাম, এ যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, তাহলে আমি বাস্তবায়ন করব। বুখারির বর্ণনায় আছে, দুবার তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি। মুসলিমের বর্ণনায় আছে, তিন রাত স্বপ্নে দেখেছি। (বুখারি, হাদিস: ৩,৮৯৫; মুসলিম, হাদিস: ২৪৩৮)
নবীদের স্বপ্নও অহি। একই স্বপ্ন বারবার দেখা দ্রুত আকদ করার নির্দেশ দেয়। অর্থাৎ, এই বিয়ে ছিল আল্লাহ একটি আদেশ।
আরও পড়ুনঅকালমৃত ও গর্ভপাত হয়ে যাওয়া শিশুরা হবে নাজাতের উপায়০৮ আগস্ট ২০২৩আয়েশা (রা.) বলেন, দুইবার সতীনরা সমবেত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নবীজি (সা.)–কে অভিযোগ জানালেও তিনি বিমুখ থাকেন। তৃতীয়বার নবীজি (সা.) বলেন, আয়েশার বিষয়ে আমাকে কষ্ট দিও না। আল্লাহর শপথ, আয়েশার (রা.) ছাড়া তোমাদের কারও সঙ্গে বিছানায় থাকাকালে অহি নাজিল হয়নি। (বুখারি, হাদিস: ৩,৭৭৫)
বোঝা যায়, আয়েশা (রা.)–কে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ এই বৈশিষ্ট দিয়েছিলেন।
অহির মাধ্যমে এই বিয়ের আদেশ দেওয়া এবং কেবল তারই ঘরে অহি নাজিলের রহস্য নবীজি (সা.)–এর ইন্তেকালের পর যখন তিনি জ্ঞানবতী মহীয়সীরূপে আবির্ভূত হন, তখন উন্মোচিত হয়। তিনি ছিলেন উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বড় নারী ফকিহ। বড় বড় সাহাবি তাঁর বক্তব্যে নিজের মত শুধরে নিতেন এবং তাঁর ফতোয়া গ্রহণ করতেন। (যাদুল মাআদ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১০৬)
তাঁর কক্ষ মসজিদে নববী সংলগ্ন হওয়ায় তিনি সহজেই নবীজি (সা.)–এর বক্তব্য, হাদিস ও বিধিবিধান শোনার কাজে লেগে থাকতে পারতেন। কোনো বিষয় ছুটে গেলে নবীজি (সা.)–কে প্রশ্ন করে জেনে নিতেন। এটাই তাকে এই বিরল যোগ্যতা অর্জনের পথ করে দেয়।
আরও পড়ুনসুরা ইয়াসিনে আছে জীবন ও মৃত্যুর কথা১০ আগস্ট ২০২৩আয়েশা (রা.)–র বর্ণিত হাদিসের সংখ্যার দিকে তাকালেও তাঁর অবস্থান ও যোগ্যতা পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি দুই হাজার দুইশ দশটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। নবীজি (সা.)–র বাকি সব স্ত্রীর বর্ণিত হাদিসের সর্বমোট পরিমাণ এর তিনভাগের একভাগ হবে না। (আস-সিরাতুন নাবাবিয়্যাতুস সাহিহিয়্যা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৪৯)
প্রায় অর্ধ-শতাব্দি পর্যন্ত ইলম ও ফতোয়ায় সাহাবিদের অনন্য ভরসাস্থল ছিলেন তিনি। আবু মুসা আশয়ারি (রা.) বলেন, আমরা রাসুলের সাহাবিগণ যখনই হাদিস সর্ম্পকিত সমস্যার মুখে পড়ে আয়েশার শরণাপন্ন হতাম, তাঁর কাছে অবশ্যই সমাধান পেতাম। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৮৮৩)
মাসরুক ইবনে আজদা বলেন, অনেক প্রবীণ সাহাবিকেও দেখেছি তাঁর কাছে ‘ফারায়েয’ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ২৪২)
এসব যোগ্যতা অর্জনের এর একমাত্র কারণ নবীজির (সা.) দীর্ঘ সন্নিধ্য। সাওদার (রা.) পরে তিনিই নবীজি (সা.)–এর নৈকট্য সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন। দ্রুত বিবাহ ছাড়া এ সান্নিধ্য কিছুতেই সম্ভব হতো না। আয়েশার (রা.) বিবাহ-ঘনিষ্ঠ ঘটনাবলিও প্রমাণ করে যে এই বিবাহ ছিল একটি বিশেষ ব্যতিক্রম। অনুসরণের ক্ষেত্রে বিশেষকে সাধারণের ওপরে প্রাধান্য দেওয়া যায় না।
তাই পিতার জন্যে নবীজির (সা.) প্রকৃত সুন্নাত হলো কন্যার জন্য পাথির্ব ও পরকালীন উভয় দিক বিবেচনায় রেখে কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নেওয়া।
আরও পড়ুনজান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী১১ আগস্ট ২০২৩উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র বর ণ আল ল হ আয় শ র র জন য আগস ট র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
ভোগবাদী যুগে ইসলামে সুখের খোঁজ
আপনার বাড়িতে কি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের স্তূপ জমে আছে? জানেন কি, এর থেকে মুক্তির পথ আছে ইসলামের সরল জীবনধারায়? আধুনিক বিশ্বে ভোগবাদের তীব্র ঝড়ে আমরা প্রায়ই নিজেদের দেখি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ঠাসা ঘরে।
নতুন ফ্যাশনের পোশাক, সর্বশেষ প্রযুক্তির গ্যাজেট বা মধ্যরাতে এক ক্লিকে কেনা অপ্রয়োজনীয় পণ্য—এসব আমাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইসলাম আমাদের ন্যূনতম একটি সরল জীবনধারার পথ দেখায়, যা পার্থিব লোভ থেকে মুক্ত করে আমাদের আল্লাহর পথে নিবেদিত হতে উৎসাহিত করে।
আয়েশা, তুমি যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে চাও, তবে এই দুনিয়া থেকে একজন পথিকের প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো সামান্য গ্রহণ করো।সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৭,৮০০সংযম কেন জরুরিমিনিমালিজম বা ন্যূনতাবাদ এমন একটি জীবনধারা, যেখানে আমরা শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর নির্ভর করব এবং অতিরিক্ত ভোগবিলাস থেকে দূরে থাকব। ক্রমাগত কেনাকাটার দিকে প্রলুব্ধ না হয়ে শুধু যেটুকু না হলেই জীবন চলে না, সেটুকু নিজের কাছে রাখব।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় বেশভূষা সৌন্দর্য গ্রহণ করো, খাও এবং পান করো, কিন্তু অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আ’রাফ, আয়াত: ৩১)।
এই আয়াত আমাদের জীবনে সংযম ও সরলতার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনদুনিয়ার ভোগ–বিলাস নিয়ে সুরা তাকাসুরের সতর্কতা১০ এপ্রিল ২০২৩বিজ্ঞাপনের প্রলোভন আজকাল আমাদের অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার দিকে ঠেলে দেয়। প্রায়ই এমন জিনিস কিনে ফেলি, যেমন একটি ইউএসবি মগ হিটার বা জামাকাপড়, যা তারপর বছরের পর বছর অব্যবহৃত পড়ে থাকে।
বাড়িতে জমে থাকে প্যাকেট না খোলা গ্লাস–বক্স, অপঠিত বইয়ের স্তূপ। প্রশ্ন করে দেখি তো, আমাদের আসলেই কি এগুলো প্রয়োজন ছিল?
মহানবী (সা.)-এর সাদাসিধা জীবনমহানবীজি (সা.) এবং তাঁর সাহাবারা সরল জীবনযাপনের উজ্জ্বল উদাহরণ। হজরত আয়েশা (রা.)-কে নবীজি বলেছিলেন, ‘হে আয়েশা, তুমি যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে চাও, তবে এই দুনিয়া থেকে একজন পথিকের প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো সামান্য গ্রহণ করো। ধনীদের সঙ্গে মেলামেশা থেকে সাবধান থাকো এবং কোনো পোশাককে তখনই জীর্ণ হয়ে গেছে মনে করো, যখন তুমি তাতে প্যাঁচ লাগিয়েছ (মানে যখন পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁচিয়ে যায়)।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৭,৮০০)।
এই হাদিসে নবীজি (সা.) স্পষ্টভাবে সরল জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
উপহারের পরিবর্তে আমরা দাতব্য সংস্থায় দানের জন্য অনুরোধ করতে পারি। এমনকি আমাদের একটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে সেই অর্থ স্থানীয় মসজিদে দান করতে পারি।ইসলাম আমাদের শেখায় যে পার্থিব সম্পদ ক্ষণস্থায়ী এবং এটি আমাদের চিরস্থায়ী জীবনের জন্য প্রস্তুতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। নবীজি (সা.) কখনো অপ্রয়োজনীয় সম্পদ সঞ্চয় করেননি এবং সব সময় দানশীলতার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উৎসাহিত করেছেন।
দানের সংস্কৃতিআজকের বিশ্বে ভোগবাদী সংস্কৃতি আমাদের জীবনকে জটিল করে তুলেছে। ক্রেডিট কার্ড, সহজলভ্য ঋণ এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের ক্রমাগত কেনাকাটার দিকে প্রলুব্ধ করে। আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম, যেমন আমাদের দাদা-দাদিরা, সীমিত সম্পদের মধ্যে সরল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু গত কয়েক দশকে বিশ্বব্যাপী মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান এবং সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ আমাদের ভোগবাদী প্রবৃত্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুনখাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে ইসলামের নির্দেশনা০৯ জুন ২০২৫কিন্তু ইসলাম আমাদের শেখায়, প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করা লোভ ও কৃপণতার দিকে নিয়ে যায়, যা একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়।
ইসলাম আমাদের জীবনকে সরল করার পাশাপাশি আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উৎসাহিত করে। আমরা চাইলে মাসিক বাজেটের একটি অংশ দানের জন্য বরাদ্দ করতে পারি।
যে ব্যক্তি নিজের সম্পদে সংযমী হয় এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৯৪বিয়ের মতো উৎসবে আমরা বিলাসবহুল আয়োজনের পরিবর্তে সরলতা বেছে নিতে পারি। উপহারের পরিবর্তে আমরা দাতব্য সংস্থায় দানের জন্য অনুরোধ করতে পারি। এমনকি আমাদের একটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে সেই অর্থ স্থানীয় মসজিদে দান করতে পারি।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের সম্পদে সংযমী হয় এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৯৪)।
আমাদের ভালো কাজ এবং দানশীলতা পরকালে যেমন উপকারে আসবে, তেমনি সমাজের জন্যও হবে কল্যাণকর। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দানশীলতার দিকে মনোযোগ দিলে সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের জীবন উন্নত হবে।
ভোগবাদী জীবন মানুষকে অস্থির করে তোলে এবং ন্যূনতম খরচের জীবনধারা মানুষকে তৃপ্তির জীবন উপহার দেয়। এটি একই সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেরও একটি পথ।
আমরা যদি আমাদের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আল্লাহর পথে ব্যয় করি, তবে তা আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে সমৃদ্ধ করবে। ন্যূনতমবাদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের প্রকৃত সুখ পার্থিব সম্পদে নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের প্রস্তুতিতে নিহিত।
আরও পড়ুনআধুনিক এই প্রবণতার শিকড় ইসলামে২০ মে ২০২৫